অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে প্রমোশন দিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব করা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বর্তমান সচিব মো. নুরুল আলমের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পেট্রোবাংলার বোর্ড সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বাংলাদেশ রিটেইল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এর দ্বিতীয় আসরে চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেছে সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত এই গ্লামারাস আয়োজনে ‘বেস্ট অ্যাকুইজিশন স্ট্র্যাটেজি’, ‘মোস্ট অ্যাডমাইর্ড রিটেইলার-নিউ মার্কেট পেনেট্রেশন’, ‘মোস্ট সাসটেইনেবল রিটেইল ইনিশিয়েটিভ’ এবং ‘বেস্ট রিটেইল অর্গানাইজেশন অফ দ্য ইয়ার’ এই চারটি বিভাগে ‘স্বপ্ন’ (এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড) শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি লাভ করে।
কী নোট সেশনে বক্তব্য রাখেন- এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড (স্বপ্ন)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির।
স্বপ্ন এর পক্ষ থেকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভীর খান। স্বপ্ন’র হেড অব বিজনেস (কোম্পানী গুডস) সালাহ উদ্দিন মিসবাহ, হেড অফ বিজনেস-কমোডিটি নিয়াজ মোর্শেদ, হেড অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড ক্যাটাগরি গাজী মুজিবর রহমান, মিরন হোসেন, হেড অব বিজনেস এক্সপানশন জহিরুল ইসলাম, হেড অব বিজনেস এক্সপ্যানশন মো. শামছুজ্জামান, বিজনেস অ্যানাইলাইটিকস লিড শেহজাদ আর মাজিদ, হেড অব বিজনেস (লাইফস্টাইল) তানজিনা আক্তার, ইভেন্টস এন্ড বি.টি.এল এক্টিভেশন ম্যানেজার আফজাল এইচ খান, রিজিওনাল ম্যানেজার অফ অপারেশনস কামরুজ্জামান স্বাধীন, সাব্বির হোসাইন, মিডিয়া অ্যান্ড পিআর ম্যানেজার মো: কামরুজ্জামান মিলু।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে সুপারশপ ‘স্বপ্ন’। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, সরবরাহকারীদের সঙ্গে গ্রাহকের মেলবন্ধন তৈরি হচ্ছে স্বপ্নের চেইন শপের মাধ্যমে। দেশব্যাপী এখন স্বপ্ন'র ৫০০ এর বেশি আউটলেট রয়েছে। এর আগে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের অধীনে ২০১৮ ও ২০২০-২১, ২২, ২৩ সালে ‘সুপারব্র্যান্ড’ হিসেবে পুরস্কার জিতেছে ’স্বপ্ন’।
এছাড়া স্বপ্ন ‘ষষ্ঠ এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক পুরস্কার জিতেছে, যা এশিয়ার ‘মার্কেটিং কোম্পানি অব দ্য ইয়ার ২০২০’ নামে স্বীকৃত। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, থাইল্যান্ড, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মত শক্তিশালী মোট ১৮টি দেশের শীর্ষস্থানীয় মার্কেটিং কোম্পানীর সাথে প্রতিযোগিতা করে এই পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশের ‘স্বপ্ন’। এছাড়া টানা ৭ বার সেরা সুপারমার্কেট ব্র্যান্ড ‘স্বপ্ন’।
ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ-৩) টার্মিনাল স্থাপনের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। কোন রকম দরপত্র ছাড়া বিশেষ আইনের আওতায় চলতি বছরে ৩০ মার্চে সামিট গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
বাংলাদেশের তৃতীয় আর সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন দ্বিতীয় টার্মিনাল নামে পরিচিত ছিল। সামিট গ্রুপের প্রথম এফএসআরইউ মহেশখালীতে বিদ্যমান। সমালোচনা ও বিতর্ক উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ সরকার চড়াদামে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি করেছিল।
পেট্রোবাংলার সচিব রুচিরা ইসলাম সাক্ষরিত এক আদেশে সামিট গ্রুপের সঙ্গে বিশেষ আইনে সম্পাদিত চুক্তিটি বাতিল করার আদেশ জারি করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল খসড়া চুক্তি অনুমোদন করে। চুক্তি অনুযায়ী, টার্মিনাল চালুর পর থেকে ১৫ বছর মেয়াদে দৈনিক ৩ লাখ ডলার (চুক্তিতে উল্লিখিত বিনিময় হার অনুযায়ী ৩ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ) রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ পাওয়ার কথা ছিল সামিট গ্রুপের। ১৫ বছরে টার্মিনালটি থেকে রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ বাবদ সামিটের আয় দাঁড়াবে অন্তত ১৭ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকায় (ডলার ১১০ টাকা হারে)।
