মেসিদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মেসিদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিকাশ

মেসিদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ আজ তাদের ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রাখা শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বিকাশ, এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের ব্র্যান্ড পার্টনার হলো।

প্রতিবারের মতোই ২০২২ বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনা দল বাংলাদেশি ভক্তদের কাছ থেকে যে অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছে, সেই আবেগ আর প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়েই বিশ্বকাপজয়ী দলের সাথে বিকাশের এই ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ।

আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের প্রতি বিশ্বব্যাপী ধারাবাহিক সমর্থনের অংশ হিসেবে এএফএ বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের ব্র্যান্ড সম্প্রসারণ কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। সেই প্রেক্ষাপটেই একসাথে কাজ করতে বাংলাদেশের সেরা ব্র্যান্ড বিকাশকে বেছে নিয়েছে এএফএ। আর্থিক সেবায় নির্ভরতা ও বিশ্বস্ততার প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং আর্জেন্টিনা ফুটবল দল – উভয়েই অগণিত বাংলাদেশীর মন জয় করেছে। প্রতিষ্ঠান দু’টি এখন কোটি ফুটবল অনুরাগীদের সাথে তাদের প্রিয় লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, জুলিয়ান আলভারেজ, এমি মার্টিনেজদের মতো সুপারস্টারদের সেতুবন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার ফুটবল শৈলি দেখেই ফুটবলের প্রতি গভীর ভালবাসা সৃষ্টি হয়েছিলো অগণিত বাংলাদেশীর, যা আজো অটুট আছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

এবার স্বপ্নের ফুটবল সুপারস্টারদেরকে বাংলাদেশের ভক্ত-অনুরাগীদের আরও কাছাকাছি এনে দেবে এই উদ্যোগ। এই অংশীদারিত্বের ফলে আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল এবং বিকাশ– উভয়েই আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতা এনে দিয়ে দেশের ৭ কোটি মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। আর তাই, খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষের ক্ষমতায়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করতে এই রোমাঞ্চকর অভিযাত্রায় এএফএ-এর সাথে যুক্ত হলো শক্তিশালী এই বাংলাদেশি ব্র্যান্ডটি৷

এ প্রসঙ্গে এএফএ-এর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিও ফ্যাবিয়ান তাপিয়া বলেন, আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল পুরো বিশ্বকাপজুড়েই বাংলাদেশিদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছে। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রথম বাংলাদেশি আঞ্চলিক ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে বিশ্বনন্দিত ফিনটেক কোম্পানি বিকাশকে পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি সত্যিকারের মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। এরকম অংশীদারিত্বের ফলে আমরা নতুন নতুন অঞ্চলগুলোতে যেতে পারবো যেখানে আমাদের জাতীয় ফুটবল দলের অগণিত ভক্ত রয়েছেন। এ অনন্য অভিযাত্রায় আমরা বিকাশকে স্বাগত জানাই।

বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, মানুষের ক্ষমতায়ন ও বিনোদনকে এক সুতোয় গেঁথে সারা বিশ্বকে একত্রিত করে ফুটবল। ধ্রুপদী ও ছন্দময় আর্জেন্টিনীয় ফুটবল এবং তাদের তারকা-সমৃদ্ধ দলগুলো যুগ যুগ ধরে সারা বিশ্বকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে। ২০২২ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশি ভক্তদের প্রাণঢালা সমর্থন বিশ্বব্যাপী অকুণ্ঠ প্রশংসা পেয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গল্পও এখন বিশ্বব্যাপী নন্দিত। সমৃদ্ধির পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে আমাদের জনগণের নিরলস প্রচেষ্টা শিগগিরই বাংলাদেশকে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে চলেছে। এই প্রত্যাশার আলোকেই, বিশ্বের শীর্ষ ফুটবল দল আর্জেন্টিনা এবং লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিয় ব্র্যান্ড বিকাশের সঙ্গে সহযোগী হতে আগ্রহী হয়েছে। খেলাধুলা ও বিনোদনের মাধ্যমে এই অংশীদারিত্ব সৌহার্দ্যের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, পাশাপাশি সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পকে আরো গভীরভাবে জানাতে সাহায্য করবে।

এএফএ-এর চিফ কমার্শিয়াল অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার লিয়ান্দ্রো পিটারসেন বলেছেন, গত পাঁচ বছরে আমরা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক খ্যাতি বৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক সুযোগ সৃষ্টির জন্য একটি কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্য স্থাপন করেছি। সেই ধারাবাহিকতায়, এএফএ-এর স্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও আন্তরিকভাবে কাজ করার ফলই হলো বিকাশের সাথে আজকের এই আঞ্চলিক ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ। চীন, ভারত, মধ্যপ্রাচ্যের পর এখন বাংলাদেশেও এএফএ ব্র্যান্ডের বৈশ্বিক সম্প্রসারণ হলো। এখন আর্জেন্টিনা ফুটবল টিমের ভক্ত ও বিকাশ ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয় খেলোয়াড়দের আরো কাছে আসতে পারবেন। আমরা আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি, বাংলাদেশের ইতিহাসে এএফএ-এর প্রথম আঞ্চলিক ব্র্যান্ড পার্টনার হলো বিকাশ। আমাদের লক্ষ্য, একসাথে কাজ করে এই অংশীদারিত্বকে আরো শক্তিশালী করা এবং বিকাশের মতো বিশ্বমানের ব্র্যান্ডগুলোর সাথে নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করা। এএফএ এবং বিকাশ যৌথভাবে একে অপরের প্রচারণায় ও ব্র্যান্ড ভ্যাল্যু বাড়াতে কাজ করবে।

