মাছের বাজার গরম
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে নাভিশ্বাস নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা পযর্ন্ত বেড়েছে মাছের দাম। গরিবের মাছ বলে পরিচিত পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকায়। মাছের চেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। কেজি প্রতি দাম পড়ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা।
শুক্রবার (৪ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, খিলক্ষেত বাজার, আজিমপুর কাঁচাবাজার ও হজ ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে আকারভেদে কেজি প্রতি পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে পাঙাশ ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকা, রুই, কাতল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে মৃগেল, মরা তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, তাজা বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, শোল পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, কই ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, শিং ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। আকারভেদে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
আগের চড়া দামেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও মাছের চেয়ে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭৫ থেকে ২৮০ টাকা। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা এবং খাসি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
শাহিনা আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে এসে দেখি মাছের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কম। তাই মাছ কম করে নিয়ে ব্রয়লার মুরগি বেশি কিনেছি। সবকিছুর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে সামনে কিভাবে চলব সেটা চিন্তা করলেই মাথা ঘুরায়!
বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। প্রতি পিস মাঝারি আকারের ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা আর বড় আকারের ফুলকপি ৫০ টাকায়, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম প্রতিকেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, করলা ৭০, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। খিরা ৪০, পেঁপে ৩০, গাজর ৪০, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, ঝিঙে ৬০, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের নির্ধারিত দাম প্রতিলিটার ১৬৮ টাকা হলেও অনেক দোকানেই ১০-১২ টাকা বেশি নিয়ে বিক্রি করছে ১৮০ টাকা পযর্ন্ত। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার নির্ধারিত মূল্য ১৪৩ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৬২ থেকে ১৬৪ টাকা দরে। পাম তেলের ক্ষেত্রেও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। প্রতি লিটার ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।
এদিকে বাজারে প্রতি কেজি প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকা, মাঝারি মানের চালের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকা। দাম বেড়ে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকা কেজি।