পিএসসি চূড়ান্ত হলেও সাগরে দরপত্র আহ্বানে ঢিলেমি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পিএসসি-২০০৮ মাত্র ৩ মাসে চূড়ান্ত হলেও ঢিলেমির কারণে পৌনে ৩ বছর সময় গড়িয়ে গেছে পিএসসি-২০২৩ (উৎপাদন ও বন্টন চুক্তি) হালনাগাদে। অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত পিএসসি চূড়ান্ত হলেও দরপত্র আহ্বানের কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

পিএসসি অনুমোদনের পর একাধিক সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের তৎকালীন সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেছিলেন, আমরা এক মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করতে চাই।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, সাধারণ পিএসসি চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিড ডকুমেন্ট অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। কিন্তু পিএসসি অনুমোদিত হওয়ার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও দরপত্রের ফাইল এখনো তোলা হয়নি। তবে খসড়া বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ফাইল চাওয়া হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।

মডেল পিএসসি-২০০৮ চূড়ান্ত করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন পেট্রোবাংলার তৎকালীন পরিচালক (মাইনিং) মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী। সাবেক ওই পরিচালক বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে মধ্যে চূড়ান্ত করেছিলাম। এখন পৌনে ৩ বছর লাগবে কেনো। আমরা তখন খসড়া উন্মুক্ত রেখে পাবলিকের মতামত নিয়েছি, আমরা ৪টি পাবকিল কনসালটেশন করেছি। তখনও এতদিন লাগেনি। এবার তো এসবের কিছুই করা হয়নি। বিষয়টি হচ্ছে লক্ষ্যটা কি। তোমার যদি লক্ষ্য হয় গ্যাস আমদানি তাহলে দেশীয় গ্যাস উত্তোলন ও অনুসন্ধান গুরুত্ব হারাবে এটাই স্বাভাবিক।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে কমপক্ষে ৩ মাস সময় দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, কোন পার্টি দরপত্র জমার জন্য বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন করে। তখন তাকে সময় দেওয়া আন্তর্জাতিক রেওয়াজ। দরপত্র জমার পর মূল্যায়ন করতেও দুই-তিন মাস সময় লাগবে। অথচ অলস বসে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। গভীর সমুদ্রে ১৫টি এবং অগভীর সমুদ্রে ৯টি ব্লক প্রস্তুত রয়েছে দরপত্রের জন্য। সবচেয়ে উদ্বেগে বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ যতবেশি বিলম্ব করছে ততবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের পাশের ব্লকগুলো থেকে দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস উত্তোলন করছে মিয়ানমার।

পেট্রোবাংলার ঢিলেমির কারণে বিশাল সমুদ্র জয়ের পর অধরা সম্ভাবনার সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান। আন্তর্জাতিক আদালতে ২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সাগর সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির পর সর্বমোট ১ লাখ ১৮ হাজার৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি সমুদ্র অঞ্চলের ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের। এক দশক পেরিয়ে সেই সমুদ্র সীমার সফলতা কোনই কাজে আসেনি, বিশেষ করে খনিজ সম্পদের ক্ষেত্রে।

দেশের ভয়াবহ জ্বালানি সংকটের স্বস্তিকর সমাধান এই বিশাল জলরাশির নিচে লুকায়িত বলে মনে করে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাংলাদেশের ব্লকের পাশেই মিয়ানমার বিশাল গ্যাসের মজুদ পেয়েছে। সাগরে দরপত্র আহ্বান করেও খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। বাংলাদেশের পিএসসি-২০১৯ আকর্ষণীয় নয়, বহুজাতিক কোম্পানির এমন অভিযোগে হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে (আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়)।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ওই সিদ্ধান্ত জানুয়ারিতে (২০২১) প্রেরণ করা হয় পেট্রোবাংলায়। রহস্যজনক কারণে প্রায় ১০ মাস সেই ফাইল চাপা দিয়ে রাখেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) শাহীনুর ইসলাম। দশ মাস পড়ে থাকার পর কাজ শুরু হলেও পেট্রোবাংলার কাছে কখনই অগ্রাধিকার পায়নি বিষয়টি। কনসালটেন্ট চূড়ান্ত করতে সময় নেয় আরও ৮ মাস। ২০২২ সালের মে মাসে সিঙ্গাপুরের উড ম্যাকেঞ্জি এশিয়া প্যাসিফিককে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কোম্পানিটি ৪ মাস পর খসড়া জমা দিলে ফাইল চালাচালির পর গত ২৬ জুলাই চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিসহ অনেক ছাড় দিয়ে মডেল পিএসসি-২০১৯ (উৎপাদন ও বন্টন চুক্তি) সংশোধিত করা হয়েছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে আগ্রহী করে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগের পিএসসিগুলোতে গ্যাসের দর স্থির করে দেওয়া হলেও এবার গ্যাসের দর ব্রেন্ট ক্রডের আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে উঠানামা করবে গ্যাসের দর। প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ধরা হয়েছে ব্রেন্ট ক্রডের ১০ শতাংশ দরের সমান। অর্থাৎ ব্রেন্ট ক্রডের দাম ৮০ ডলার হলে গ্যাসের দাম হবে ৮ ডলার। যা বিদ্যমান পিএসসিতে যথাক্রমে অগভীর ও গভীর সমুদ্রে ৫.৬ ডলার ও ৭.২৫ ডলার স্থির দর ছিল। ব্রেন্ট ক্রডের দামের ক্ষেত্রে সারা মাসের দর গড় করে সেই হিসাব ধরা হবে। দামের পাশাপাশি সরকারের শেয়ারের অনুপাতও নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ের দুই বছরের মধ্যে কূপ খনন করে গ্যাস না পেলে কিংবা, বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য না হলে শর্তসাপেক্ষে যথাক্রমে ১ ও ২ শতাংশ হিস্যা বাড়ানোর সুযোগ থাকছে। গ্যাস বিক্রির ক্ষেত্রে প্রথম প্রস্তাব পেট্রোবাংলাকে দিতে হবে, পেট্রোবাংলা নিতে না চাইলে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুযোগ পাবে বিদেশি কোম্পানি।

