রেমিটেন্স ও প্রবাসী জনশক্তি সমাচার



মো: মোসলেহ উদ্দিন
রেমিটেন্স ও প্রবাসী জনশক্তি সমাচার, সংগৃহীত

রেমিটেন্স ও প্রবাসী জনশক্তি সমাচার, সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের অবদান অসামান্য।  ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথম জনশক্তি রফতানি শুরু হয়। ১৪ হাজার জনের প্রথম দলটি কাজের সন্ধানে মধ্যেপ্রাচ্যে যায় সরাসরি রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায়। সেবছরই তাদের মাধ্যমে দেশে পাঁচ কোটি ডলার রেমিটেন্স প্রবেশ করে। এরপর থেকে প্রতিবছর বিদেশগামীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একই সাথে মধ্যেপ্রাচ্যের বাইরেও এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকাসহ বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়। পর্যায়ক্রমে বিদেশগামী মানুষের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এক সময় তা কোটি ছাড়ায়।

বর্তমানে ১৩ মিলিয়ন বা এক কোটি ত্রিশ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অভিবাসী  বা প্রবাসীর তালিকায় সর্বাধিক বিশটি দেশের মধ্যে চতুর্থ।  তবে আয় বিচারে শীর্ষ দশ দেশের মাঝে এর অবস্থান সপ্তম। প্রধানত: অদক্ষ কর্মী প্রেরণ এবং পোস্ট মাইগ্রেশন সুপারভিশনের অভাবই জনশক্তিতে চতুর্থ থাকার পরও আয় সূচকে সপ্তম অবস্থান। অধিকন্ত অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় , ভিসা বিড়ম্বনা এবং এয়ার  টিকেট হয়রানি তো আছেই। যার সর্বশেষ নজির দেখা গেল করোনা-পরবর্তী  প্রবাসিদের বিদেশ গমনে ঘাটে ঘাটে ঘটে যাওয়া  নানা তিক্ত অভিজ্ঞতার  চিত্র থেকে।

২০২০ সালের শুরুতে কিংবা সামান্য আগে স্বাভাবিক সময়ে ছুটিতে দেশে আসা প্রবাসীরা আচমকাই আটকা পড়েন বিশ্বময় কোভিড- ১৯ এর কারণে। এর মাঝে বাধ্য হয়ে পুরো বছর দেশে কাটানোয় তাদের অনেকের ছুটির মেয়াদ, অনেকের আবার ছুটি এবং ভিসা উভয়টির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। যাদের ভিসা এবং আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র ঠিক আছে তারা ফিরে যাবার ব্যাপারে আশাবাদী থাকেন। চাকুরীদাতা কোম্পানী এবং ব্যক্তি তরফে বলা হয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ডাক পড়তে পারে। এমনই আশা-নিরাশার দোলাচলে যাপিত সময়ের পর প্রবাসীরা হন কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখী। প্রথম দিকে সৌদি আরবে কর্মরত শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার ডেটলাইন  ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেরার শেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ নানা কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে থাকে। শুরু হয় নয়া অনিশ্চয়তা।

প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে প্রথম বিরোধ বাধে বাংলাদেশ বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের মাঝে পরিবহন  ইস্যু নিয়ে। সৌদিয়া একাই সব যাত্রী বহন করতে চাইলে সঙ্গত কারণে বাধ সাধে বিমান। সপ্তাহের ব্যবধানে উভয় এয়ারলাইন্সের সম্মতিতে সমঝোতমূলক সমাধান হয় যে, উভয়েই যাত্রী বহন করবে। প্রবাসী শ্রমিকরা আশ্বস্ত হয় এবং টিকেটের জন্য দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইন্স অফিসে। কিন্তু নানা অজুহাতে টিকেট প্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটে। এখানে ওখানে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত এবং অনিশ্চিত টানপোড়েনে পড়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ ‍শুরু করে। এহেন পরিস্থিতিতে সক্রিয় হয় পররাষ্ট্র এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অতপর ধী‌রে ধী‌রে তা‌দের হাতে টিকেট পৌঁছায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি টাকায়।

