সোনার দাম ভরিতে ১,৭৫০ টাকা বাড়ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ছে। এবার ভরিতে বাড়ছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। এতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। নতুন দর বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার (৭ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পিওর গ্লোড) দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুসারে, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪) সোনার দাম ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম পড়বে ৯৩ হাজার ৯৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৮০ হাজার ৫৩৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম পড়বে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা।

এর আগে গত ২৮ মে সোনার দাম কমনোর ঘোষণা দেয় বাজুস। সে সময়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের ভরি ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ভরি ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা। এ দাম ২৯ মে থেকে কার্যকর হয়।

সোনার দাম বাড়লে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

   

আবারও ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন ক্রিকেটার মিরাজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তৃতীয় বারের মতো ওয়ালটনের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আগামি দুই বছরের জন্য তরুণ এই ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন’। এর আগে ২০১৫ সালে মিরাজ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থাকার সময় দুই বছরের জন্য ওয়ালটনের ‘ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর’ হয়েছিলেন।

সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে মিরাজ ও ওয়ালটনের মধ্যকার এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) নজরুল ইসলাম সরকার।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, মো. শাহজালাল হোসেন লিমন, মো. মাহমুদুল ইসলাম ও দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন এবং পাওয়ার প্লে কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুর রহমান পলাশ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ক্রিকেটসহ দেশের অন্যান্য খেলাধূলায় সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে ওয়ালটন। জাতীয় ক্রিকেট দল যেমন বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করছে, তেমনি ওয়ালটনও বিশ্ব প্রযুক্তি পণ্য খাতে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে। মিরাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অত্যন্ত প্রতিভাবান ও অন্যতম অলরাউন্ডার। তার মতো মেধাবী অলরাউন্ডার ক্রিকেটারকে ৩য় বারের মতো ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’

অনুষ্ঠানে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়ালটন বরাবরই এগিয়ে। দেশের সর্বস্তরের খেলাধূলা এবং খেলোয়াড়দেরও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ওয়ালটন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় যখন আমার তেমন পরিচিতি ছিল না, তখন ওয়ালটন আমাকে ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর করেছে। এরপর টানা তিনবার আমাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর-এর মর্যাদা দিল ওয়ালটন। এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। দেশ-বিদেশে ওয়ালটনকে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি ওয়ালটনের ব্র্র্যান্ড ইমেজকে আরও বৃদ্ধি করতে আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকবো।’

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫টি নতুন উপশাখা সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫টি নতুন উপশাখা সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫টি নতুন উপশাখা সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে উপশাখাগুলোর উদ্বোধন করেন।

নতুন ৫ টি উপশাখা হচ্ছে- নওগাঁর নজিপুরে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি, নতুনহাট এবং পটিয়ার থানার মোড়ে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল ডিভিশনের প্রধান জয়নাল আবেদীন। ব্যাংকের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানগণ সহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহের ব্যবস্থাপক ও উপশাখার ইনচার্জবৃন্দ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

;

বড় সিটি থেকে পাঁচ বছরে বিদ্যুতের তার সরিয়ে ফেলা হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ বছরের মধ্যে বড় সিটিগুলোর বিদ্যুতের তার সরিয়ে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হবে। প্রথম ধাপেই ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা সিটি থাকছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপনের প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

ধানমন্ডি এলাকায় ৩৪টি রোডে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ৮টি রোডের কাজ শেষ হয়েছে ১১টি রোডের কাজ শেষের পথে।আগামী বছরের কাজ শেষ নাগাদ ১০ হাজার ৪০০ গ্রাহকের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত হবে। প্রত্যেকটি বাসায় একাধিক উৎসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। একটি উৎসের বিদ্যুতে বিভ্রাট হলে স্বয়ংক্রিভাবে বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল থাকবে বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বৈদ্যুতিক লাইনগুলো সরিয়ে ফেলেছি। এখন আর রাস্তার ওপর কোন তার থাকবে না। এই কাজটি আমরা ধানমন্ডি থেকে শুরু করলাম। এটাকে পাইলট আকারেও দেখতে চাচ্ছি এর ফলাফল কেমন হয়। পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকার ওভারহেড লাইন মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে। এর জন্য প্রাক-সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, ঝড় ও বৃষ্টিতে অনেক সময় বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারের কারণে কিছুদিন পর পর গাছের ডাল কাটতে হয়। এই জটিলতা আর থাকছে না। নগরীতে সবুজায়ন আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা এখন উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলে গ্রাহক যেমন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে। তেমনি বিতরণ কোম্পানিও অনেক সুবিধা পাবে। তাদের রক্ষণাবেক্ষণ ঝামেলা কমে যাবে, সিস্টেম লস কমে আসবে। এমনকি বাসাবাড়িতে ইচ্ছামতো লোড ব্যবহারও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কেউ হঠাৎ করে বেশি (অনুমোদিত লোডের বেশি) বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

