বেড়েছে মুরগির দাম, স্বস্তি সবজিতে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেড়ছে ব্রয়লার মুরগি, আদা, রসুন ও সয়াবিন তেলের দাম। তবে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজির দাম। এছাড়া পেঁয়াজ, ডিমের দামও কমতির দিকে।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, খিলক্ষেত বাজার, আজিমপুর কাঁচাবাজার ও হজ্জ ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৫০ থেকে ১৭০  টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য মুরগির দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা।


সরবরাহ থাকায় বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিপ্রতি কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুল কপি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩৫ থেকে  ৪০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। বাজারে মানভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে  ৭০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৬৫ থেকে ৮০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫  টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৮০ টাকা,  দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা।

অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা, মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৫ এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।


বেশিরভাগ মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলা যায়।  টাকি মাছ কেজিপ্রতি ২৫০-৩৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা। শিং বিক্রি হচ্ছে  শোল মাছের কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। নলা মাছ ১৭০-২০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। রুই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং এক-দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকায়।

তেলের মধ্যে দাম কমেছে শুধু খোলা পামওয়েলের, অন‍্যগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। খোলা পাম অয়েল ১২৮ থেকে ১৩০, গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা এবং পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৩ থেকে ১৩৫ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৩৫ থেকে ১৩৮ টাকা লিটার।