সোনার ভরি ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রেকর্ড দাম বৃদ্ধির পর চার দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম দুই দফা কমে আবার বাড়ানো হয়েছে। তাতে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ছে। এর ফলে ভালো মানের ২২ ক্যারেট সোনার ভরি ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহসভাপতি এমএ হান্নান আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে সারা দেশে নতুন দর কার্যকর হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।

এর আগে বুধবার সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম কমানো হয় ১ হাজার ১৬৭ টাকা। এতে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তার আগে মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে বুধবার ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়।

তারও আগে, ১৮ মার্চ এক লাফে সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এতো বাড়েনি।

নতুন দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

আজ থেকে সোনার ভরি ৯৮, ৪৪৪ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। এতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। নতুন দর আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে গত ২৯ মে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়েছিল জুয়েলার্স সমিতি।

দাম বাড়ায় বৃহস্পতিবার (৮ জুন) থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ভরি ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেট ৯৩ হাজার ৯৫৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকায়।

বুধবার (৭ জুন) পর্যন্ত হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার ভরি ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

;

নিয়োগ দিতে আর সনদ চায় না নগদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়ে উঠেছেন আলিফ আহমেদ। একটা সময় বুঝতে পারলেন, চলচ্চিত্র বানানোর স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি চাকরি করে স্বপ্নটাকে এগিয়ে নিতে হবে। যতক্ষণে এই উপলব্ধি হলো ততদিনে প্রথাগত পড়াশোনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন তিনি। এদিকে অন্তত স্নাতক শেষ না করে ভালো চাকরির প্রত্যাশাও করতে পারছিলেন না।

অনেকটা হতাশ হয়ে পড়া আলিফের সামনে চাকরির দুয়ারটা খুলে দিল মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ। প্রতিষ্ঠানটিতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দিয়েছেন আলিফ। আর এখানে নিজের পছন্দের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজই করছেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির নানান ধরনের ভিডিও কন্টেন্টের পরিকল্পনা করা, ভিডিও ধারণ, এডিটিংসহ সংশ্লিষ্ট কাজগুলোই করছেন আলিফ। ফলে চাকরিটাকে আর চাকরি মনে হচ্ছে না তার কাছে। বরং আলিফ যেন নিজের স্বপ্নের দুনিয়াতেই হাঁটছেন। আলিফের মতোই যারা ভালোবাসার কাজটাকে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাদের জন্য কাজ করার সেরা জায়গা নগদ।

ফেসবুক, লিংকডইন, অ্যাপল, ডেল, আইবিএম বা টেসলার মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে এখন আর প্রথাগত সনদপত্রের প্রয়োজন নেই। কেবল সংশ্লিষ্ট খাতে দক্ষতা থাকলেই স্কিল টেস্ট দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরি মিলছে। প্রতিবেশি ভারতেও এমন ঢের উদাহরণ আছে। তবে বাংলাদেশে এই রেওয়াজ সবে শুরু হল নগদের হাত ধরে।

আইবিএম-এ কর্মী খোঁজার এই প্রক্রিয়া ‘নিউ কলার’ নামে পরিচিত। ২০১৬ সালে তারা এই প্রক্রিয়ায় প্রথম কর্মী খোঁজা শুরু করে। ২০২১ সালে আমেরিকায় তাদের নিয়োগ করা কর্মীদের অর্ধেক নিয়োগে স্নাতক বাদ দিয়েছে।

সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পদ পর্যন্ত চাকরি পেতে শিক্ষা সনদকে আর প্রাধান্য দেওয়া হবে না- এ বছর মার্চে এমন সিদ্ধান্ত নেয় নগদ। একজন চাকরিপ্রার্থীর দক্ষতা-যোগ্যতাই বরং নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব পাবে।

