নতুন শাক-সবজিতে ফিরেছে স্বস্তি
শীতের প্রথম দিকেই সবজির আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ার বাজারে আসছে নানা ধরণের শাক-সবজি। দামও অনেকটা কম। কিছুদিন আগেও ছিল তিনগুণ। বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসায় মানুষজনের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। বিভিন্ন মসলা জাতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম স্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
বুধবার (০১ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাঁট-বাজারে দেখা গেছে শীতকালীন নানা ধরণের শাক-সবজি। বিভিন্ন বিক্রেতারা শাক-সবজি দিয়ে দোকানগুলো সাজিয়েছে। দেখতেও সুন্দর লাগছে। এছাড়াও উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত শাক-সবজি জমিতে ঘুরে দেখা যায় শাক-সবজির আবাদও অনেক ভালো হয়েছে। ১০ থেকে ১২ দিন আগেও যার দাম ছিল তিনগুন। শীতকালীন সময়ে দাম কমে আসায় এখন চাহিদা মতো কিনছেন ক্রেতারা শাক-সবজি। তবে কাঁচা টমেটো ও গাঁজরের দামটা বেশি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ‘এ বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি আবাদ করা হয়েছে। কৃষকদের নানা প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতাও করা হচ্ছে।’
ধনবাড়ী বাজারে শাক-সবিজ কিনতে আসা মো. পাবেল আহমেদ ও জুয়েল মিয়া বলেন, ‘শীতকালীন শাক-সবজি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করছে। এটি কৃষি প্রদান এলাকা। কৃষি কাজের পাশাপাশি সবাই শাক-সবজির আবাদ করে। বাজার থেকে চাহিদা মতো শাক-সবজি কিনে নিয়ে গেলাম।‘
উপজেলার মুশুদ্দি এলাকার কৃষক আহম্মেদ আলী জানান, আমি ১ বিঘা জমিতে শীম আবাদ করেছি। এছাড়াও অন্য জাতের সবজি আবাদ করেছি। কিছু দিন আগে দাম বেশি ছিল। এখন যে দাম পাচ্ছি মোটামোটি ভালো।
সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহিম ও কাদের শেখ বলেন, বর্তমানে বাজারে শাক-সবজির দাম অনেক কমে গেছে। পাইকারীভাবে এলাকার কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করে বিক্রি করি। দাম কমায় ক্রেতারাও যার-যার ইচ্ছে মতো কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
উপজলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এই উপজেলা মূলত কৃষি প্রধান অঞ্চল। ধান চাষের পাশাপশি কৃষকরা সকল ধরনের শাক-সবজি আবাদ করে থাকে। আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’