ভোগ্যপণ্যের দামে ভোক্তাদের বোবা কান্না!



তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। তাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। যেন সংসার চালানোর দায় হয়ে পড়েছে। তাই সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে বোবা কান্না।

সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দেখা গেছে খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামের চিত্র। এর প্রভাবে অস্থির হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫৮০ টাকা, ছাগলের (খাসি) মাংস ৭৫০, মুরগি ১৫০-২৫০ টাকা, মোটা চাল ৪০ টাকা, চিকন চাল ৫০-৮০ টাকা, ইলিশ মাছ ৬০০-৯০০ টাকা, সিংমাছ ৪০০ টাকা, অন্যান্য মাছ ৩০০ টাকা (গড়ে), সোয়াবিন তেল ১৬৫ টাকা, সরিষা তেল ১৯০ টাকা, বিভিন্ন ডাল ১০০-১৪০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা, শাক-সবজি (প্রকার ভেদে) ২৫-৮০ টাকা, প্রতি পিস ডিম ৯-১৪ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য মসলাসহ নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে আকাশচুম্বি। এসব দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, উত্তর জনপদের জেলা গাইবান্ধায় একসময় এ জেলাটি মঙ্গাপীড়িত হিসেবে পরিচিত ছিল। এই মঙ্গা দূরীকরণে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে সেই মঙ্গা নামটি ঘুচিয়ে স্বচ্ছলতা ফিরেছে সকল পেশা-শেণির মানুষের। এরই মধ্যে করোনার ধাক্কা আর দফায় দফায় ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে ফের শুরু হয়েছে নিরব দুর্ভিক্ষ। 

এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দফায় দফায় লকডাউন আর বিভিন্ন বিধি-নিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির কারনে কর্মহীন হয়ে পড়ে শ্রমজীবী মানুষেরা। সেই সঙ্গে নদীবেষ্টিত গাইবান্ধায় বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেন নিত্যসঙ্গী। এরপ্রভাবে মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো চরম আর্থিক সংকটে পড়ে। ইতোমধ্যে মধ্যে হুহু করে বেড়ে চলেছে ভোগ্যপণ্য কিংবা নিত্যপণ্য ও বিভিন্ন জিনিসিপত্রের দাম। এমন দামের কারনে একেবারই বেসামাল সাধারণ মানুষেরা। দিনদিন তাদের ব্যয় বাড়লেও, বাড়ছে না আয়-রোজগার। ফলে সংসার চলাতে হাঁসফাঁস উঠেছে তাদের।

বিদ্যমান পরিস্থিতি সামাল দিতে ছিন্নমূল পরিবারের অনেকে বেছে নিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি ও চুরি-চামারি কার্যকলাপ। সম্প্রতি সাদুল্লাপুরের আব্দুল মজিদ নামের এক ইজিবাইক চালককে খুন করে তার গাড়িটি নিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এমনকি শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দিনেদুপুরে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। সেই সঙ্গে মানুষের এই অভাব অনটনকে পুঁজি করে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় দাদনেরা। বিভিন্ন পরিবারের লোকজন তাদের দায়ভার সারতে ওইসব সুদারুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাদন ব্যবসায়ীরা চরা সুদ গ্রহণ করছে । 

এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে প্রচণ্ড আঘাত হানতে শুরু করেছে। অধিক দামে পণ্যসামগ্রী কেনা ভুক্তভোগীদের বোবা কান্না যেনো দেখার কেউ নেই। অস্থির এই বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকি না থাকলে সাধারণ মানুষ আরও বেকায়দায় পড়তে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

মনোয়ারুল ইসলাম নামের একজন স্বল্প আয়ের ব্যক্তি জানান, যেভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, সে তুলনায় আয় বাড়েনি তার। এতে করে পরিবারের চাহিদা পূরণে বাড়ছে ঋণের বোঝা।

তিনি আরও বলেন, আগে একাধিক তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়া হতো। এখন খাদ্যপণ্যের দাম বেশি হওয়ায় খাবারের আইটেম কমানো হয়েছে।

লতা ভ্যারাইটিজ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী নরেশ চন্দ্র সাহা বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল-ডাল-তেল-মসলাসহ সব ধরনের জিনিপত্রের দাম বেড়েছে। এতে করে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে ক্ষুব্ধতা দেখা দিয়েছে।

গাইবান্ধার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার লক্ষ্যে সম্প্রতি চাতাল-মিল মালিকসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে।

বিদেশ থেকে ইন্সট্যান্ট রেমিটেন্স সেবা এখন নগদ-এ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদেশ থেকে ইন্সট্যান্ট রেমিটেন্স সেবা এখন নগদ-এ

বিদেশ থেকে ইন্সট্যান্ট রেমিটেন্স সেবা এখন নগদ-এ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আর্থিক খাতে আরেকটি নতুন সাফল্যের পালক যুক্ত করল ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস। দেশের আর্থিক খাতকে মজবুত করতে এখন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে কম খরচে নগদ-এর মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আনা যাবে মুহূর্তেই। পাশাপাশি প্রতি হাজারে সরকারি বোনাস ২৫ টাকাসহ সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে নগদ।

নগদ লিমিটেড বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত একটি রেমিটেন্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার কার্যক্রম শুরু করেছে। এর ফলে এখন থেকে দেশের প্রবাসী ভাই-বোনেরা বিদেশ থেকে কম খরচে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও দ্রুততার সাথে দেশে তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে টাকা পাঠাতে পারবেন।

বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে নগদ একটি বোনাস ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় একজন গ্রাহক ১০ হাজার বা তার বেশি টাকা পাঠালে প্রতি লেনদেনে ১০০ টাকা বোনাস পাবেন এবং ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহক সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পেতে পারেন। আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চালু থাকবে।