অন্যদিকে বিশাল সমুদ্রসীমায় একটি পূর্ণাঙ্গ বহুমাত্রিক জরিপ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে নাম দিয়ে ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। সেই প্রক্রিয়াও নির্ধারিত ছকে করতে ব্যর্থ হয়েছে পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। নরওয়ের কোম্পানি টিজিএস এবং ফ্রান্সের স্লামবার্জার কনসোর্টিয়াম তাদের রিপোর্টও গুছিয়ে এনেছেন বলে পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে। তারপরও আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানে ঢিলেমি লক্ষ্যণীয়।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, মডেল পিএসসি আকর্ষণীয় করার কারণে অনেক বড় বড় বিদেশি কোম্পানি সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখাচ্ছে। মার্কিন কোম্পানি এক্সন মবিল খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছে। তারা ইতিমধ্যে দুই দফায় প্রস্তাবনা দিয়েছে। আমরা একটি নন বাইন্ডিং এমওইউ করতে পারি।

২০০৮ সালের গভীর সমুদ্রের ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ নম্বর ব্লক ইজারা পেয়েছিল আমেরিকান কোম্পানি কনোকো ফিলিপস। কোম্পানিটি দুই বছর অনুসন্ধান করার পর চুক্তি সংশোধন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির দাবি জানায়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় ব্লক দুটি ছেড়ে দিয়ে চলে যায় ২০১৪ সালে। অন্যদিকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক দরপত্রে গভীর সমুদ্রের ডিএস-১২, ডিএস-১৬ ও ডিএস-২১ এই তিন ব্লকের জন্য যৌথভাবে দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছিল কনোকো ফিলিপস ও স্টেট অয়েল। পরবর্তী সময়ে কনোকো নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় ব্লকগুলো ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। একই সময়ে অগভীর সমুদ্রের ব্লকগুলোর জন্য ভিন্ন একটি দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। এই দর প্রক্রিয়া এসএস ১১ নম্বর ব্লক সান্তোস ও ক্রিস এনার্জি এবং এসএস ৪ ও এসএস ৯ নম্বর ব্লক ভারতীয় দুটি কোম্পানি ওএনজিসি ভিদেশ (ওভিএল) ও অয়েল ইন্ডিয়া (ওআইএল) ইজারা নিয়েছিল। সান্তোস এসএস-১১ ব্লকে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক জরিপ করার পর কূপ খনন না করেই বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়। ওএনজিসি দুই ব্লকে থ্রি-ডি ও টু-ডি সাইসমিক জরিপ চালানোর পর ৪ নম্বর ব্লকে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন করে, কিন্তু গ্যাস মেলেনি। তারা আরও দুটি কূপ খনন করবে বলে জানা গেছে।

এবি ব্যাংক-এর হেমায়েতপুর উপশাখার উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, এবি ব্যাংক-এর ৫৪তম উপশাখা হিসেবে হেমায়েতপুর উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত, এবি ব্যাংক-এর ৫৪তম উপশাখা হিসেবে হেমায়েতপুর উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

এবি ব্যাংক-এর ৫৪তম উপশাখা হিসেবে হেমায়েতপুর উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) এবি ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল এ উপশাখাটির উদ্বোধন করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা।

ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার হেমায়েতপুর রোড সংলগ্ন যাদুরচরে হাজী আশরাফ শপিং কমপ্লেক্স অ্যান্ড টাওয়ারে এ উপশাখা কার্যক্রম শুরু করেছে।

;

ট্রেড ডিজিটালাইজেশন

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান

ছবি: সংগৃহীত, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি, বিকাশ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, প্রথাগত বাণিজ্যের সঙ্গে অনেক কাগজের ডকুমেন্টস এবং প্রক্রিয়া জড়িত। ট্রেড ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টস দ্রুত পাঠানো, যাচাই করা এবং যেকোনো স্থান থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে, যা ব্যবসায়ের খরচ ও সময় কমাবে। এর ফলে লেনদেন দ্রুত এবং নিরাপদ হবে৷

সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকায় হোটেল রেনেসাঁয় ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইসিসি) বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘ডিজিটালাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন বাংলাদেশ’ ওয়ার্কশপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রফতানি বাণিজ্য প্রধান দেশ। বাংলাদেশ ক্রস-বর্ডার ট্রেড ও পেমেন্টের জন্য ট্রেড ডিজিটালাইজেশন অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। আইসিসি বাংলাদেশের আজকের ওয়ার্কশপ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। এর ফলে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হবে।

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষাপটে, দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখাকে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজড করে করদাতা, ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের নির্বিঘ্নে সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আইসিসি বাংলদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং ইউএনস্কাপের পরিচালক রূপা চন্দ ও আইটিএফসি’র রিজিওনাল হেড ইফতেখার আলম, আইসিসি বাংলাদেশের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ. রুমী আলী, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাছের এজাজ বিজয় উপস্থিত ছিলেন।

;

রূপপুর এনএনপির জন্য ৪৮ বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রূপপুর এনএনপির জন্য ৪৮ বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞের প্রশিক্ষণ

রূপপুর এনএনপির জন্য ৪৮ বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞের প্রশিক্ষণ

  • Font increase
  • Font Decrease

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে কাজ করবেন এমন ৪৮ জন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞের প্রাক-লাইসেন্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। রূপপুর এনপিপি সাইটে অবস্থিত একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে রাশিয়ার রসাটম টেকনিক্যাল একাডেমি।

প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রয়েছে যারা মূল নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করবেন, প্রধান ও উপ-প্রধান প্রকৌশলীবৃন্দ। প্রশিক্ষণ শেষে সকলকে বেসিক লাইসেন্সিং পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। তবে, প্রকল্পে কাজ করার জন্য তাদেরকে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বায়েরা) থেকে লাইসেন্স অনুমোদন নিতে হবে।

রসাটম টেকনিক্যাল একাডেমির প্রকল্প পরিচালক সের্গেই লিউলিন জানান যে, প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম কয়েক ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। রাশিয়ায় রসাটম টেকনিক্যাল একাডেমিতে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ লাভের পর বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা নভোভারনেঝ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেছেন। অতঃপর প্রাক-লাইসেন্সিং প্রশিক্ষণের পূর্বে তারা রূপপুর প্রকল্প সাইটে ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ লাভ করেন। উল্লেখ্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নভোভারনেঝ পারমাণবিক কেন্দ্রেরে মডেলে তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিটি প্রশিক্ষণ ধাপে দশটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের জ্ঞান পরীক্ষা করা হয়েছে। শুধুমাত্র তারপরেই তাদেরকে প্রাথমিক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। অধিকন্তু, রসাটম টেকনিক্যাল একাডেমির সেফটি কালচার এন্ড পার্সোনাল রিলায়াবিলিটি কম্পিটেন্সি সেন্টার বিশেষ সাইকো-ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রশিক্ষনার্থীদের ব্যক্তিগত এবং সাইকো-ফিজিওলজিক্যাল বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করে। পেশাদারিত্ব দৃষ্টিকোণ থেকে এ জাতীয় বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।

সের্গেই লিওলিন বলেন, বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা তাদের ভবিষ্যৎ কাজের স্থান ও দায়িত্ব বিবেচনায় এক থেকে তিন বছরের প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। এর ফলে তারা নিরাপত্তা ও পেশাদারিত্বের সাথে নিজস্ব দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন।

;

বিদায়ী অর্থবছরে ১৩ বছরের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি



জাহিদুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ৯.৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে কলে জানিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), যা এর আগের ১৩ অর্থবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে গড়ে ৯.০২% মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ০.৭১ শতাংশীয় পয়েন্ট।

