ভোলার নতুন কূপ থেকে ১৪ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদনের আশা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভোলায় নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, ইলিশা নামের ওই কূপে ৩টি স্তরে গ্যাস রয়েছে। একটি স্তরের (৩৪৩২-৩৪৩৫) পরীক্ষা শেষ হয়েছে, এতে দৈনিক ১৪ মিলিয়ন পর্যন্ত উৎপাদন সম্ভব বলে বার্তা২৪.কম-কে জানিয়েছেন বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী।

তিনি আরও জানিয়েছেন, আরও দুটি স্তরের পরীক্ষা শেষ হবে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। যে স্তরে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাবে, সেখান থেকে উৎপাদন শুরু করা হবে। আশা করছি ভালো উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

গত জানুয়ারিতে ভোলা নর্থ-২ উন্নয়ন কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলিছে। কূপটিতে ৩ হাজার ৪শ' ২৮ মিটার গভীরতায় খনন করা হয়। ডিএসটি সম্পন্নের সময়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার বিষয়ে ধারনা করছে বাপেক্স।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিকল্পনা অনুসারে চালাতে হবে। ২০২২-২৫ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা ৪৬ টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অফসোর ও অনসোরে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানোর সাথে সাথে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ব্রুনেইসহ গ্যাস ও তেল উৎপাদনকারী দেশসমূহের সাথে দীর্ঘ মেয়াদী ও স্বল্প মেয়াদী চুক্তির প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এখন পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গ্যাসের রিজার্ভ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সিলেট অঞ্চলের পরে ভোলায় বড় গ্যাসের রিজার্ভ রয়েছে। যেখানে কূপ খনন করা হচ্ছে তাতেই গ্যাসের সন্ধান মিলছে। ধারণা করা হচ্ছে এই গ্যাসের স্তর সাগর এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ পর্যসন্ত প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। সেখানে উদ্বৃত গ্যাস পড়ে থাকলেও পাইপ লাইনের অভাবে মূল ভূখন্ডে আনা যাচ্ছে না। সেখান থেকে সিএনজি আকারে গ্যাস আনার বিষয়ে চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এখনও তিমিরেই রয়ে গেছে মনে করে সংশ্লিষ্টরা। ১০টিকূপ খনন করে ১টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কারকে আন্তর্জাতিক মানদন্ড বিবেচনা করা হয়। সেখানেবাংলাদেশে তিনটি কূপ খনন করে ১টি গ্যাস ফিল্ড আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশ সীমানায় প্রথম কূপ খনন করা হয় ১৯১০ সালে ।বর্তমান সময় পর‌্যন্ত (১১০বছরে) ৯৬টি কূপ খননের মাধ্যমে ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কার হয়েছে। যথাযথভাবে অনুসন্ধ্যান কার‌্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা হলে আজকে এই অবস্থার মুখোমুখি পড়তে হতো না বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।