প্রযুক্তি, স্মার্ট বাংলাদেশের একটি উপাদান মাত্র: প্রতিমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে অনেকে মনে করে আইটি নির্ভর বাংলাদেশকে। টেকনোলজি স্মার্ট বাংলাদেশের একটি উপাদান মাত্র, সেবার জায়গাটা যদি সহজ করতে না পারি তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে না।

রোববার (২১ মে) হাইড্রোকার্বন ইউনিট আয়োজিত বাংলাদেশের স্মার্ট জ্বালানি পরিকল্পনা শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে আমি মনে করি কোনটি হলে জনগণের ভালো হবে, সেটা নিশ্চিত করা। জ্বালানির ক্ষেত্রে যদি বলি, কতটা নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও মানসম্মত দিতে পারছি। এইযে আমরা ভুগতেছি, গ্যাস দিতে চাচ্ছি, আমরা যা দিতে চাচ্ছি, ঠিকমতো সরবরাহ দিতে পারছি কিনা। ৩ মাসের বিল আপনারা এফডিআর করে রাখতেছেন কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন, সরবরাহ দিতে পারছেন না। নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হলে তার জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে। ভবিষ্যতে সেবাকে সেই জায়গায় নিতে যেতে হবে।

শুধু সরবরাহ নয়, আমাদের সিদ্ধান্তে ধীরগতি, সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় ধীরগতি এতে অনেক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা। টেকনোলজি আরও আপডেট হতে হবে।অনেকে মনে করেন আমি টেকনোলজি জানিনা, কিভাবে চলব। তাদেরও ভয়ের কিছু নেই, আমরা অনেকে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে মোবাইল ব্যবহার শিখছি। আপনি পারছেন না, আপনার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের শিখিয়ে নিন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও কিভাবে উন্নত সেবা দেওয়া যায়। আমরা সেই কাজ শুরু করেছি, আমি যদি ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইনের কথা বলি, পাইপলাইনটি চালু হলে তেল পাবলিকের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে পারবো। এখন যেভাবে বার্জে করে আনা হয়, এতে একদিকে যেমন সময় বেশি লেগে যায়, অন্যদিকে ভেজাল মেশানোর ভয় থেকে যায়। পাইপলাইন তেল আসলে কোন রকম ভেজাল মেশাতে পারবে না।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ বলেন, এতোদিন আমরা চলেছি ট্রাডিশনাল পদ্ধতিতে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত তেলের ডিপোগুলোর কাজ হয় অনেকটা পুরনো ধাঁচে। আমরা এগুলোকেও আধুনিকায়ন করার কাজ শুরু করেছি। আমাদের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বাস্তবায়ন হলে, প্রতিবছর ৮ থেকে ৯শ কোটি টাকা খরচ কমে আসবে। জনগণের সেবা সহজ এবং নিরবচ্ছিন্ন হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনসহ এরকম আরও অনেক প্রকল্পের কথা বলতে পারি।

হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক তাহমিনা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক এবিএম আলীম আল ইসলাম। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবীরসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।