এটি আসলে বড় একটা সিদ্ধান্ত ছিল- বলছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক শাহরিয়ার সাঈদ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও মনে করা হতো, স্থায়ী চাকরিতে নিয়োগ দিতে ন্যূনতম স্নাতক পাস করা প্রার্থীদেরই বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে স্নাতকের আগেই অনেকে বিভিন্ন বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলছেন। অনেকে আবার নানান কারণে ডিগ্রি নিতে পারছে না।

‘আমরা যারা কর্মী নিয়োগ করি তাদের জন্যে দক্ষ কর্মী বাছাই করাটাই আসল। সার্টিফিকেট তো আর কাজ করে দেবে না। ফলে আমরা অনেক পুরনো চিন্তাকে ছেড়ে ফেলে নতুনের শুরু করেছি,’ বলেন শাহরিয়ার।

যুগান্তকারী এমন সিদ্ধান্ত আলিফের মতো অনেকের ভাগ্য বদলে দিতে যাচ্ছে। আলিফ বলছিলেন, আমি যে পদে যোগ দিয়েছি, সেখানে সাধারণত স্নাতক সম্পন্ন করার পরও কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা লাগে। আমি নিজের যেমন, গত দশ বছর ধরে এই কাজটা করছি ভালোবাসা দিয়ে। শুধু এই যোগ্যতা দিয়ে চাকরি পাওয়াটা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল।

চাকরির ক্ষেত্রে মূলত নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রার্থীর অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, কাজের ধরণ-এগুলোকেই বিচার করে নগদ। দক্ষতা যাচাইয়ের জন্যে বিশেষায়িত সব বিভাগে আলাদা স্কিল টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। এই স্কিল টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই মিলছে নিয়োগপত্র।

দেশের ডিজিটাল আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে অনেকগুলো নতুনত্বের জন্ম দেওয়া প্রতিষ্ঠানটি মনে করে শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক, কাজ জানলে নগদ তার জন্য সঠিক জায়গা।

বর্তমানে নগদে ৭৫০ জনের বেশি কর্মী কাজ করছেন। দক্ষতাকেই বলা হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য শেষ কথা। শুধু দক্ষ কর্মী বাছাই-ই নয়, কর্মীদের জন্যে রঙিন সব আয়োজনও করছে প্রতিষ্ঠানটি। মাসের এক দিন ওই মাসে জন্মদিন থাকা কর্মীদের জন্য উপহার ও উৎসবের আয়োজন করার ঘটনা ইতিমধ্যে করপোরেট জগতে বেশ সাড়া ফেলেছে।

;

সোনার দাম ভরিতে ১,৭৫০ টাকা বাড়ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ছে। এবার ভরিতে বাড়ছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। এতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। নতুন দর বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার (৭ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পিওর গ্লোড) দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুসারে, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪) সোনার দাম ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম পড়বে ৯৩ হাজার ৯৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৮০ হাজার ৫৩৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম পড়বে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা।

এর আগে গত ২৮ মে সোনার দাম কমনোর ঘোষণা দেয় বাজুস। সে সময়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের ভরি ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ভরি ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা। এ দাম ২৯ মে থেকে কার্যকর হয়।

সোনার দাম বাড়লে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

;

বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফ্রিজ উৎপাদকের দেশে রূপান্তরিত হলো বাংলাদেশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিশ্বের সর্বাধুনিক ওয়ালটনের জায়ান্টটেক সিরিজের এআইওটি বেজড স্মার্ট নতুন তিন মডেলের রেফ্রিজারেটর উম্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।

বিশ্বের সর্বাধুনিক ওয়ালটনের জায়ান্টটেক সিরিজের এআইওটি বেজড স্মার্ট নতুন তিন মডেলের রেফ্রিজারেটর উম্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফ্রিজ উৎপাদকের দেশে রূপান্তরিত হলো বাংলাদেশ। শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন উন্মোচন করলো জায়ান্টটেক সিরিজের এআইওটি বেজড স্মার্ট নতুন তিন মডেলের রেফ্রিজারেটর। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম উৎপাদনকৃত ফোর-ডোর রেফ্রিজারেটর এবং বিশ্বের প্রথম ৮রহ১ কনভার্টিবল সাইড বাই সাইড ডোর ফ্রিজ। ওয়ালটনের জায়ান্টটেক সিরিজের এসব ফ্রিজের মধ্য দিয়ে হাই-টেক রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বিপণনে নতুন যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। যা সৃষ্টি করলো প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও সক্ষমতার অনন্য নজির।

