চায়ের স্মৃতিবিজরিত টুকরো অংশের সংগ্রহশালা



বিভোর বিশ্বাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চেয়ার-টেবিল। ছবি: বিভোর বিশ্বাস

বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চেয়ার-টেবিল। ছবি: বিভোর বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

 

স্মৃতি দুঃখজাগানিয়া। এই প্রেক্ষাপটে এসে অনেকেই বিগত দিনের স্মৃতিময় টুকরো টুকরো অংশ ফিরে যান। আর এই ভাবনা থেকেই ‘জাদুঘর’ প্রচলন। যেখানে বিগত দিনের পুরাতনী স্মৃতিনির্ভর বর্তমানের অব্যবহৃত উপাদানগুলোকে একে একে খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে চা বাগানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অতি প্রাচীন। ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চা চাষ শুরু হয়। এরপর চা বাগান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১৮৫৭ সালে সিলেটে বাণিজ্যিকভাবে চা শিল্পের বিকাশ শুরু। সেই ইতিহাসের শাখা-প্রশাখা তৎকালীন প্রেক্ষাপটের উজ্জ্বলতাকেই ধারণ করে। যুগের সঙ্গে প্রযুক্তির সংমিশ্রণে চা শিল্পের বিকাশের সুদীর্ঘ পথপরিক্রমা এরই অনেক নমুনা-স্মৃতিচিহ্ন স্থান পেয়েছে শ্রীমঙ্গলের টি রিসোর্টে অবস্থিত দেশের একমাত্র চা জাদুঘরে বা টি মিউজিয়ামে। এটি চায়ের স্মৃতিবিজরিত টুকরো অংশের সংগ্রহশালা। 

চা জাদুঘরে স্থান পাওয়া নানা চা সংশ্লিষ্ট নির্দশন। ছবি: বিভোর বিশ্বাস

চা বাগানে সেসব দুর্লভ জিনিসের পাশাপাশি রয়েছে স্বাধীনতার আগে চা বোর্ডের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহৃত চেয়ার-টেবিলও। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কমলগঞ্জের দিকে চলে গেছে যে সড়ক সেটি ধরে দুই কিলোমিটারের মতো এগোলেই বাংলাদেশ চা-বোর্ডের ‘টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম’। চা-বাগানে ঘেরা এ চায়ের জাদুঘরে বাংলাদেশের চা-শিল্পের প্রায় দেড়শ’ বছরের ইতিহাস ফুটে উঠেছে নানা সংগ্রহে-স্মারকে। সড়কের পাশ ঘেঁষা টিলার ওপর ছড়িয়ে থাকা টিনশেড ঘরগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে ঢুকতেই বঙ্গবন্ধুর আপাদমস্তক প্রতিকৃতি। খালি চেয়ার-টেবিলের পেছনে সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন (১৯৫৭-৫৮)। তখন তিনি এসেছিলেন নন্দরানী চা বাগানে। সে সময় তিনি যে চেয়ারে বসে মিটিং করেছিলেন সেই চেয়ারই এটি। টেবিলের এক কোনায় ছোট তথ্যে এসব জানা গেছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একে এম রফিকুল হক বলেন, প্রায় দেড়শ’ বছরের চা শিল্পের ইতিহাসের টুকরো টুকরো চিত্র যেন ফুটে উঠেছে চা জাদুঘরের সংগ্রহশালায়। চা বাগানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঐতিহ্যের নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের সঙ্গে এসবের পরিচয় করিয়ে দিতে বাংলাদেশ চা বোর্ড শ্রীমঙ্গলে ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর টি মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়। ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

পুরাতন আমলের টেলিফোন ও টাইপমেশিন। ছবি: বিভোর বিশ্বাস

দেশের বিভিন্ন চা বাগানে চা শিল্প-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পুরনো জিনিসপত্র ও নিদর্শন ফেলে না দিয়ে টি মিউজিয়ামে নিয়ে এলে আমরা ওগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দাতার নামসহ সংরক্ষণ করবেন বলে তিনি জানান।

টি মিউজিয়ামে স্থান পাওয়া দুর্লভ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের টারবাইন পাম্প, কাঠ-পাথরে রূপান্তরিত জীবাশ্ম, সার্ভে চেইন, হস্তচালিত নলকূপ, লিফট পাম্প, লোহার লাঙলের অংশ, কেরোসিনচালিত ফ্রিজ, লোহার টেবিল, পানির ফিল্টার, সিরামিক জার, ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রাচীন বৈদ্যুতিক পাখা, পুরনো টেলিফোন সেট, টাইপ রাইটার, প্রাচীন পিএইচ মিটার, দেয়াল ঘড়ি, প্রুনিং দা, কাটা কোদাল, ড্রায়ারের অংশ, প্রাচীন মুদ্রা, প্লান্টিং হো, রুপার মুদ্রা, তামার ঘটি, বেতার যন্ত্র, রিং কোদাল, লোহার পাপস, কম্পাস, ফসিল, চয়নযন্ত্র, খুন্তি, বাথটাব, লেদ মেশিন, উড়োজাহাজের খণ্ডাংশ, ট্রলি ও রেললাইন, ড্রেসিং টেবিল, চা শ্রমিকদের পূজা-অর্চনায় ব্যবহৃত কষ্টিপাথরের প্লেট, রুপার গয়না, মাদুলিসহ আরো অনেক রকমের নিদর্শন।

ন্যাশনাল টি কোম্পানির প্রাক্তন টি-প্লান্টার বি কে ভট্টাচার্য বলেন, এই টি মিউজিয়ামের গুরুত্ব আরো বিস্তৃত হতো যদি এর পাশে একটি টি লাইব্রেরি স্থাপন করা যেত। এতে চায়ের ওপর প্রকাশিত বিভিন্ন পুরনো প্রকাশনা, প্রতিবেদন কিংবা আমাদের মতো সাবেক টি প্লান্টারদের তালিকাসহ চায়ের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থাকলে নিঃসন্দেহে তা গবেষকদের অনেক উপকারে আসবে।

   

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;

টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি বিকাশ পেমেন্টে ১৫% ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল-এর নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।

টেন মিনিট স্কুল-এর লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/10minuteschool-bkash-offer লিংকটিতে।

 

;

এক দিনের ব্যবধানে ফের কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দামের উত্থান-পতন অব্যাহত আছে। একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকায়। নতুন এ দাম আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর গত ২১ এপ্রিল ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।

তার আগে, ২০ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মিয়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

;