বিড়ম্বনা এবং প্রতারণার শিকার হন অনেকেই কোভিড টেস্ট নিয়েও। রিপোর্ট প্রাপ্তিতে বিলম্ব, বেসরকারি হাসপাতালের অতিরিক্ত ফি, এবং রিপোর্ট জালিয়াতির শিকার হয়ে দিশেহারা প্রবাসীরা ’ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি’ অবস্থার শিকার হয়। এভাবেই ত্যক্ত বিরক্ত প্রবাসীরা নানা জটিলতার মাঝেই পর্যায়ক্রমে দেশ ছাড়েন। কর্মস্থলে পৌঁছা অনেক প্রবাসী এখনো সে সময়কার বিভীষিকাময় অবস্থার কথা বলতে হাঁপিয়ে উঠেন। বলেন, এমন অবস্থা বিশ্বের আর কোনো দেশের প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ঘটেনি।

করোনা সংকটকালের দু’বছর বলতে গেলে প্রবাসীদের রেমিটেন্সের অতিপ্রবাহ আমাদের অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি ধরে রাখতে সহায়তা করে। এ অবস্থায় আমা‌দের উচ্ছা‌সের সীমা ছিল না। কিন্তু জাতি হিসেব আমরা প্রবাসীদের প্রতি তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ন্যূনতম সৌজন্যতা বা কৃতজ্ঞতাবোধ দেখানোর গরজ আগে যেমন দেখাই‌নি তেমন করে এবারও ব্যর্থ হয়েছি। আর সেকারণেই হয়তো  এখন তাদেরকে দাবি করে বলতে পারছি না, ভাইসব, দেশের স্বার্থে আপনাদের রেমিটেন্সের সমুদয় টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলেই পাঠান। রেমিটেন্সের টাকার উপর দুই  থেকে আড়াই পার্সেন্ট প্রণোদনা যোগ করে ভাব দেখানোর চেয়ে তাদের প্রতি সম্মান দেখানোটা যে বেশি জুরুরি তা কিন্তু আমাদের কল্পনায়ই আসেনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের প্রধান অপর মাধ্যমটি হলো রফতানি আয়। যদিও  রফতানি পণ্য তৈরির কাঁচামাল এবং মূলধন মেশিনারিজ আমদানিতে রফতানি আয়ের একটা বড় অংশ ফের বিদেশেই চলে যায়। সেক্ষেত্রে রেমিটেন্স আয়ই মূলত বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ভারসাম্য নিশ্চিত করে।  বর্তমান বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রফতানি আয়ের নিম্নমুখীতায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যখন চাপ তখন রেমিটেন্স প্রবাহের ভাটা নয়া শংকার কারণ হয়ে দাঁড়ি‌য়ে‌ছে। টাকার বিপরীতে ডলারের রেটের দ্রুত উলম্ফনের ধারায় প্রবাসীরাও প্রভাবিত হন।  ব্যাংকের চেয়ে বেশি রেটের হুন্ডি মুদ্রা বাজারের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে।

এখন দেশের স্বার্থে রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসীদের মন গলাতে রাষ্ট্রীয় পক্ষে উদ্যোগ নেয়াটা বেশি জরুরি। সেলক্ষ্যে বেশি রেমিটেন্স উৎসের দেশ সমূহে রেমিটেন্স সেবায় বিশ্বস্ত এবং অগ্রগামী ব্যাংকার সমন্বয়ে  সরকারি/‌বেসরকা‌রি প্রতিনিধি দল পাঠানো যায়। পাশাপাশি প্রবাসিদেরও ন্যূনতম সম্মান  এবং সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়ে  বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান থেকে আশ্বস্ত করতে হবে। অভিবাসন ব্যয় ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা, প্রবাসীদের পক্ষে দূতাবাসসমূহের সহায়ক ভূমিকা পালন. মানবপাচারকারীদের দৌরাত্ম  ও  বিমানবন্দরের হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চয়তা দিতে হবে, ইত্যাদি।

বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের কারণে রফতানিকারকরা রাষ্ট্রের কাছে সম্মানিত এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হতে পারলে প্রবাসীরা কেন নয়?