ওয়ালটনের জায়ান্টটেক সিরিজের মধ্যে রয়েছে ৬৬০ লিটারের জিটি প্রো ম্যাক্স, ৬৪৬ লিটারের জিটি প্রো এবং ৬১৯ লিটারের জিটি মডেলের রেফ্রিজারেটর। গ্রাহকেরা স্মার্টফোনে ওয়ালটন স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্সের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে এসব ফ্রিজ পরিচালনা করার পাশাপাশি অনলাইন শপিং ও ইউটিউবে কুকিং রেসিপি ব্রাউজ করতে পারবেন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সর্বাধিক ফিচারসমৃদ্ধ ওয়ালটনের এসব ফ্রিজ বাড়িয়ে দেবে ঘরের আভিজাত্য। নতুন এসব মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কমপার্টমেন্টের জন্য রয়েছে টারবো ও ইকো ফিচারসমৃদ্ধ ডুয়ো কুলিং সেটিংস। এসব ফ্রিজের এমএসও (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে। বিশ্বের সর্বোচ্চ কনভার্টিবল মুডসমৃদ্ধ ওয়ালটনের জায়ান্টটেক রেফ্রিজারেটরের ফ্রিজ ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এসব ফ্রিজ নিশ্চিত করবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত স্বাস্থ্যকর ফ্রেস খাবার।

ওয়ালটনের ফোর-ডোর জিটি প্রো ম্যাক্স ও সাইড বাই সাইড ডোর জিটি প্রো মডেলের বিশেষ ফিচারের মধ্যে রয়েছে ওয়াটার ডিসপেন্সার। এছাড়া জিটি প্রো ম্যাক্স মডেলে ২১.৫ ইঞ্চি ও জিটি মডেলে ১৫.৬ ইঞ্চির মাল্টিমিডিয়া এলসিডি ডিসপ্লে। এতে ইউটিউব ব্রাউজিং, অনলাইন গ্রোসারি শপিং, অফলাইন ভিডিও ও অডিও, কাউন্টডাউন ক্লক, অনলাইন রেসিপি, ক্লক, ক্যালেন্ডার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সেলফি ক্যামেরা, ওয়েদার আপডেট ইত্যাদি ফিচার রয়েছে। এছাড়া সাইড বাই সাইড জিটি প্রো মডেলে রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে। জিটি সিরিজের তিনটি মডেলেই স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় উপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এরজন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পরে না। ফলে ম্যাক্সিমাম কুলিং পারফরমেন্সের সঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

বুধবার (৭ জুন, ২০২৩) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে জায়ান্টটেক সিরিজের নতুন মডেলের ফ্রিজের উদ্বোধন উপলক্ষে জমকালো এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্বের সর্বাধুনিক ফ্রিজের উন্মোচন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও গোলাম মুর্শেদ এবং ওয়ালটনের স্পোর্টস অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অল-রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শোয়েব হোসেন নোবেল, ওয়ালটন প্লাজা’র চিফ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার, মো. হুমায়ুন কবীর ও মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, আমিন খান, দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), তোফায়েল আহমেদ (ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার), মো. ফিরোজ আলম, আজমল ফেরদৌস (হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার), আনিসুর রহমান মল্লিক, মো. শাহজাদা সেলিম (ইনচার্জ পিআর, মিডিয়া অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং) প্রমুখ।

