সম্ভাবনাময় সেকেন্ডারি প্রপার্টি মার্কেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘রেডি ফ্ল্যাট’ শোনা মাত্রই মনে হয়, বসবাসের জন্য সব সুবিধা রয়েছে যেখানে। কিন্তু ঢাকার মত জনবহুল শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের বসবাস উপযোগী বাসস্থান এক প্রকার স্বপ্নই বলা যায়। সেইসাথে, মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মত যোগ হয়েছে আবাসন শিল্পের নির্মাণ সামগ্রীর আকাশ ছোঁয়া দাম। নির্মাণের অন্যতম প্রধান উপকরণ রড।

২০২২ এর জানুয়ারিতে প্রতিটন রড এর দাম ছিল ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা, যা বছরের মাঝামাঝিতে এসে দাঁড়িয়েছে ৮৫ থেকে ৮৯ হাজার টাকায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ দাম আরেক দফা দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯০ থেকে ৯১ হাজার টাকা। রডের মত একইভাবে বেড়েছে ইট, সিমেন্ট ও বালি সহ অন্যান্য নির্মাণ উপকরণের দাম।

এর ফলে, নির্মাণ খরচ বাবদ নতুন নির্মিত ফ্ল্যাটগুলোর মূল্য বর্তমানে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। রিহ্যাবের তথ্য অনুসারে, গত ১৭ বছরে ফ্ল্যাট এর দাম বেড়েছে সাত গুণেরও বেশি। ২০০৫ সালে একটি মানসম্মত ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের মূল্য ছিল মাত্র ৪০০০ টাকা। বর্তমানে সেই একই ফ্ল্যাটের জন্য বর্গফুট প্রতি বিক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ২৫০০০-৩০০০০ টাকা।

২০২১ সালে লালমাটিয়ায় যে ফ্ল্যাটের দাম প্রতি বর্গফুট ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিল, ২০২২-এ তা বেড়ে হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। ২০২১ সালে ধানমন্ডিতে প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের গড় দাম ছিল ১৮ হাজার টাকা। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার টাকা বা তারও বেশি দামে। এমনকি মিরপুরেও যে ফ্ল্যাট প্রতি বর্গফুট ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, মাত্র ১ বছরের ব্যবধানে তা এখন ৬ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে ।

সদ্য সমাপ্ত আবাসন মেলা ২০২২ এ কথা হচ্ছিলো আদনান রহমান এর সাথে। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ‘ভাড়া বাসায় থাকছি গত ১৫ বছর ধরে। এই সময় এসে চিন্তা করছি ভাড়া বাসায় না থেকে নিজেদের একটি ফ্ল্যাট কেনার। মেলায় এসে ঘুরে দেখছি ৮০ লাখ টাকার মধ্যে আফতাবনগরে কোন রেডি ফ্ল্যাট পাওয়া যায় কিনা। আমরা রেডি ফ্ল্যাট ছাড়া নেব না।

রেডি ফ্ল্যাটই কেন কিনবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্মাণ কোম্পানিগুলোর উপরে কোন আস্থা নেই আমাদের । তাছাড়া ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে অনেকদিন সময় নেয় আবার ঠিক সময়ে ফ্ল্যাট না বুঝিয়ে দিলে ব্যাংক লোনের সাথে সাথে বাসা ভাড়াও গুণতে হয় , যা আমাদের জন্য বাড়তি বোঝা।

আদনান রহমান এর মত, আরও অনেকে বাজেট এবং বাড়তি ঝামেলা এড়াতে রেডি ফ্ল্যাট অর্থ্যাৎ ব্যবহৃত ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রিয়েল এস্টেট সেবা প্রদানকারী কোম্পানি বিপ্রপার্টি এর তথ্যমতে, গত বছর প্রথম তিন মাসে সেকেন্ডারি মার্কেটে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ১২০০ থেকে ১৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি, ২৭.২৩ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ১০০০ থেকে ১২০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার চাহিদা ছিল ২১.৫০ শতাংশ। ৮০০ থেকে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের খোঁজ করেছেন ১৬.৭৯ শতাংশ ক্রেতা।

তবে চলতি বছরে, ৮০০ বর্গফুট বা তার চেয়ে ছোট ফ্ল্যাটের চাহিদা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর যেখানে এ ধরনের ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল ১৩.৮৪ শতাংশ, এ বছর তা ১৪.৫৫ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য আরও বলছে, এলাকাভিত্তিক চাহিদার ক্ষেত্রে ফ্ল্যাটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি মিরপুরে, ২৪ শতাংশ। এরপর রয়েছে উত্তরা (১৮ শতাংশ), ধানমন্ডি (১৭ শতাংশ), বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা (১৪ শতাংশ), ও মোহাম্মদপুর (১১ শতাংশ)।

সেকেন্ডারি মার্কেটের সম্ভাবনা নিয়ে কথা হচ্ছিলো প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মাহ্জাবীন চৌধুরীর সাথে । তিনি বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে রেডিমেড ফ্ল্যাটের চাহিদা বেশি। বাজেটের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী ফ্ল্যাট কিনতে তারা আগ্রহী হচ্ছেন ছোট ও মাঝারি রেডি ফ্ল্যাটগুলোতে, কারণ এই ফ্ল্যাটের মূল্য যেকোনো নতুন ফ্ল্যাটের তুলনায় বেশ কম। ফলে আবাসন খাতে সেকেন্ডারি মার্কেট দিনে দিনে হয়ে উঠছে আরও বেশি সম্ভাবনাময়।

রেডি ফ্ল্যাটের চাহিদা বৃদ্ধির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, রেজিস্ট্রেশন ফি এর খরচ কমে যাওয়া। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, প্রপার্টি কেনার সময় প্রপার্টির রেজিস্ট্রেশন খরচ ১৪% থেকে কমে তা বর্তমানে ১০% -এ এসে থেমেছে। যার ফলে ক্রেতাদের জন্য রেডি ফ্ল্যাট কেনা আরও বেশী সাশ্রয়ী হয়েছে। এছাড়া, সেকেন্ডারি বা রেডি প্রপার্টির ক্ষেত্রে হোম লোন পেতে আবেদনকারীকে খুব একটা ধকল পোহাতে হয় না। ফলে, রেডি ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহজ হোমলোন প্রক্রিয়াও আরও বেশি সম্ভাবনাময় করে তুলেছে এই খাতটিকে।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;