কয়েক বছর আগেও ছোট-খাটো ব্যবসায়ী থাকলেও এখন সিঙ্গাপুরের মতো জায়গাতেও শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীর তালিকায় জায়গা পেয়েছেন সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খান। ফোর্বস ২০২৪ সালের বিলিয়নিয়ারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। তালিকায় ২ হাজার ৫৪৫ নম্বরে রয়েছেন আজিজ খান, যার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার এবং আয়ের খাত হিসেবে রয়েছে জ্বালানি। ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, আজিজ খান বর্তমানে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। এর আগে তিনি সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন।
সরকার ঘনিষ্ঠ আজিজ খানের কাছে রাষ্ট্রীয় আইন ও আচার তাদের কাছে ছিল চানাচুরের ঠোঙ্গায় থাকা পুরাতন কাগজের টুকরো মাত্র। আইন, নীতিমালা, মাস্টারপ্ল্যান কোন বিবেচ্য বিষয় ছিল না, হয়েছে সামিট গ্রুপ যা চেয়েছে সেটাই। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এমনকি বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনাও বদলে গেছে সামিট গ্রুপের চাপে। দেশের স্বার্থ বিবেচনায় নয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ মুহাম্মদ আজিজ খান চাওয়ায়। এমনই তথ্য পাওয়া গেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাগজপত্রে। এসব ঘটনায় যেমন রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তেমনি অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের।
পিডিবি সুত্রে জানা গেছে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি শান্তাহার ৫২ মেগাওয়াট এবং সৈয়দপুর ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন দেয় ২০১১ সালের ১ জুন। তেল ভিক্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দু’টি যথা সময়ে নির্মাণে ব্যর্থ হলে কয়েক দফায় তাগাদাপত্র দেওয়া হয় সামিট গ্রুপকে। শেষ পর্যন্ত অগ্রগতি না হওয়া আইন অনুযায়ী সামিটের ১২ লাখ ডলার জামানত বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় পিডিবি। সে অনুযায়ী জামানত বাজেয়াপ্ত করার নোটিশও দেওয়া হয়েছিল পিডিবির পক্ষ থেকে।
কথা ছিল চিঠির পর সামিটের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। প্রভাবশালী আজিজ খানের হুমকি-ধামকিতে সবকিছু বদলে যায়। তৎকালীন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হকের নির্দেশে নোটিশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। পাশাপাশি সময় বর্ধিত করে শান্তাহার ও সৈয়দপুরের পরিবর্তে নারায়নগঞ্জের মদনগঞ্জ ও বরিশালে স্থাপনের সুপারিশ দেওয়া হয় সামিটের চাওয়া অনুযায়ী। যা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মাস্টারপ্লানের সঙ্গে ছিল সারসরি সাংঘর্ষিক।
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সম্প্রতি আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবে জব্দ করেছে বাংলাদেশ সরকার। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়ন, বিকাশ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার সংস্কারের সুপারিশের জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ টাস্কফোর্স গঠন করেছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং–এর জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন।
বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি নির্ধারণ ১৭টি। তবে পরে আরও কোনো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে টাস্কফোর্সের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কার্যপরিধি বাড়াতে পারবে বিএসইসি। টাস্কফোর্সকে তাদের সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে যৌক্তিক সময়ে টাস্কফোর্স তাদের সুপারিশ বিএসইসিতে জমা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিএসইসি।