টানা আন্দোলনে বিপর্যস্ত চা শিল্প



আবুজার বাবলা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম মৌলভীবাজার
টানা আন্দোলনে বিপর্যস্ত চা শিল্প

টানা আন্দোলনে বিপর্যস্ত চা শিল্প

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা নয় দিনের আন্দোলনের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে চা শিল্প। চা বাগানগুলোতে চা নারী পুরুষ চা শ্রমিকদের প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা আর নেই। সেখানে এখন চলছে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। ৩শ’ টাকা মজুরি দাবিতে শ্রমিকরা টানা ৯ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করে আসছে। আর এতে করে দেশের অন্যতম আর্থিক শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।

সরেজমিন শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগান, জেরিন চা বাগান, জঙ্গলবাড়ি চা বাগান,  হুসেনাবাদ চা বাগানের কারখানাগুলো  ঘুরে দেখা গেছে- কর্মমুখর চা কারখানাগুলোতে এখন সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে। শ্রমিক কাজে না যাওয়ায় প্লাকিং করা সম্ভব হয়নি। কচি চা পাতাগুলি আজ বেড়ে ১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি বড় হয়ে নষ্ট হচ্ছে। ভরা মৌসুমে প্লাকিং করার অভাবে বাগানে  এক পাতার উপর অন্য পাতা গজিঁয়ে উঠার কারণে নষ্ট হচ্ছে নতুন কুঁড়ি। অনেক সবুজ পাতা-কুঁড়ি বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার চা পাতা।

চা সংসদের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দেশের চায়ের মোট আর্থিক বাজার প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির এক ভাগ। আর মোট উৎপাদিত চায়ের ৯০ ভাগ যোগান আসে শ্রীমঙ্গল তথা সিলেট অঞ্চল থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, টানা এই কর্মবিরতির কারণে শুধু সিলেট ও চট্টগ্রামে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকার চা পাতা।

আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা বলেছেন, বর্তমান বাজারে ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে চলা যায় না। তারা ৩শ’ টাকা মজুরি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে রোববারও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গলের কেজুরিছড়া চা বাগানে বড় ধরণের বিক্ষোভ সমাবেশ করেন চা শ্রমিকরা। তারা ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এসময় সাধারণ শ্রমিকরা এ সিদ্ধান্তে সম্মত হওয়ায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের কঠোর সমালোচনা করে তাদের মালিক পক্ষের ‘দালাল’ হিসেবে আখ্যা দেয়। এরপর থেকে শ্রমিকরা আন্দোলনে ফিরে গেলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সুর বদলিয়ে ফের ৩শ’ টাকার মজুরি দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন।

শ্রীমঙ্গলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার চানপুর চা বাগানের শ্রমিক বাংলাদেশ চা কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১০-১২ দিন হলে আমারা ৩শ’ টাকা মজুরি বৃদ্ধিও আন্দোলন করছি। আমাদেও চেহারার দিকে চেয়ে দেখুন-সাধে তো ঘর থেকে এতদূর আসিনি। তিনি বলেন, শনিবার নেতারা সমঝোতা করে ১৪৫ টাকায় রাজি হয়ে গেলো। কিন্তু আমরা তা মানিনা। শ্রমিক নেতাদের ‘দালাল’ অবিহিত করে এই নারী নেত্রী বলেন, ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব মেনে নেয়ার আগে সাধারণ শ্রমিকদের সাথে কোন আলোচনা করেনি। আমরা শুধু এই সিদ্ধন্তই না প্রয়োজনে ওইসব শ্রমিক নেতাদেরও প্রত্যাখ্যান করবো।

গত শনিবার (১৯ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে এক বৈঠকে সরকারের হস্তক্ষেপে বাগান মালিক পক্ষে ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। দফায় দফায় বৈঠক শেষে শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা ১শ’৪৫ টাকার প্রস্তাব মেনে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। রোববার থেকে কাজে যোগ দেয়ারও ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা। ১শ’ ৪৫ টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আবারো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। ‘৩শ’ টাকার স্থলে ১শ’৪৫ টাকায় সমঝোতা ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের’ ঘোষণা জানজানি হলে মাঠ পর্যায়ের সাধারণ চা শ্রমিকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

শ্রীমঙ্গলের জঙ্গলবাড়ি চা বাগানের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম মিজবাহ বলেন, চলতি বছর ৩শ’ ২ হেক্টর আয়তনের এ বাগানে চা উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ কেজি, কিন্তু চা শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে লক্ষমাত্র অর্জন করা কোন ভাবেই সম্ভব হবে না।

মহসিন টি হোল্ডিং (শ্রী গোবিন্দ্রপুর চা বাগান) এর মালিক শ্রীমঙ্গল পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধু বলেন, চা শ্রমিকদের টানা কর্ম বিরতির কারণে চা শিল্পের ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে। চা শ্রমিকদের দাবি তাদের মজুরি কম- এমন এক প্রশ্নের জবাব বলেন, ১ শ’ ২০ টাকা নয়। একজন শ্রমিক আবাসন, চিকিৎসা, শিক্ষা, প্লাকিং বোনাস, অসুস্থজনিত ছুটি, উৎসব ছুটি, ভবিষ্যৎ তহবিলে চাঁদা, উৎসব ভাতা, ভর্তুকি মুল্যে রেশন, অবসর ভাতা ইত্যাদি মিলে একজন চা শ্রমিকের গড়ে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ ২ টাকা পান। শ্রমিক মজুরি ও অন্যান্য খরচ নির্বাহ করে মুনাফা করা এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;