কয়লা উত্তোলনের পথে হাঁটছে সরকার



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কয়লা উত্তোলনের পথে হাটছে সরকার

কয়লা উত্তোলনের পথে হাটছে সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কয়লা ‍উত্তোলনের তৎপরতা শুরু করেছে সরকার। প্রথমত বড়পুকুরিয়ার উত্তরাংশে উন্মুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার ও ফুলবাড়ি কয়লা খনির উন্নয়নের বিষয়ে সক্রিয় বিবেচনা করা হচ্ছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, কয়লার ব্যবহার করতে চাই। তবে তার আগে বৈজ্ঞানিকভাবে সবকিছু সমাধান করতে হবে। আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে পরিবেশ ও স্থানীয়দের বিষয়টি। আমরা জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ দিলাম, কিন্তু ওই জমিতে যে কৃষক কাজ করতো তার কি হবে। কয়লার উপরে পানির স্তুরের সঠিক সমাধান থাকতে হবে। এক পক্ষের ক্ষতি করে আরেক পক্ষকে লাভবান করতে চাই না।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কয়লা ক্ষেত্রগুলোর বিষয়ে হাত গুটিয়ে বসে ছিলাম না। ১০ বছর ধরে এসব বিষয়ে কাজ করছি। সমন্বিত বিদ্যুৎ জ্বালানি মাস্টার প্লানে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩০ শতাংশ করার ইঙ্গিত দেন তিনি।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্যাস সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক সভায় কয়লার বিষয়টি স্থান পাচ্ছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তরাংশে পরীক্ষামূলক উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। খনিটিতে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং পদ্ধতি কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যনন্ত কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব। আর উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ৮৫ শতাংশ কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সাইফুল ইসলাম সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমরা নর্থ-সাউথ পার্টে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের কথা চিন্তা করছি। বর্তমানে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের কাজ চলমান রয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দীঘিপাড়ার কয়লা উত্তোলনের বিষয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, বড়পুকুরিয়ার পাশাপাশি মাটির অল্প গভীরতায় থাকা ফুলবাড়ি কয়লা খনির বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে ফুলবাড়ি সেই ‘ঐতিহাসিক’ প্রতিবাদের কথা মাথায় রেখে সাবধানে পা ফেলতে চায় সরকার। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজটি করা যায় কিনা সেটাও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

ফুলবাড়ির ঐতিহাসিক আন্দোলন দেশের কয়লা ক্ষেত্রগুলোকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট বিএনপি সরকারের আমলে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে ফুলবাড়ীবাসী। ওই সময় বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশ ও বিডিআর গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৩ জন। আহত হয় দুই শতাধিক। ফুলবাড়ির পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে ওই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ৬ দফা চুক্তি করে খনি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় তৎকালীন বিএনপি সরকার। ওই ৬ দফায় ছিল, আন্দোলনে নিহত ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, দেশের কোথাও উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি না করা, বিতর্কিত এশিয়া এনার্জি (জিসিএম) কোম্পানিকে চিরতরে দেশ থেকে বহিষ্কার, আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা, গুলিবর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।

জ্বালানির সংকটকে পুঁজি করতে বিতর্কিত কোম্পানি এশিয়া এনার্জিও তৎপরতা শুরু করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সরকারের উচ্চ মহলে এশিয়ার এনার্জির পক্ষ থেকে প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়েছে, এতে খনি উন্নয়নের উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ বছরব্যাপী ৬৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। পাশাপাশি সৌর বিদ্যুৎ থেকে আড়াই থেকে সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। জ্বালানি আমদানির উপর চাপ কমবে, সরকার ট্যাক্স ও রয়ালিটি বাবদ আয় করবে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার (টনপ্রতি ১৭.১৬ ডলার)। এতে নাকি পরিবেশ দুষণও ২২ থেকে ৩০ শতাংশ কমবে দাবি এশিয়া এনার্জির। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, বর্তমানে যে মানের কয়লা আমদানি করা হচ্ছে তার চেয়ে উন্নত ফুলবাড়ির কয়লা। এতে দূষণকারি সালফারের উপস্থিতি অনেক কম। খনি উন্নয়ন করা হলে দক্ষিণাঞ্চলে থাকা পায়রা ও রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৯৭ ডলারে (প্রতি টন) কয়লা পৌঁছানো সম্ভব।