ফলে, জাতীয় দা‌য়িত্ব‌বোধ থেকে  প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে  পূর্বেকার ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য একবার হলেও ”সরি” বলে তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো উচিত এবং তাদের রেমিটেন্সের টাকার শতভাগ যেন ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠিয়ে বরাবরের মতোই  দেশের পাশে থাকেন, তা নিশ্চিত করাও জরুরি।

লেখক: ব্যাংকার, কবি ও কলামিস্ট

   

তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর ওয়ার্কওভার কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদনে যাওয়া যাবে। এবং তা জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে জেলার সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন কূপ সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কূপটির ওয়ার্কওভার কাজ সম্পন্ন করেছে। এখান থেকে প্রতিদিন ১৩-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ।

কূপ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দৈনিক ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপটি সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড এলাকায় ২০২০ সালে খনন করা হয়। তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ওঠায় ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে কূপটি বন্ধ ঘোষণা করে গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর বিজিএফসিএল পরিচালিত তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা ৭টি কূপের ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪টি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ করবে বাপেক্স। বাকি ৩টির কাজ দেওয়া হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে। গত ১৯ মার্চ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বাপেক্স। যা চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে শেষ হয়। এরপর গতকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় কূপ থেকে। প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১৩-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাঈল মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ১৪ নম্বর কূপটি থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে পুরোদমে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদনে যাওয়া যাবে এবং উত্তোলিত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করা যাবে।

;

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন চট্টগ্রামের আলম



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আবু আলমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

আবু আলমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার কাতারে এবার যুক্ত হলেন বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবু আলম। ঈদ উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে নগদ ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি। হয়েছেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৬তম মিলিয়নিয়ার।

মঙ্গলবার (২১ মে) বন্দর নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজ’ এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আবু আলমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান এবং চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজালাল হোসেন লিমন, ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার আব্দুল বারী, রেজিওনাল সেলস ম্যানেজার নেসার উদ্দীন, কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজের সত্ত¡াধিকারী আব্দুল কাদের খান।

আসন্ন ঈদ উৎসবকে ঘিরে ক্রেতাদের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়াও পাচ্ছেন নগদ এক লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আবু আলম গত ১৩ মে কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজ থেকে ৪৭ হাজার টাকায় ওয়ালটনের ৩৬৫ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন।ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার একটি ম্যাসেজ যায়।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের আয়রন ও স্টিলের ব্যবসায়ী আবু আলম বলেন, ওয়ালটন দেশীয় ব্র্যান্ড, তাই সব সময় ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করি। এক আত্মীয়কে উপহার দেওয়ার জন্য ওয়ালটনের ফ্রিজটি কিনেছি। ফ্রিজটি কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়ে আমি বিষ্মিত। সাধারণ ক্রেতাদের এ রকম বিশেষ সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে সবাইকে দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার আহবান জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা দেশে এখন পর্যন্ত মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৬জন ক্রেতা। বহু ক্রেতা হয়েছেন লাখপতি। ওয়ালটনের সেই টাকায় তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। সচ্ছল হয়েছে অনেকের সংসার। ব্যবসার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। অর্জন করে নিয়েছে দেশের সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা।

অপু বিশ্বাস বলেন, ওয়ালটন আমাদের দেশের জন্য একটি গর্ব। দেশীয় ইলেকট্রনিক্স শিল্পের বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনবল তৈরিসহ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিস্ময়করভাবে অবদান রেখে চলছে ওয়ালটন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের বহু দেশে পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। তাই আমাদেরকে দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে হবে। এতে দেশের টাকা দেশে থাকবে। উপকৃত হবে দেশ।

;

