যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের সকল ফি দেওয়া যাবে ‘নগদ’-এ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের সকল ফি দেওয়া যাবে ‘নগদ’-এ

যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের সকল ফি দেওয়া যাবে ‘নগদ’-এ

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহক ও উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ফি পরিশোধের সুবিধার্থে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের (আরজেএসসি) সকল ফি পরিশোধ করা যাবে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বর্তমানে আরজেএসসি-এর অধীনে প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজারের অধিক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত রয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সহজেই তাদের নামের ছাড়পত্র গ্রহণ, কোম্পানি বা সোসাইটি নিবন্ধন সহ যেকোন সার্টিফাইড কপি প্রাপ্তির আবেদন ফি সহজেই পরিশোধ করতে পারবে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে।

সম্প্রতি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম, হেড অব বিজনেস সেলস মো. সাইদুর রহমান, হেড অব ইউটিলিটি অ্যান্ড এডুকেশন পেমেন্ট সোহেল এস তাসনীম এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক (অতিরিক্ত সচিব) শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি, অতিরিক্ত নিবন্ধক (যুগ্ম সচিব) সন্তোষ কুমার পন্ডিত পিএএ, উপনিবন্ধক রণজিৎ কুমার রায়সহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরজেএসসি ও ‘নগদ’-এর মধ্যে এই চুক্তির ফলে এখন থেকে গ্রাহক ও উদ্যোক্তারা খুব সহজেই যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের নামের ছাড়পত্রের ফি, কোম্পানি নিবন্ধন ও সার্টিফাইড কপি গ্রহনের ফি নগদের মাধ্যমে প্রদান করবে। পরবর্তীতে অন্যান্য সেবার ফিও নগদের মাধ্যমে গ্রহন করা হবে। যেমন- রিটার্ন ও উইনিং আপ। ফলে গ্রাহকেরা ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে বাঁচাতে পারবেন তাদের মূল্যবান সময় ও অর্থ। পাশাপাশি গ্রাহকদের এই ধরনের অর্থ লেনদেন প্রক্রিয়া হবে অনেকটাই ঝামেলাহীন ও ঝুঁকিমুক্ত।

ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা ‘নগদ’ অ্যাপ এবং ইউএসএসডি (*১৬৭#) এই দুটি অপশন ব্যবহার করে আরজেএসসি-এর পেমেন্ট করতে পারবেন। এ ছাড়া কেউ চাইলে উদ্যোক্তার মাধ্যমেও আরজেএসসি-এর ফি পরিশোধ করতে পারবেন। তবে আরজেএসসি-এর এই ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে ফি প্রদানকারীকে এক শতাংশ চার্জ দিতে হবে, যা সর্বোচ্চ ১০০ টাকা।

‘নগদ’ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে আরজেএসসি-এর ফি পরিশোধের জন্য প্রথমে ‘নগদ’ অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘বিল পে’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর RJSC/১৪২০ টাইপ করে সাবমিশন বা রেফারেন্স আইডি দিতে হবে এবং সকল তথ্য যাচাই করে পিন টাইপ করে ট্যাপ অপশনে ধরে রাখতে হবে। বিল পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে গেলে গ্রাহকদের একটি কনফার্মেশন এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ ছাড়া আরজেএসসি-এর ফি ‘নগদ’ ইউএসএসডি’র মাধ্যমে পরিশোধ করতে চাইলে প্রথমে *১৬৭# ডায়াল করতে হবে। তারপর ৫ নম্বরে বিল পে সিলেক্ট করে ১২ নম্বরে অন্যান্য অপশন নির্বাচন করতে হবে। বিলারের অ্যাকাউন্ট নম্বর টাইপ করে সাবমিশন বা রেফারেন্স আইডি দিতে এবং সকল তথ্য যাচাই করে পিন টাইপ করে বিল পে করতে হবে। বিল পেমেন্ট সম্পন্ন হলে গ্রাহকেরা একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন।

গ্রাহকেরা আরজেএসসি-এর বিল পেমেন্ট করার সময় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে ‘নগদ’-এর গ্রাহক সেবা নম্বর ০৯৬ ০৯৬ ১৬১৬৭ অথবা ১৬১৬৭ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এই চুক্তির বিষয়ে ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, ‘ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে ‘নগদ’ শুরু থেকে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকেছে। আরজেএসসি-এর এই চুক্তির ফলে কয়েক কোটি মানুষের জীবন আরো সহজ হয়ে যাবে।’

যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র অফিস, যা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোম্পানি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গঠনের সুবিধা প্রদান করে এবং এর মালিকানা সম্পর্কিত সকল নথিপত্র সংরক্ষণ করে।

জমি রেজিস্ট্রির খরচ বাড়ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়াতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সম্পত্তি নিবন্ধন কর দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সম্পত্তি নিবন্ধন কর বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার পরামর্শ দেন। বর্তমানে এই কর হার রয়েছে ৪ শতাংশ।

উদাহরণস্বরূপ, রাজধানীর গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলকুশা, নর্থ সাউথ রোড ও মহাখালী এলাকায় সম্পত্তি কিনলে ক্রেতাকে বর্তমানে নিবন্ধনের জন্য কাঠা প্রতি দলিল মূল্যের ৪ শতাংশ বা ১০ দশমিক ৮ লাখ টাকা ট্যাক্স হিসেবে দিতে হয়।

জুলাইয়ে আসন্ন অর্থবছর থেকে এই পরিমাণ জমির দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ২০ লাখ টাকা বা তার বেশি দিতে হতে পারে।

বর্তমানে যে কোনো জেলার পৌর এলাকায় জমি হস্তান্তরে ৩ শতাংশ কর দিতে হয়। অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এই কর হার ৬ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন।

অনির্দিষ্ট সময়সূচিতে কোনো এলাকার সম্পত্তি হস্তান্তরে ১ শতাংশ করের পরিবর্তে আগামী অর্থবছরে ২ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী আজ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন।

এটি দেশের ৫২তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড়। বাজেটটি ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত জিডিপির ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকসহ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা এবং বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬৭ হাজার কোটি টাকা বেশি।

;

কাতারের সঙ্গে এলএনজি আমদানির ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কাতারের সঙ্গে এলএনজি আমদানির ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি

কাতারের সঙ্গে এলএনজি আমদানির ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সকল প্রকার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে।

প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১ জুন ) কাতারের দোহায় বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের ১৫ বছর মেয়াদীচুক্তি স্বাক্ষর অনুঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।

কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যকার এই জ্বালানি মৈত্রী, দুই দেশের বিরাজমান বন্ধুত্বে এক নতুন মাত্রা যোগ করলো। পৃথিবীজুড়ে জ্বালানি অস্থিরতার এই সময়ে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক অর্জন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দক্ষতার জন্যই দ্রুত এই দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়েছে।

কাতারে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন সেরিদা আল কাবি চুক্তি স্বাক্ষর অনুঠানে বলেছেন, বাংলাদেশে বৃহত্তম এলএনজি সরবরাহকারী দেশ হতে পেরে আমরা গৌরাম্বিত। বার্ষিক ৩.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবারাহ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ নাথ সরকার ও কাতার এনার্জি ট্রেডিং এর পক্ষে নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আহমাদ আল হোসাইনি স্বাক্ষর করেছেন। ০১ জুন ২০২৩ তারিখে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি ১৫ বছর (২০২৬ সাল হতে ২০৪০) মেয়াদী। ২০২৬ সালে ১২ কার্গো এলএলজি (অতিরিক্ত ১২ কার্গো অপশনসহ) এবং ২০২৭ সালে ২৪ কার্গো এলএনজি (যা কম বেশি ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি’র সমতুল্য) বাংলাদেশে আসবে।

উল্লেখ্য যে, কাতারে রাস গ্যাস এর সাথে প্রথম চুক্তি হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ১৫ বছর (২০১৮ সাল হতে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত) মেয়াদী এই চুক্তি হতে ১.৮-২.৫ এমটিপিএ এলএনজি (বর্তমানে ২.৫ এমটিপিএ, ৪০ কার্গো এলএনজি) পাওয়া যাচ্ছে। উভয় চুক্তিই কাতারের সাথে জি টু জি প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে।

এসময় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

 

;

আরও কমল জ্বালানি খাতের বরাদ্দ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বরাদ্দ অর্ধেক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে মাত্র ৯৯৪ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ছিল ১৮৭০ কোটি টাকা, আর সংশোধিত বাজেটের আকার ছিল ১৯০২ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মন্ত্রী তার বক্তৃতায় দেশীয় খনিজ সম্পদকে অনেকটাই পাশ কাটিয়ে গেছেন। জ্বালানি তেলের মুজদ সক্ষমতা ‍বৃদ্ধি, পাইপলাইনের লম্বা ফিরিস্তি দিলেও দেশের চরম গ্যাস সংকট এবং তার মোকাবেলায় তেমন কোন দিকনির্দেশনা নেই। যেমনটি বিগত বাজেটেও দেখা যায় নি। তিনি বলেছেন, দেশের একমাত্র তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর ফলে দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ৯৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ৪৬টি কূপ খনন করা হবে। এতে আরও ৬১৮ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

