গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদন চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদন চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদন চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

চতুর্থ প্রজন্মের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এখন হতে পুঁজিবাজারে। ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে তৃতীয় দিনের মত চলছে ব্যাংকটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন, যা ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চলমান থাকবে। ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বিনিয়োগকারীদের জন্য রেখেছে বিশেষ সুবিধা। প্রবাসীদের প্রাধান্য দিয়ে ২৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিনিয়োগ করা হবে। যেখানে বিনিয়োগকারীরা ১০,০০০ টাকা বা এর গুণিতক সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আইপিও আবেদন করতে পারবেন।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু শক্ত ভিত্তির ওপর দাড়িয়ে থাকে তাই বিনিয়োগকারীরা এ কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এতে করে বাজারের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বজায় থাকে। সেদিক থেকে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

জিআইবি তিন খাতে ব্যয় করবে আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড গত ১৫ জুন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৮২৭তম কমিশন সভায় এ আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ৪২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে শেয়ারবাজার থেকে ৪২৫ কোটি উত্তোলন করবে ব্যাংকটি। উত্তোলিত অর্থ এসএমই, সরকারি সিকিউরিটিজ ও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করবে ব্যাংকটি।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক দেশজুড়ে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। শতভাগ শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ইতোমধ্যে সারাদেশে ব্যাংকটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে আসতে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক শহর শাখার পাশাপাশি পল্লী শাখা সম্প্রসারণেও অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে এবং সিএমএসএমই খাতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। আর্থিক অর্ন্তভুক্তি কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে ব্যাংকের ভূমিকা রয়েছে এবং সেই সাথে কৃষি ও পল্লী খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ -এর লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

জানুয়ারি ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ব্যাংকটির আমানত, ইনভেস্টমেন্ট (বিনিয়োগ), পরিচালন আয়, শেয়ারপ্রতি আয়ে (ইপিএস) ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। উপরোক্ত ৯ মাসে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছে ৯৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এই বিনিয়োগ আয় থেকে আমানতের ওপর প্রদত্ত মুনাফা বাদ দিয়ে এবং শেয়ার ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ওপর আয়, এক্সচেঞ্জ ব্রোকারেজ কমিশন ও অন্যান্য পরিচালন আয় যোগ করে মোট পরিচালন আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এরপর যাবতীয় পরিচালন ব্যয় যেমন- বেতন ও মজুরি, ভাড়া, ট্যাক্স ইনস্যুরেন্স, ইলেক্ট্রিসিটি, আইন খরচ, স্টাম্প, টেলিকমিউনিকেশন, স্টেশনারী, প্রিন্টিং, বিজ্ঞাপণ, প্রধান নির্বাহীর বেতন ও ফি, পরিচালকদের ফি, অবচয় এবং প্রভিশন সহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে কর পূর্ববর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এই মুনাফা থেকে করবাবদ ৭৬ কোটি ৬০ লাখ বাদ দিয়ে ব্যাংকটির নিট মুনাফা দাঁড়ায় ৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর এতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯১ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪.৪২ টাকা। শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাতœক ১০.৬৩ টাকা। এর আগের বছর  ব্যাংকটি জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছিল ১ হাজার ২০৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বছরটিতে মোট পরিচালন আয় থেকে পরিচালন ব্যয় ও কর ব্যয় বাদ দিয়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ১০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর এতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ২.১০ টাকা। বছরটিতে শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) ছিল ১৩.৬৫ টাকা। শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৫.১২ টাকা।  

২০১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছিল ১ হাজার ১০৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বছরটিতে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ০.৭৯ টাকা। অর্থবছরটিতে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১২.১৭ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ২.২৭ টাকা। 

২০১৮ অর্থবছরে বিনিয়োগ ওপর আয় হয়েছিল ৯৩৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর অর্থবছরটিতে নিট মুনাফা হয়েছিল ৫৩ কোটি দুই লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১.২৫ টাকা। এ সময় ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১২.৫১ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপররেটিং ক্যাশফ্লো ছিল ঋণাতœক ০.৩১ টাকা।

২০১৭ অর্থবছরে বিনিয়োগের ওপর আয় হয়েছিল ৭২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আর বছরটিতে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বা ইপিএস ০.৯২ টাকা। অর্থবছরটিতে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১১.৭৭ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশফ্লো ছিল ৪.১২ টাকা।

২০১৬ অর্থবছরে বিনিয়োগে আয় ছিল ৪২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থবছরে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছিল ৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এতে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ১.০০ টাকা। এসময় ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১০.৮৬ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশফ্লো ছিল ৫.৪১ টাকা।

বিনিয়োগ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার ফলে ব্যাংকের অনাদায়ী ও কু-ঋণ এর শতকরা হার সন্তোষজনক রাখতে সমর্থ হয়েছে এবং ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততা যথাযথ সংরক্ষণের ফলে তুলনামূলক ভাল অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকটি।

জিআইবির লভ্যাংশ বিতরণ : ব্যাংকটি নিট মুনাফার ওপর ২০১৭ অর্থবছরে নগদ ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৫ শতাংশ। পরের ২০১৮ অর্থবছরে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০১৯ অর্থবছরে ৫ শতাংশ স্টক এবং ২০২০ অর্থবছরে নগদ ৫ শতাংশ ও স্টক ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