নগদ রেমিটেন্স সেবার ফলে এখন আর প্রবাসীদের স্বজনদের রেমিটেন্স পাওয়ার জন্য কোনো ধরনের অপেক্ষা করতে হবে না এবং কোনো কর্মদিবসের ওপরও নির্ভর করতে হবে না। রেমিটেন্স সেবা ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকের জন্য খোলা থাকবে, ফলে চাইলেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মুহূর্তেই রেমিটেন্স পাঠানো যাবে নগদ-এ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত সকল দেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি, কাতার, কুয়েত, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও জাপান থেকে কম খরচে টাকা পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা। এসব দেশ থেকে পার্টনার এক্সচেঞ্জ হাউস, মানি ট্রান্সফার অপারেটর বা ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ-এ রেমিটেন্স পাঠানো যাবে।

প্রাথমিকভাবে দেশের সোনালী ব্যাংক লিমিটেড পিএলসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এবং ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড-এর পার্টনার এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে দেশে নগদ ওয়ালেটে টাকা পাঠানো যাবে। ক্রমাগত দেশের সকল ব্যাংকের মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বত্র নগদ এ সেবা ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাবে।

নগদ-এর এমন সেবা চালুর বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে চেষ্টা করেছি মানুষের জীবন সহজ করার জন্য। তারই অংশ হিসেবে আজ যুক্ত হলো রেমিটেন্স, এরফলে প্রবাসী ভাই-বোনেরা এখন কম খরচে তাৎক্ষণিকভাবে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। বাজারে বিদ্যমান এমএফএস সেবাগুলোর মধ্যে নগদ কম খরচে দেশে রেমিটেন্স আনার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।’ নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘দেশের আর্থিকখাতে রেমিটেন্স একটি শক্তিশালী বিষয়, এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে।

আমরা খুবই গর্বিত যে, বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর এই প্রক্রিয়ায় আমরা সম্পৃক্ত হতে পারলাম, এক্ষেত্রে দেশও লাভবান হবে। আমরা এমন আরো অনেক সহজলভ্য সেবা নিয়ে প্রবাসী ভাই-বোনদের পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর। এই যাত্রায় আমরা দেশের সকল প্রবাসী ভাই-বোনদের নগদ-এর পাশে পাব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

;

সোনার ভরি ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রেকর্ড দাম বৃদ্ধির পর চার দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম দুই দফা কমে আবার বাড়ানো হয়েছে। তাতে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ছে। এর ফলে ভালো মানের ২২ ক্যারেট সোনার ভরি ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহসভাপতি এমএ হান্নান আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে সারা দেশে নতুন দর কার্যকর হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।

এর আগে বুধবার সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম কমানো হয় ১ হাজার ১৬৭ টাকা। এতে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তার আগে মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে বুধবার ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়।

তারও আগে, ১৮ মার্চ এক লাফে সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এতো বাড়েনি।

নতুন দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

;

রমজানে শত -শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বপ্ন

স্বপ্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান উপলক্ষে শত-শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে সুপারমার্কেট রিটেইল ব্র্যান্ড চেইনশপ ‘স্বপ্ন’ । প্রতি সপ্তাহের শুক্র এবং শনিবার ক্রেতারা ‘স্বপ্ন’ থেকে সবসময় বিভিন্ন পণ্যে ছাড় পেয়ে থাকেন। আর এবার মাহে রমজান উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি পণ্যের উপর ছাড় ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্বপ্নের হেড অব মার্কেটিং মাহাদী ফয়সাল বলেন, রমজানের শুরুতে টানা অফার থাকছে আমাদের। বিশেষ করে রমজানের শুরুতেই প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোতে বিশাল ছাড় থাকছে। এছাড়া পুরো রমজানজুড়ে শত-শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে ‘স্বপ্ন’ ।

বিশেষ করে রমজানের শুরুতেই, পুষ্টি সয়াবিন তেল ৫ লিটার ৮৭০ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, এসিআই লবণ ১ কেজি ৮ টাকা ছাড়, খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১২ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৯৯ টাকা, ট্যাং ২ কেজি ১৫০ টাকা ছাড়, ম্যাগি নুডলস ৭৪৪ গ্রাম ৩০ টাকা ছাড়, ডানো মিল্ক পাউডার ১ কেজি ৫১ টাকা ছাড়, হেড এন্ড শোল্ডার’স শ্যাম্পু ৬৫০ মিলি ৩০০ টাকা ছাড়, ইস্পাহানি চা পাতা ৪০০ গ্রাম ৩০ টাকা ছাড় থাকছে।

এছাড়াও সুলতান ও স্বপ্ন ব্ল্যাকটিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত ছাড়, আড়ং ও প্রাণ ঘি ৪০০ গ্রাম ৬০ টাকা পর্যন্ত ছাড়, ডাবর মধু ৫০০ গ্রাম ৭০ টাকা ছাড়সহ নানা পণ্যে চলতি সপ্তাহের ২৪ থেকে ২৬ মার্চ অবধি থাকছে বিশাল ছাড়।

;

দুই দফা কমে আবার বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সোনার বাজারে অস্থিরতা চলছে। রেকর্ড দাম বৃদ্ধির পর চার দিনের ব্যবধানে সোনার দাম দুই দফা কমে আবার বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে সোনার এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বুধবার সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম কমানো হয় ১ হাজার ১৬৭ টাকা। এতে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তার আগে মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে বুধবার ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়। 

তারও আগে, ১৮ মার্চ এক লাফে সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এতো বাড়েনি।

নতুন দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

;