গত বাজেটের মতো এবারও এলএনজি আমদানির ফিরিস্তি দিয়েছেন। অথচ জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন, জ্বালানি বিভাগকে গুরুত্ব কম দেওয়ার কারণে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। প্রাথমিক জ্বালানির সংকটের কারণে বসে থাকছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এতে করে একদিকে জনগণ লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন, অন্যদিকে বসিয়ে রেখেও কোটি কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচেছ।

বাংলাদেশের ভু-খন্ডে গত ১১২ বছরে(প্রথম কূপ খনন ১৯১০ সালে) ৯৮টি অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কার হয়েছে। এর বাইরে রয়েছে মোবারকপুর ও কশবার মতো কয়েকটি ফিল্ড। যেগুলোতে গ্যাসের আঁধার পেলেও বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য নয় বলে ঘোষণা করা হয় নি। প্রতিবেশী ত্রিপুরা রাজ্যে ছোট্ট আয়তনে কূপ খনন করেছে ১৬০টি। তারা ১৬০টি কূপ খনন করে মাত্র ১১টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করেছে,এরমধ্যে ৭টি থেকে উৎপাদন করছে।

সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার‌্যক্রম এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে গভীর সমুদ্র এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে গেছে এখনও হিসেবের বাইরে। সাগরে আমাদের পাশের সীমানা থেকে মায়ানমার গ্যাস উত্তোলন করছে,অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের পাশে অশোকনগরে তেল আবিস্কার করেছে ভারত।এতে করে এতোদিন যারা দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা অঞ্চল) গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই মনে করতেন তারাও এখন নড়েচড়ে বসেছেন।

বাংলাদেশ প্রতি ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটারের একটি করে কূপ খননের লক্ষ্যে কাজ করছে, আমেরিকা প্রতি ১৪ বর্গকিলোমিটারের ১টি এবং ভারত ১৮.৬ বর্গকিলোমিটারের ১টি কূপ খনন মানদন্ড বিবেচনায় কাজ করছে। শুধুমাত্র অনুসন্ধান কার‌্যক্রমের ঢিলেমির কারণে দেশকে চরম মাসুল দিতে হচ্ছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত স্থবিরতা দেশকে চরম সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। গ্যাস সংকট সামাল দিতে গিয়ে বিদেশ থেকে উচ্চদরে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। যার ফল এখন ভুগতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানো। বাংলাদেশে প্রচুর গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বাজেটে সেই প্রত্যাশার কোনই প্রতিফলন দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।

;

দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের দাম বাড়বে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে। প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শিরোনামে উত্থাপিত বাজেটে এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

বাজেট প্রস্তবানায় বলা হয়, মোবাইল ফোনের উৎপাদক কর্তৃক স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ০ (শূন্য) শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ, সংযোজন পর্যায়ে যথাক্রমে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭.৫ শতাংশ মূসক আরোপপূর্বক প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ ৩০ জুন, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করছি। এছাড়াও উল্লিখিত প্রজ্ঞাপনের কতিপয় শর্ত যৌক্তিকীকরণ ও নতুন শর্ত সংযোজনের প্রস্তাব করছি।

নতুন বাজেটে যেসব প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই বানাবে এবং মুঠোফোন উৎপাদন করবে, সেসব কোম্পানির ওপর ২ শতাংশ হারে ভ্যাট বসবে। বর্তমোনে এ ক্ষেত্রে কোনো ভ্যাট নেই। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান মুঠোফোন সংযোজন করে, তাদের ক্ষেত্রে দুভাবে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন কমপক্ষে দুটি যন্ত্রাংশ নিজেরা বানিয়ে মুঠোফোন বানালে এখন ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়, এখন তা বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও একইভাবে কর বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে নতুন বাজেটে।

জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ইতিহাসের বৃহত্তম এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে এবারের বাজেটের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ডলার সংকটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা।

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের চূড়ান্ত আকার (ব্যয়) ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে আয় ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ৫ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা।

;