রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি লোডিংয়ের ক্রেন স্থাপন সম্পন্ন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি লোডিংয়ের ক্রেন স্থাপন সম্পন্ন

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি লোডিংয়ের ক্রেন স্থাপন সম্পন্ন

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম ইউনিটে জ্বালানি ও ভারী যন্ত্রপাতি লোডিং-আনলোডিংয়ের জন্য ৩৬০ টন ক্ষমতার বিশেষ ক্রেন স্থাপন করা হয়েছে। ক্রেনটি +৪৭.৫০ মিটার এলিভেশনে স্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

২২৫টন ওজনের ওই ক্রেনটি রাশিয়ায় তৈরির পর এটিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সাইটে আনা হয়। ক্রেনের অংশগুলো সংযোজনের কাজ সম্পন্ন করা হয় প্রকল্প এলাকাতেই। বিশালাকার এই ক্রেনটির উত্তোলন ক্ষমতা ৩৬০টন।

বিজ্ঞাপন

এটমস্ত্রয় এক্সপোর্টর ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মান কাজের পরিচালক আলেক্সি দেইরি জানান, “বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চলাকালীন অত্যন্ত ভারী যন্ত্রপাতি এবং জ্বালানির লোডিং- রিলোডিং এর জন্য এটি ব্যবহৃত হবে”।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্টাক্টর রাশিয়ার রসাটম কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দু’টি ইউনিট স্থাপিত হবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর, যেগুলো সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে রাশিয়া থেকে প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি বাংলাদেশে এসে পৌছুবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ এ প্রথম ইউনিট থেকে১২০০ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ইউনিট থেকেআরও ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ২০২৪ সালেউৎপাদন হওয়ার কথা ছিল। রাশিয়ার উপরপশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে জার্মান প্রতিষ্ঠানসিমেন্স কাজকে জটিল করে তুলেছে। সিমেন্স২৩৩/৪০০ কেভি জিআইএস সাব স্টেশন সরবরাহকরার কথা ছিল। গত বছর সাব স্টেশন সরবরাহকরতে অস্বীকৃতি জানালে নতুন ঠিকাদার নিযুক্তকরা হয়েছে চীনা কোম্পানিকে। তারা ২০২৩সালের মধ্যেই সরবরাহ করতে চায়। অন্যদিকেসঞ্চালন লাইন নির্মাণের গতিও পুরোপুরিসন্তোষজনক নয়। সঞ্চালন লাইন নির্মাণেরতদারক প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অববাংলাদেশ (পিজিসিবি) নির্ধারিত সময়ে কাজশেষ করতে পারছেন না। বিশেষ করে নদীপারাপারের কাজটি এখনও সেভাবে শুরু করতেপারেনি। অর্থাৎ দুই দিক থেকেই বাণিজ্যিকউৎপাদনের তারিখ পেছানোর তাগাদা ছিল। সম্প্রতি এক বছর পিছিয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বাণিজ্যিক উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।