বর্তমান রিজার্ভে সাড়ে ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব!
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলসহ সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। এর সঙ্গে বেড়েছে জাহাজের ভাড়াও। এতে করে বেড়েছে আমদানি ব্যয়। যার চাপ গিয়ে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়, সে পরিমাণ বাড়েনি রফতানি। আবার প্রবাসী আয়ও কমে গেছে। ফলে প্রতি মাসে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এ কারণে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে জোগান দিতে হচ্ছে আমদানির খরচ। এখন দেশে যে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনও কমফোর্ট জোনে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৮ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ৪১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে প্রায় ৫ দশমিক ৬ মাসের আমদানি বিল মেটানো সম্ভব।
রোববার (১২ জুন) অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) আয়োজিত ব্যাংকারদের সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতন করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও প্রস্তুত হতে ‘বিল্ডিং সাইবার রেজিলিয়েন্স ফর ব্যাংকস’ শীর্ষক সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, অন্তত তিন মাসের আমদানি বিল নিষ্পত্তির জন্য পর্যাপ্ত রিজার্ভ রাখা যেকোনো দেশের জন্য মানদণ্ড। সুতরাং, আমরা এখনও একটি কমফোর্ট জোনে আছি।
যদিও স্বাভাবিক সময়ে, এটি যথেষ্ট। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ৯ থেকে ১০ মাসের আমদানি বিল রাখার সুপারিশ করেছে।
গত বছর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯-১০ মাসের আমদানি বিল মেটানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতি খোলার সাথে সাথে এবং পুরোদমে বাণিজ্য শুরু পর থেকে রিজার্ভ কমতে শুরু করে।
মহামারির জন্য সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধার ফলে রেমিট্যান্স হ্রাস এবং বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি রিজার্ভ চাপের মধ্যে পড়ে।
গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে প্রতি মাসে গড়ে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি হয়েছে। এক বছর আগেও এটি ছিল ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন।