সাশ্রয়ীমূল্যে আমরা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করতে চাই। জ্বালানির একাধিক বিকল্প উৎস থাকা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার (২৫ মে) বুধবার সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মহাপরিকল্পনার সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে জাইকার স্টাডি টীমের সাথে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমন্বিত মহাপরিকল্পনা হতে হবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির টেকসই অবকাঠামো বিনির্মাণের ভিত্তি। দক্ষ ব্যবস্থাপনার সাথে জ্বালানি সম্পদের চাহিদা ও সরবরাহের সবোত্তম সমন্বয় থাকবে। আগামীর সম্ভাব্য সমস্যা এবং তার সমাধান থাকবে এখনই। বাস-ট্রেন বিদ্যুতে চলাচল, গ্রীণ হাইড্রোজেন নিয়েও এ মহা-পরিকল্পনায় সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা থাকতে হবে। ইন্ডাকশন কুকার বা সোলার সেচ পাম্প নিয়েও কাজ করা যেতে পারে। ক্লীন এনার্জি পোর্টফোলিও উত্তরোত্তর বাড়ানোর প্রতিকল্প যেন থাকে।
তিনি বলেন, ফুয়েল মিক্সে প্রচলিত জ্বালানির সাথে আগামীর সম্ভাব্য জ্বালানির প্রতিফলন থাকা বাঞ্ছনীয়। বিদ্যুৎ বা গ্যাস ব্যবহারের অপরচুনিটি কষ্ট ও কৃষি বা শিল্পে ব্যবহার প্যাটার্ণও এখানে থাকতে পারে।
দ্য ইন্সটিটিউট অব এনার্জি ইকনোমিকস জাপান কর্তৃক প্রণীতব্য মহাপরিকল্পনার ষ্টাডি টীমের প্রধান ইচিরো কুতানি সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর ২০২২ নাগাদ খসড়া মহাপরিকল্পনা হবে। নভেম্বর ২০২২ নাগাদ অংশীজনদের
সাথে সভা করে তা চূড়ান্ত করা হবে। চাহিদার পূর্বাভাস, চাহিদা ও সরবরাহের সমন্বয়,রেফারেন্স দৃশ্যকল্প, নেট-শূন্য দৃশ্যকল্প, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দৃশ্যকল্প, জ্বালানি সংরক্ষণ, সাশ্রয়ী নবায়ণযোগ্য জ্বালনি, জ্বালানির বৈচিত্রকরণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈচিত্রময় জ্বালানি ব্যবস্থাপনার সাথে বিদ্যুৎ-জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিয়েও আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল এবং টেকসই নবায়ণযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গবেষণা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান দুটি জাইকার সাথে কাজ করলে আরো বাস্তবসম্মত ফল পাওয়া যাবে।
এসময় অন্যান্যের মাঝে জাইকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তোশিয়ুকি কোবাইয়াশ ও জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি তারো কাৎসোরাই উপস্থিত ছিলেন।