বাড়ল মুরগির দাম, স্বস্তি পেঁয়াজ-সয়াবিনে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

রাজধানীর বাজারে আরও বেড়েছে মুরগি, আটা ও ডালের দাম। বিপরীতে কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তে থাকা পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। এছাড়া চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ ও সবজি।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলক্ষেত বাজার, মহাখালি কাঁচাবাজার ও হজ্ব ক‍্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

বাজারে দাম বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকায়, গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়।

ব‍্যবসায়ীরা বলছেন, শবেবরাত উপলক্ষে সবাই বেশি করে মুরগি, গরুর মাংস কিনছেন। চাহিদা অনুযায়ী মুরগির সরবরাহ কম। ফার্ম থেকে বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সপ্তাহের ব‍্যবধানে বাজারে দাম কমেনি কোন সবজির। প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, করলা কেজি ১০০ টাকা, টমেটোর কেজি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ও পাতাকপি আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, মুলা কেজি ৪০ টাকা, গাজর প্রতিকেজি ৪০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা ও মটরশুঁটি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ক্ষীরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, লেবু হালি ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা কেজি দর বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। চাষের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, বড় কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, শিং ও টাকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। এছাড়া আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।

ভ‍্যাট প্রত‍্যাহারের পর স্বস্তি ফিরে এসেছে সয়াবিন তেলে। বাজারে ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৭৯৫ থেকে ৮০০ টাকায়, এক লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। খোলা পামওয়েল তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়, পামওয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।

পাইকারিতে চালের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম বাড়তি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

কেজিতে ৩ টাকা টাকা পযর্ন্ত বেড়েছে আটার দাম। বাজারে খোলা আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। প‍্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা এবং প‍্যাকেটজাত ময়দা ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

কয়েক সপ্তাহ ঝাঁজ ছড়িয়ে কমেছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকায়, হলুদ বিক্রি হচ্ছে২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, শুকনা মরিচ ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়।

বাজারে মোটা মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়, ছোট মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১৩০ টাকায়। মুগ ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকায়, এ‍্যাংকর ডাল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং ছোলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়।