দ্যা গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রাম সঞ্চালনা করেন দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়ালটন জায়ান্টটেক সিরিজের রেফ্রিজারেটগুলোর বিশেষ ফিচারের মধ্যে রয়েছে আয়োনাইজার, ওজোনাইজার ও ইউভি ফিচারসমৃদ্ধ ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর (আইজিটি), ইলোকট্রনিক কন্ট্রোল ফিচার, ডোর ওপেনিং অ্যালার্ম, চাইল্ড লক, থ্রি লেয়ার ওডোর গার্ড, হিউম্যান ডিটেক্টর, ফিঙ্গার প্রিন্ট রেসিস্ট্যান্ট মেটাল ডোর, ইন্টার্নাল অটোমেটিক আইস মেকার, সিরামিক কোডেট প্রিমিয়াম গ্লাস এবং এলিগ্যান্ট কার্ভড ডিজাইন মেটাল ডোর ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মুর্শেদ বলেন, জায়ান্টটেক সিরিজের ফ্রিজের মডেল ডেভলমেন্টের জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বহুদেশের ফ্রিজ এক্সপার্টসদের নিয়ে কাজ করেছি। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরএন্ডআই) সেন্টার ও প্রকৌশলী টিম গঠনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের শক্তিশালী আরঅ্যান্ডআই এর দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীগণসহ প্রোডাকশন, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টসহ সব বিভাগের সদস্যরা গত পাঁচবছর ধরে জায়ান্টটেক সিরিজ ফ্রিজের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এরই প্রতিফলন হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ফোর-ডোর ফ্রিজ উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা লাভ করলো বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিশ্বের প্রথম ৮রহ১ কনভার্টিবল সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বাজারজাতকারী দেশে বাংলাদেশের আবির্ভাব হলো। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফ্রিজ উৎপাদনকারী দেশে বাংলাদেশের রপান্তর ঘটলো। আমাদের এ ধরনের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ওয়ালটন ফ্রিজের সিবিও তোফায়েল আহমেদ বলেন, জায়ান্টটেক সিরিজের রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। বিশ্বের সকল আধুনিক দেশগুলোর বেঞ্চমার্ক উপযোগি করে জায়ান্টটেক সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি করা হয়েছে। এসব ফ্রিজে গ্রাহকেরা স্মার্ট সব প্রযুক্তি ও ফিচার পাবেন।

ওয়ালটনের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ইয়ুন মগ ইয়াং জানান, জায়ান্টটেক সিরিজের ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়েছে থ্রি ডি এমএসও ইনভার্টার টেকনোলজি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বেজড এই প্রযুক্তি এনভায়রনমেন্ট টেম্পেরেচারের থ্রিডি ডাটা সংগ্রহের পাশাপাশি দরজা খোলা অবস্থায় ও ফ্রিজ কম্পার্টমেন্টের সঠিক টেম্পেরেচার অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রিজের তাপমাত্রা সেট করে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ খরচে সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে। এছাড়া, বিশ্বের সর্বোচ্চ কনভার্টিবল মুডসমৃদ্ধ ওয়ালটনের জায়ান্টটেক রেফ্রিজারেটরের ফ্রিজ ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ইতসুরো সুজুকি জানান, নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে আলোকরশ্মির মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফলমূল ও শাক-সবজি প্রকৃতির মতো সজীব রাখে। ফলে ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফল ও সবজির ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য খাদ্যগুণ ও পুষ্টি অক্ষুণœ থাকে। এসব ফ্রিজের ইউভি-সি টেকনোলজি বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ফ্রিজে রাখা খাবারকে সুরক্ষিত রাখে। ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর টেকনোলজি বায়ুবাহিত জীবাণু ধ্বংস করে। থ্রি-লেয়ার ওডোর সেফ গার্ড অনাকাক্ষিত গন্ধ দূর করে খাবারের স্বাদ রাখে অটুট। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় উপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এরজন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পরে না।

৬১৯ লিটার থেকে ৬৬০ লিটার ধারণক্ষমতার ওয়ালটনের জিটি সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো বাজারে আসবে চলতি মাসেই। এই মডেলগুলোর দাম পড়বে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে।

ওয়ালটনের এসব ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। এছাড়া রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত ৭৯টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা।

;