ধানমন্ডি ৩ নম্বরে দাঁড়িয়ে যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সে এলাকায় কিছু ঝুলন্ত তারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এগুলো ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট লাইনের। আমরা অনুরোধ করবো তারা যেনো এগুলো সরিয়ে নেয়। তাদের ক্যাবল মাটির নিচে নেওয়ার জন্য নেটওয়ার্ক প্রস্তুত আছে। তারা যেনো সেখানে চলে যায়। যেগুলো দেখছেন সেগুলো রাস্তার বাতির খুঁটি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডি এলাকার এই প্রকল্পের সঙ্গে হাতিরঝিলের পানিতে থাকা টাওয়ারগুলো সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলো শিগগিরই সরিয়ে নেওয়া হবে। এছাড়া ঢাকার আশপাশের নদীতে থাকা বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের হাইভোল্টেজ টাওয়ারগুলো সরিয়ে ফেলার হবে।

সম্প্রতি মিরপুরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি খুবই হৃদয়বিদারক। এ জন্য বিতরণ কোম্পানির পাশাপাশি গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে। ঝড়বৃষ্টির পর কোথাও তার ছিঁড়ে গেলে একটু সাবধান থাকতে হবে। আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপন শেষ হলে এমন দুর্ঘটনার শঙ্কা আর থাকবে না।

প্রতিমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩ নম্বর থেকে শুরু করে, প্রকল্প এলাকার বেশকিছু রোড ঘুরে দেখেন। এমনকি একটি দু’টি বাসায় গ্রাহকের সঙ্গে আলাপ করেন। তাদের প্রতিক্রিয়া মনযোগ দিয়ে শুনেন। অন্যান্য বিতরণ কোম্পানির লোকজনকে এই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করার জন্য পরামর্শ দেন।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় যেসব বিদ্যুতের লাইন রয়েছে অনেক পুরনো (২০০০ সালের আগের)। ওভারহেড লাইনের (খুঁটিতে ঝুলন্ত) নানা রকম সমস্যা থাকে। দেখা যাচ্ছে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। এমনও দেখা গেছে বাসাবাড়ির ময়লা তারে আটকে গিয়ে বিভ্রাট হচ্ছে। ওভারহেড লাইনে নানা কারণেই বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সেদিক থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল অনেক নিরাপদ ও সুরক্ষিত। এতে করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সহজ হবে।

ডিপিডিসি এমডি আরও বলেন, আমরা স্মার্টগ্রিড সিস্টেমের বিষয়েও কাজ করে যাচ্ছি। তাতে গ্রাহকসেবা আরও উন্নত হবে। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও উন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি।

‘ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পটির জন্য বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে চুক্তি হয় ২০১৬ সালে। আর ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ধানমন্ডির পূর্বে মিরপুর রোড, পশ্চিমে সাতমসজিদ রোড, উত্তরে ধানমন্ডি ২৭ এবং দক্ষিণে ধানমন্ডি -১ পর্যন্ত বিস্তৃত। এসব এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩০ মেগাওয়াটের মতো। আগামী ২৫ বছরে চাহিদা বৃদ্ধি বিবেচনায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আরএমইউ (উচ্চচাপ সংযোগ ও ইন্টার-কানেকশন) এবং বক্সটাইপ ট্রান্সফরমার ও এলভি বক্স (নিম্নচাপ) স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য ২৭০টি আরএমইউ ও ৩৬টি বক্সটাইপ ট্রান্সফরমার, ১৩০টি এলভি বক্স ও ১০০ কিলোমিটার ক্যাবল স্থাপন করা হবে। জায়গা সংকট এবং সিটি করপোরেশনের সঙ্গে রশি টানাটানির কারণে নির্ধারিত সময়ে থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।

;

মোবাইলে লেনদেনের ২২ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল বিএফআইইউ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইন জুয়া ও হুন্ডির কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ হাজার ৭২৫টি মোবাইল হিসাব (মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস) বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বন্ধ হওয়া এসব হিসাবের বেশিরভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের। ভবিষ্যতে এ ধরনের লেনদেনে জড়িত না হতে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কও করেছে সংস্থাটি।

বিএফআইইউ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরের গত নয় মাসে ৩৭১টি অনলাইন গেমিং ও বেটিং লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১টি লেনদেন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩টি লেনদেনের তথ্য তারা পেয়েছে। এসব তথ্য তারা বিশ্লেষণ করে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।

এছাড়া বিএফআইইউ অবৈধ হুন্ডি, গেমিং, বেটিং ও ক্রিপ্টো সংক্রান্ত ৮১৪টি ওয়েবসাইট, ১৫৯টি অ্যাপ ও ৪৪২টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও লিংকের তালিকা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠিয়েছে। বিএফআইইউ ২১টি মানি চেঞ্জার এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মানিলন্ডারিং বিরোধী কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএফআইইউ এসব তথ্য তুলে ধরে।

এ বিষয়ে বিএফআইইউ-এর প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় বিএফআইইউ-এর উপপ্রধান কর্মকর্তা এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, বিএফআইইউ পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. আরিফুজ্জামান, সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান ও উপপ্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণগ্রহণ করে বা নন-ফান্ডেড সুবিধাকে ফান্ডেড সুবিধায় রূপান্তর ও ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং, গেমিং, বেটিং, ডিজিটাল হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগসহ সমসাময়িক নানা ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ ছাড়া ওয়েজ আর্নাররা যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠান সে বিষয়ে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়।

সভায় বিএফআইইউ-এর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, দুষ্কৃতকারী ও অর্থ পাচারকারীরা যাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ‘বিএফআইইউ আর্থিক অপরাধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবে। যাদের পরিপালন ব্যবস্থায় দুর্বলতা পরিলক্ষিত হবে, তাদের বিষয়েই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

;