জ্বালানি তেল বিক্রেতাদের কমিশন এজেন্ট ঘোষণা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পেট্রোল পাম্প। ছবি : সংগৃহীত

পেট্রোল পাম্প। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকাঃ জ্বালানি তেল বিপণনে সরকার ও বিপিসি কর্তৃক অনুমতি প্রাপ্ত জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এবং ডিলারদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

এতে উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষর করেছেন। বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি অনেক দিন ধরেই এ বিষয়ে দাবী জানিয়ে আসছিল। সমিতির একাংশ কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩দফা দাবীতে ৩সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গেজেট প্রকাশের পর পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন,আমাদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়ে শুধু একটি দাবী মেনে নেওয়া হয়েছে। এতোদিন আমরা শিল্প হিসেবে বিবেচিত হতাম, এতে কলকারখানা পরিদপ্তরসহ অনেক জায়গা থেকে লাইসেন্স নিতে হতো। এখন সে সব লাইসেন্সের হয়রানী থেকে মুক্তি পাবো।

তবে প্রধান দাবী কমিশন বৃদ্ধির বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। যে কারণে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না ধর্মঘটের বিষয়ে। আমরা যোগাযোগ করছি, হয়তো রাতের মধ্যে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে না। সে কারণে আগামী কালের ধর্মঘট হতে পারে, হয়তো পরশু (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রত্যাহার হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বর্তমানে ডিজেলে ২, পেট্রোলে ৩ এবং অকটেনে ৪ শতাংশের মতো কমিশন রয়েছে। আমরা এই কমিশন ৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছি। তেলের দাম বেড়ে গেছে, আমাদের বিনিয়োগ বেড়েছে। কিন্তু কমিশন বাড়ে নি।

অন্যদিবে আরেকটি গ্রুপ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে ৩০ সেপ্টেম্বর পর‌্যন্ত। ধর্মঘট স্থগিতের বিবৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্ট এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর আহসান উদ্দিন পারভেজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সকল দাবী দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে পেট্রোল পাম্প মালিকদের দাবী দাওয়া ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করা হয়েছে। অতএব উক্ত সময়ের মধ্যে সকল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন স্বাভাবিক রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

মালিক সমিতির তিন দফা দাবি মধ্যে রয়েছে:

জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন ৭.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা। পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীরা যে কমিশন এজেন্ট, তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা। (ক) ট্যাংকলরি ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নয়, এ বিষয়ে সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশ। (খ) ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।