বিকাশ সম্পর্কে

ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানি ইন মোশন এলএলসি, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, অ্যান্ট গ্রুপ এবং সফটব্যাংক ভিশন ফান্ড-এর যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিকাশ, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবার আওতায় এবং এর বাইরে থাকা – উভয় শ্রেণীর গ্রাহকদের জন্যই বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ, সহজ ও ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ও গ্রাহকবান্ধব সেবা দিয়ে বিকাশ এখন কোটি কোটি গ্রাহকের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। বিকাশ, এর উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেলের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি অর্জন করার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে টেকসই সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখায় বিশ্বখ্যাত ফরচুন ম্যাগাজিনের ২০১৭ সালের “চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড” লিস্টে বিশ্বসেরা ৫০টি কোম্পানির মধ্যে ২৩তম স্থান অর্জন করে এবং ২০২২-এ দেশের মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথমবার এশিয়ামানি’র “বেস্ট ফর ডিজিটাল সল্যুশন্স ইন বাংলাদেশ” পুরস্কার অর্জন করে বিকাশ। এছাড়া বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ও নিয়েলসেন আইকিউ পরিচালিত ভোক্তা জরিপে ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে টানা চারবার দেশ সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পায়।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://www.bkash.com/

   

আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার। 

মুবারক আলী ফাউন্ডেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) যৌথ এ উদ্যোগে দেশের ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

আইবিএ ক্যাম্পাসে ফিতা কাটার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দেশের শিক্ষা ও ব্যবসা খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার শিক্ষাক্রমের সাথে প্রাসঙ্গিক ব্যবসায়িক কেস স্টাডি একীভূত করার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়িক শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী যেন দেশে ব্যবসায়িক শিক্ষাখাত বিস্তৃত হতে পারে এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।

এ উদ্যোগ গ্রহণের পেছনের কারণ তুলে ধরে মুবারক আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমরীন বশির আলী ও তানভীর আলী বলেন, আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারটি শুধু একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ভূমিকা রাখবে এমন নয়, পাশাপাশি এ সেন্টার প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত শিক্ষার পরিসর বিস্তৃতিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

অংশীদারিত্বমূলক এ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে আইবি'র পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মাদ এ. মোমেন বলেন, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নজির স্থাপনে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের ওপর আলোকপাত করে কেস স্টাডি তৈরি ও প্রকাশে কাঠামো তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল পাবলিশিং ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সাথে এ অংশীদারিত্ব। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যেন শিক্ষার্থীরা উদীয়মান বাজারের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

এ অংশীদারিত্ব হার্ভার্ড বিজনেস পাবলিশিং এডুকেশনের দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক দিব্যেশ মেহতা বলেন, আমরা আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। এ উদ্যোগ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের সম্ভাবনা তুলে ধরবে; পাশাপাশি, শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থবহ অংশীদারিত্ব কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তারও অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে। একসাথে আমরা সাফল্যগাঁথা রচনা করছি; আর এর শেকড় প্রাসঙ্গিকতা ও রূপান্তরমূলক শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার ভেতরে নিহিত রয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর (আইআইএমবি) ডিসিশন সাইন্সেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ইউ দীনেশ কুমার বলেন, আইআইএম বেঙ্গালুরু (আইআইএমবি) আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়িক মডেলের কার্যকারিতা বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। কেস স্টাডি তৈরির পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে এ অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মুবারক আলী বিগত চার দশকে সফলভাবে একটি অনবদ্য প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ মুবারক আলীর অন্তর্ধানের এক বছর পূর্তি। তার সাফল্যমণ্ডিত জীবন ও কর্মের স্মরণে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা, শিল্পকলা ও স্থাপত্যে টেকসই উন্নয়ন এবং উৎকর্ষ অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে মুবারক আলি ফাউন্ডেশন। শিল্পকলার ক্ষেত্রে এ ফাউন্ডেশন লন্ডনে ফ্রিজ আর্ট ফেয়ার ইমার্জিং আর্টিস্ট প্রাইজে সহায়তা করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলগুলোর প্রতি ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতি কমিউনিটির উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রয়াত মুবারক আলীর নিষ্ঠা ও নিবেদনকেই প্রতিফলিত করে।

ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে আগত অতিথিদের উদ্যম ও উৎসাহ প্রকাশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। এ উদ্যোগ দেশে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে, যারা দেশে ও বিশ্বব্যাপী ব্যবসার ভবিষ্যৎ আকৃতিদানে ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য সকলের। 

;

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;

ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে আবারও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।

;

এপ্রিলে পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ থেকে গত এপ্রিলে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ৯১৬ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কম।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এপ্রিলে ৪৭১ কোটি ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রফতানিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এ সময়ে মোট রফতানির মূল্য ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা, যা ৫ হাজার ৯৭ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম হয়েছিল।

রফতানিমুখী শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের সময়ে কারখানাগুলোয় কার্যাদেশ কম এসেছে। দীর্ঘায়িত ছুটির কারণেও রফতানি চালানের সংখ্যা কমে যায়। এ কারণে পণ্যদ্রব্য রফতানি নিম্নমুখী হয়, তবে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে একে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন।

এখন পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতাসক্ষম রাখতে সহায়তা করছে। তবে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে সেই সুবিধা আর থাকবে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তিন বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। এ সুবিধা আমদানি ও রফতানিকারক দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এলডিসি হিসেবে আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাই, সেসব ভবিষ্যতে থাকবে না। তখন রফতানি বাড়াতে হলে নতুন কৌশল বা উদ্যোগ লাগবে। রফতানিতে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুুক্তি করার জন্য সরকারের রাজনৈতিক সম্মতি লাগবে।

;