২০২২-২০২৩ বছরে শ্রীমঙ্গলের চা নিলামসূচি
চা বাগান থেকে উৎপন্নকৃত চা পাতা সরাসরি বিক্রয় করা যায় না। বিক্রয় করতে হলে প্রকাশ্য নিলামের প্রয়োজন পড়ে। বৃটিশ শাসনামল থেকে এই প্রথা প্রচলিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে দুইটি স্থানে বর্তমানে চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে।
শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্র হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র, যা সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত। ২০১৭ সালের ৮ই ডিসেম্বর তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিলাম কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু নানান জটিলতার কারণে সেটি তখন চালু হয়নি।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৪ মে চা নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিটিএবি) সূত্র জানায়, দেশের দ্বিতীয় নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধনের পর বাংলাদেশে চা বোর্ডের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজারে ৫টি ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার্স লিমিটেড, জালালাবাদ টি ব্রোকার্স, এসটি ব্রোকার্স লিমিটেড, এসটিএলটি ব্রোকার্স লিমিটেড ও গ্রেটার সিলেট টি ব্রোকার্স লিমিটেড।
২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে মোট ২৩ দিন চা নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১৭টি এবং আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৬টি নিলাম হবে।
সপ্তাহের মাঝে শুধুমাত্র ‘বুধবার’ ভিন্ন ভিন্ন তারিখে নিলামের মাধ্যমে চা ক্রয়বিক্রয়ের আয়োজন করা হবে। গড়ে প্রতি মাসে দু’টি তারিখে ক্রেতাবিক্রেতার এই বর্ণাঢ্য মিলনমেলার বিন্যাস করা হয়েছে।
১ম নিলাম থেকে ৮ম নিলামের তারিখ যথাক্রমে: ২৭ এপ্রিল ২২, ১১ মে ২২, ২৫ মে ২২, ৮ জুন ২২, ২২ জুন ২২, ৬ জুলাই ২২, ২০ জুলাই ২২ এবং ১০ আগস্ট ২২।
৯ম নিলাম থেকে ১৭তম নিলামের তারিখ যথাক্রমে: ২৪ আগস্ট ২২, ৭ সেপ্টেম্বর ২২, ২১ সেপ্টেম্বর ২২, ১২ অক্টোবর ২২, ২৬ অক্টোবর ২২, ৯ নভেম্বর ২২, ২৩ নভেম্বর এবং ৭ ডিসেম্বর ২২ এবং ২১ ডিসেম্বর ২২।
২০২৩ সালের ১৮তম নিলাম থেকে ২৩তম নিলামের তারিখসমূহ: ৪ জানুয়ারি ২৩, ১৮ জানুয়ারি ২৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২৩, ১ মার্চ ২৩ এবং চা উৎপাদন মৌসুমের সর্বশেষ নিলাম হবে ১৫ মার্চ ২৩।