শুরু হচ্ছে বিকাশ ও বিজ্ঞানচিন্তার আয়োজনে ‘বিজ্ঞান উৎসব’র তৃতীয় আসর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য তৃতীয়বারের মতো ‘বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বিকাশ ও শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন, বিজ্ঞানচিন্তা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক জাতি গঠনে শিক্ষা জীবন থেকেই বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ।

যৌথ এই আয়োজনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২১ মে ২০২৪) বিকাশ এর সাথে বিজ্ঞানচিন্তা’র একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজ্ঞানচিন্তার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকাশ-এর চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) এবং বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এসময় দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, বিকাশ-এর ইভিপি ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হুমায়ুন কবির, বিকাশ-এর রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ভিপি সায়মা আহসান, বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এই আয়োজনের অংশ হিসেবে ‘বিজ্ঞানে বিকাশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরগুলোতে স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীরা সেখানে তাদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি থাকবে কুইজ প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা, রোবট প্রদর্শনী, বই প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা, বিজ্ঞান ম্যাজিকসহ নানা আয়োজন।

বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। চূড়ান্ত পর্বে সেরাদের জন্য থাকবে পুরষ্কার ও সম্মাননা পত্র।

;

আর্থিকখাতের অপচয়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: ডেপুটি স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আর্থিকখাতের অপচয়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

বুধবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের হল রুমে ‘উন্নয়ন সমন্বয়’-এর উদ্যোগে আসন্ন বাজেট বিশ্লেষণ করতে সংসদ সদস্য ও অংশীজনদের সহযোগিতায় 'আমাদের সংসদ' কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, আমি যখন স্টেট মিনিস্টার ছিলাম তখন বলেছিলাম, যারা উন্নয়ন করে তাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। তখন আমার ওপর অনেকেরই রাগ হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মিতব্যয়িতার কোনো বিকল্প নেই।

ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, বাংলাদেশ কোনো দ্বীপ নয়। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। করোনায় যখন বিশ্ব অর্থনীতি হাবুডুবু খেয়েছে, তখন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে দেশে কী হয়েছে, সেটা সবাই দেখেছেন। করোনার সংকট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে কাটিয়ে উঠেছেন। তাতে জনগণেরও সহযোগিতা ছিল।

অনুষ্ঠানে সংসদের হুইপ সাজেদা খানম বলেন, বাজেট প্রণয়নের চেয়েও বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন। আমাদের আলোচনা করা উচিত, এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবো! ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে পুরো পৃথিবীতে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে। সেই সংকট বাংলাদেশেও তৈরি হয়েছে। দেশের অধিকাংশ খাদ্যদ্রব্য ইউক্রেন থেকেই আমদানি হতো।

বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা, বাজেট দিচ্ছে মানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আর সংবাদমাধ্যম কোন জিনিসের দাম বাড়বে, কোন জিনিসের দাম কমবে, তা নিয়ে রিপোর্ট করে। কিন্তু বাজেট নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা কেউ করে না। এমনকী সংসদীয় কমিটিগুলো বাজেট নিয়ে কোনো আলোচনা করে না। শুধু অর্থ মন্ত্রণালয় জানে আর প্রধানমন্ত্রী জানে! বাজেট নিয়ে কোথায় ফোকাস হওয়া উচিত, সেটা আমাদের করতে হবে।

চট্টগ্রামের-৫ আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম, এমপি বলেন, বাজেট প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। বাজেটে ভূমিকা রাখতে পারে- সিপিডি, ব্যবসায়ী সংগঠন আর সিন্ডিকেটগুলো। বাজেটের ওপর কতটুকু আলোচনা হয়, তাও আমাদের জানতে হবে। বাজেটে কী হয়- সরকারি দল বলে ‘ভালো বাজেট’, ‘বড় বাজেট’ আর বিরোধীদল বলবে- ‘এই বাজেট ভালো না’! এই তো হয়!

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ‘উন্নয়ন সমন্বয়’-এর সভাপতি আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদে হুইপ সানজিদা খানম, এমপি, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান, এমপি ও চট্টগ্রাম-৫ আসনের আনিসুল ইসলাম, এমপি।

;