চড়া দামেই সবজি, কমেছে মুরগির

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সপ্তাহের ব‍্যবধানে রাজধানীতে সবজির দাম না বাড়লেও আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে। খুচরা বাজারে চাল ও আটার দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। এ ছাড়া তেল ও ডালের দামও বেড়েছে।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, খিলক্ষেত বাজার, আজিমপুর কাঁচাবাজার ও হজ্জ ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

বাজারে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। শিম ৪০-৫০, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ টাকায়, মুলা ৩০-৪০ টাকায়, শালগম ৩০-৪০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫-৪০, বাঁধাকপি ৩৫ ও লাউ ৬০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে। রাজধানীতে স্থানভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ -১৮০ টাকা। এ ছাড়া লেয়ার ২২০-২২৫, পাকিস্তানি ৩০০-৩২০ এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৯০-৫৩০ টাকা কেজি। গরুর মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬০-৬০০, খাসির মাংস ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজি।

বিজ্ঞাপন

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৪ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২, মাঝারি মানের চাল ৫৬-৬০ টাকা, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৪০- ৪৮ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।

বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম মানভেদে ৫ টাকা পযর্ন্ত কমেছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। প্রতি কেজি রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০-৩২০ টাকা। কৈ ৫০০ টাকা, শিং ও টাকি মাছ কেজিপ্রতি ২৫০-৩৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা, নলা ১৮০-২২০ এবং চিংড়ি ৬০০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১২০০-১৪০০ এবং ছোট ইলিশের কেজি ৬০০-৭০০ টাকা।

বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা, বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। ২ টাকা বেড়েছে খোলা পাম অয়েলের দাম। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে  ১৩০- ১৩৫, এবং পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ থেকে ১৩৮ টাকা লিটার।