সম্পদ বিবরণে দেখা গেছে: সর্বশেষ ৯ মাসে ব্যাংকটির মোট সম্পদ রয়েছে ১২ হাজার ৭২৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ২০২০ অর্থবছরে এ সম্পদ ছিল ১২ হাজার ৯০ কোটি ২১ লাখ টাকা। ২০১৯ অর্থবছরে ১০ হাজার ৬৪০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ২০১৮ অর্থবছরে ৯ হাজার ২১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ২০১৭ অর্থবছরে ৭ হাজার ৯১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। ২০১৬ অর্থবছরে সম্পদ ছিল ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন রয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৫১৫ কোটি ৪১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

দায়ের বিবরণ: ৯ মাসে ব্যাংকটির দায় রয়েছে ১১ হাজার ৯৮৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২০ অর্থবছরে ১১ হাজার ৪২০ কোটি ২১ লাখ টাকা। ২০১৯ অর্থবছরে ১০ হাজার ৭১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০১৮ অর্থবছরে ৮ হাজার ৬৮৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০১৭ অর্থবছরে ৭ হাজার ৪১২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ২০১৬ অর্থবছরে ৪ হাজার ৪৬৫ কোটি ৩ লাখ টাকা।

৪২৫ কোটি টাকার শেয়ার বন্টন হবে যেভাবে: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ১৬ জুন ২০২২ নোটিফিকেশন অনুযায়ী এনআরবি বা প্রবাসীরা মোট শেয়ারের ২৫% পাবেন অর্থাৎ এনআরবি বা প্রবাসীরা পাবেন ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ১০ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। অভিবাসী কর্মীদের কর্তৃক ২৫% আইপিও শেয়ার সাবস্ক্রিপশন পরিপূর্ণ না হলে, আনসাবস্ক্রাইবড অংশ অন্যান্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে আনুপাতিক হারে বন্টন করা হবে। যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইলিজেবল ইনভেস্টর) পাবেন ৬৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ৬ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। মিউচূয়্যল ফান্ডের ১৫ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫ শত শেয়ার। আর সাধারন বিনিয়োগকারীরা পাবেন ২৩৯ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বা ২৩ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত শেয়ার।

বর্তমানে সারাদেশে ১৯৯টি শাখা/উপশাখা, ৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং ও ১০১টি এটিএম বুথ-এর মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। দ্রুততম সময়ে ব্যাংকিং সেবার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে এ ব্যাংকটি।

   

আট দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা আট দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায়। নতুন এ দাম রোববার (৫ মে) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বেড়েছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

;

আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার। 

মুবারক আলী ফাউন্ডেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) যৌথ এ উদ্যোগে দেশের ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

আইবিএ ক্যাম্পাসে ফিতা কাটার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দেশের শিক্ষা ও ব্যবসা খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার শিক্ষাক্রমের সাথে প্রাসঙ্গিক ব্যবসায়িক কেস স্টাডি একীভূত করার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়িক শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী যেন দেশে ব্যবসায়িক শিক্ষাখাত বিস্তৃত হতে পারে এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।

এ উদ্যোগ গ্রহণের পেছনের কারণ তুলে ধরে মুবারক আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমরীন বশির আলী ও তানভীর আলী বলেন, আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারটি শুধু একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ভূমিকা রাখবে এমন নয়, পাশাপাশি এ সেন্টার প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত শিক্ষার পরিসর বিস্তৃতিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

অংশীদারিত্বমূলক এ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে আইবি'র পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মাদ এ. মোমেন বলেন, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নজির স্থাপনে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের ওপর আলোকপাত করে কেস স্টাডি তৈরি ও প্রকাশে কাঠামো তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল পাবলিশিং ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সাথে এ অংশীদারিত্ব। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যেন শিক্ষার্থীরা উদীয়মান বাজারের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

এ অংশীদারিত্ব হার্ভার্ড বিজনেস পাবলিশিং এডুকেশনের দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক দিব্যেশ মেহতা বলেন, আমরা আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। এ উদ্যোগ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের সম্ভাবনা তুলে ধরবে; পাশাপাশি, শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থবহ অংশীদারিত্ব কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তারও অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে। একসাথে আমরা সাফল্যগাঁথা রচনা করছি; আর এর শেকড় প্রাসঙ্গিকতা ও রূপান্তরমূলক শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার ভেতরে নিহিত রয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর (আইআইএমবি) ডিসিশন সাইন্সেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ইউ দীনেশ কুমার বলেন, আইআইএম বেঙ্গালুরু (আইআইএমবি) আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়িক মডেলের কার্যকারিতা বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। কেস স্টাডি তৈরির পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে এ অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মুবারক আলী বিগত চার দশকে সফলভাবে একটি অনবদ্য প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ মুবারক আলীর অন্তর্ধানের এক বছর পূর্তি। তার সাফল্যমণ্ডিত জীবন ও কর্মের স্মরণে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা, শিল্পকলা ও স্থাপত্যে টেকসই উন্নয়ন এবং উৎকর্ষ অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে মুবারক আলি ফাউন্ডেশন। শিল্পকলার ক্ষেত্রে এ ফাউন্ডেশন লন্ডনে ফ্রিজ আর্ট ফেয়ার ইমার্জিং আর্টিস্ট প্রাইজে সহায়তা করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলগুলোর প্রতি ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতি কমিউনিটির উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রয়াত মুবারক আলীর নিষ্ঠা ও নিবেদনকেই প্রতিফলিত করে।

ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে আগত অতিথিদের উদ্যম ও উৎসাহ প্রকাশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। এ উদ্যোগ দেশে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে, যারা দেশে ও বিশ্বব্যাপী ব্যবসার ভবিষ্যৎ আকৃতিদানে ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য সকলের। 

;

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;

ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে আবারও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।

;