পেট্রোবাংলা সূত্রমতে বাংলাদেশে ৫ টি কয়লাক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে। ১৯৬২ সালে আবিস্কৃত জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ কয়লা ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ কয়লার মজুদ ধারণা করা হয়। ক্ষেত্রটিতে আনুমানিক কয়লার মজুদ রয়েছে প্রায় ৫৪৫০ মিলিয়ন টন। বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক অধিদফতর আবিষ্কার করেছে খালাশপীর, দীঘিপাড়া ও বড়পুকুরিয়া কয়লা ক্ষেত্র। আর ফুলবাড়ি কয়লা ক্ষেত্র আবিষ্কার করে অষ্ট্রেলীয়ান কোম্পানি। খালাশপীর ও ফুলবাড়ি কয়লা খনির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির দেওয়া উন্নয়ন প্রস্তাব তৃতীয় পক্ষের দ্বারা মূল্যায়ন করার কথা বলা হলেও। সেই কাজটিও না করে হাত গুটিয়ে বসে ছিল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়ি, জয়পুরহাটের দীঘিপাড়া, রংপুরের খালাশপীর এবং বগুড়ার কুচমায়সহ পাঁচটি কয়লা খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব খনিতে প্রায় ৭ হাজার ৮২৩ মিলিয়ন টন উন্নতমানের কয়লা মজুদ রয়েছে। শুধুমাত্র বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন চলমান। সম্প্রতি ১৩০৬ নম্বর ফেইজ থেকে দৈনিক ২৮০০ হতে ৩০০০ টন কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে।

ফুলবাড়ি কয়লাখনির কাজ পেতে চায় এশিয়া এনার্জি। যে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে এলাকাবাসির রয়েছে চরম অসন্তোষ। কোন ভাবেই এশিয়া এনার্জিকে সহ্য করতে চায় না তারা। দিঘীপাড়া কয়লা খনির কাজ নিয়ে বসে রয়েছে পেট্রোবাংলা। খালাশপীর কয়লা খনি থেকে আন্ডারগ্রাইন্ড মাইনিং পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে চায় সমীক্ষাকারি কোম্পানি হোসাফ কনসোটিয়াম লি।

২০০৩ সালে হোসাফ কনসোর্টিয়াম ও চায়নার সেন উইন মাইনিং গ্রুপকে খালাশপীর কয়লা খনি সমীক্ষার জন্য লাইসেন্স প্রদান করা হয়। ট্রপোগ্রাফিক্যাল সার্ভে এবং দ্বি-মাত্রিক ও ত্রি-মাত্রিক সিসমিক সার্ভে করে। হোসাফ ২০০৬ সালে খনি উন্নয়নের আবেদন করলেও সেই প্রস্তাব এখনও ঝুলে রয়েছে।

অন্যদিকে ২০০৪ সালে কয়লা নীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়। ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন চূড়ান্ত হয়নি কয়লা নীতি। ২০০৪ সালে আইআইএফসি নামের দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে খসড়া কয়লা নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আইআইএফসি প্রণীত খসড়া অনুমোদন না দিয়ে বুয়েটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামকে রিভিউ (সংশোধন সংযোজন) করার দায়িত্ব দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দফায় দফায় রিভিউয়ের পর রিভিউ কমিটি হলেও চূড়ান্ত হয়নি কয়লা নীতি।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল বলা চলে পুরোটাই আমদানি নির্ভর। গ্যাসের উপজাত হিসেবে পেট্রোল এবং চাহিদার ৪০ শতাংশ অকটেন উৎপাদন হয়। বাকি সবটাই আমদানি করে মেটানো হয়। জ্বালানির আমদানি নির্ভরতা কমাতে গ্যাস ভালো ভূমিকা রেখেছে এতোদিন। অনুসন্ধ্যানে স্থবিরতাসহ নানা কারণে নিজস্ব গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। অন্যদিকে শিল্পায়ন ও শতভাগ বিদ্যুতের কারণে বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। গ্যাস সংকট আমদানি করে সামাল দিতে গিয়ে অনেকটা বেসামাল অর্থনীতি। বাধ্য হয়ে স্পর্ট মার্কেটের এলএনজি আমদানি বন্ধ। গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে, বিদ্যুতেও লোডশেডিংযে যেতে বাধ্য হয়েছে সরকার। অনেকদিন ধরেই জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, নিজস্ব সম্পদের ব্যবহার ছাড়া আমদানি নির্ভর অর্থনীতি খুবই ঝুঁকিপুর্ণ। প্রাথমিক জ্বালানি সবটুকু আমদানি করে সামাল দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। যেহেতু গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে তাই বাংলাদেশের হাতে কয়লার বিকল্প নেই। পাশাপাশি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেওয়া উচিত।

   

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;

টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি বিকাশ পেমেন্টে ১৫% ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল-এর নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।

টেন মিনিট স্কুল-এর লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/10minuteschool-bkash-offer লিংকটিতে।

 

;