২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ কার্বন ইমিশন কমবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ এমনিতেই কার্বন ইমিশন কম করে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ কার্বন ইমিশন কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর ) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ক্লীন এনার্জির বিস্তারে সরকার পরিকল্পনা অনুসারে এগুচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদন করা হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ক্লাইমেট চেঞ্জ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিস্তারে দায়িত্বশীল অবদান রাখছে। বাংলাদেশের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও জ্বালানি ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তিভিত্তিক বিনিয়োগ। বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ থাকলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ক্লীন এনার্জির প্রসারে শর্তহীন বিনিয়োগ অপরিহার্য। একটি শক্তিশালী জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সমন্বিত ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, জ্বালানি রূপান্তর কার্যকরী করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকা বা দেশের প্রেক্ষাপটে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। জীবাশ্ম জ্বালানি পরিস্কার করার প্রযুক্তি থাকা প্রয়োজন। কপ-২৬ ও কপ-২৭ এ প্রতিশ্রুত অর্থায়ন সংশ্লিষ্ট দেশে বিনিয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। ভাসমান সোলার নিয়েও একসাথে কাজ করার সুযোগ আছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চালর্স হুইটলি, সুইডেন এর রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্দ্রা বার্জ ভন লিন্ডা ও স্রেডার চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা।