বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৫ হাজার মেগাওয়াটের নিচে নামল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ইতিহাসে একদিনে রেকর্ড ১৫ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের রেকর্ড করার পর, শনিবার দেশের সামগ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদন আবার ১৫ হাজার মেগাওয়াটের নিচে নেমে এসেছে।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রামপাল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট প্রথম ইউনিট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমার কারণ।

বিজ্ঞাপন

তবে প্ল্যান্টটির মালিক ও পরিচালনাকারী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।

এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির কারণে দেশকে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং ভোগ করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) অফিসিয়াল রেকর্ড দেখায়, শনিবার রাতে দেশে ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১৩ হাজার ৯৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

বিপিডিবি রোববারের জন্য একটি পূর্বাভাস দিয়েছে, যাতে ইঙ্গিত করেছে যে রবিবার দেশের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট হবে এবং সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৫ হাজার মেগাওয়াট হবে এবং প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হতে পারে।

বিপিডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চাহিদা অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে সরকার গত সপ্তাহে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে।

বিপিডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গত সপ্তাহ থেকে আমরা কিছু ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের জুলাই মাসে সরকার ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করে।