এ সময়ে খাদ্য পণ্যে আগের অর্থবছরের ৮.৭১ শতাংশ থেকে ১.৯৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে দাড়িয়ে ১০.৬৫ শতাংশে। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে ৯.৩৯ শতাংশ থেকে ০.৫৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮.৮৬ শতাংশে।

রোববার পরিসংখ্যান ব্যুরোর নিয়মিত প্রকাশনা ‘ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই), মূল্যস্ফীতি এবং মজুরি হার সূচক (ডব্লিউআরআই) বাংলাদেশ’-এর জুন জুন সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে বলে প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য দেওয়া সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্য নামিয়ে আনা হয় আট শতাংশে।

বাজেটে বেধে দেওয়া মূল লক্ষ্যের চেয়ে ৩.৭৩ শতাংশীয় পয়েন্ট ও সংশোধিত বাজেটের লক্ষ্যের চেয়ে ১.৭৩ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে অর্থবছর শেষে।

বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, লক্ষ্যের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বেধে রাখতে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, দরিদ্র মানুষদের মূল্যস্ফীতির প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উদাসীনতা ও ব্যর্থতার কারণে গত এক বছর ধরে নিম্ন আয়ের লোকজন বিশেষ করে স্থির আয়ের লোকজন বড় ধরনের চাপে ছিলেন বলেও তারা মনে করেন।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের ৬.৮২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থেকে পরের অর্থবছরে বেড়ে দাড়ায় ১০.৯২ শতাংশে। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৭ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ঠেকে ৫.৪৪ শতাংশে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৫ শতাংশের ঘর ছাড়ায় এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি উঠে ৯.০২ শতাংশে। বিদায়ী অর্থবছরে আরেক দফায় বেড়ে মূল্যস্ফীতি উঠেছে ৯.৭৩ শতাংশে।

জুন মাসে কমেছে মূল্যস্ফীতি:
একক মাস হিসেবে জুনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। মে মাসে ৯.৮৯ শতাংশের চেয়ে এ সময়ে মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.১৭ শতাংশীয় পয়েন্ট।

জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি শহর ও পল্লী অঞ্চলে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত এক কথায় সব সূচকেই জুন মাসে আগের মাসের তুলনায় কমেছে মূল্যস্ফীতি।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০.৪২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মে মাসে ছিল ১০.৭৬ শতাংশ। এ হিসাবে মাসের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.৩৪ শতাংশীয় পয়েন্ট। একইভাবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মে মাসের ৯.১৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থেকে ০.০৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ৯.১৫ শতাংশে।

পল্লী অঞ্চলে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৮১ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। আগের মাসের ৯.৯৯ শতাংশ থেকে পল্লী অঞ্চলে জুনে মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.১৮ শতাংশীয় পয়েন্ট। এ সময়ে পল্লী এলাকায় খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০.৭৩ শতাংশ থেকে বেশ কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৩৯ শতাংশে। আর পল্লী এলাকায় খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে ৯.৩১ শতাংশ থেকে সামান্য কমে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.২৬ শতাংশে।

শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি জুন মাসে ৯.৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিএস, যা মে মাসের ৯.৭২ শতাংশ থেকে ১৪ বেসিস পয়েন্ট কম। এ সময়ে শহর এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০.৮৬ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ১০.৫৪1 শতাংশে। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মে মাসের ৯.০৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি জুনে নেমেছে ৮.৯৮ শতাংশে।

যেভাবে মূল্যস্ফীতি হিসাব করে বিবিএস:
পল্লী ও শহর অঞ্চলে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাদের ৩৮৩টি পণ্য ও সেবার ৭৪৯টি ভ্যারাইটির দাম পর্যালোচনা করে প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন তৈরি করে বিবিএস। সারা দেশের ৬৪টি জেলার ১৫৪টি হাট-বাজার হতে নির্ধারিত সময়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে অনলাইনে ও জরুরি ডাকের মাধ্যমে মূল্য ও মজুরি শাখায় প্রেরণ করেন সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।

পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির মাধ্যমে জীবনযাত্রার ব্যয়ে এক বছরের পরিবর্তনের তথ্য তুলে আনে বিবিএস।

জুন মাসে ৯.৭২ শতাংশ পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির অর্থ দাড়ায় গত এক বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় ৯.৭২ শতাংশ হারে বেড়েছে। এক বছর আগে ১০০ টাকায় পাওয়া যেত এমন পণ্যের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ১০৯.৭২ টাকায়। আয় একই হারে না বাড়লে ভোক্তাকে আগের চেয়ে কম পণ্য ও সেবা কিনতে হবে।

মজুরি হার মূল্যস্ফীতির নিচে:
বিদায়ী জুন মাসে ৯.৭৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির বিপরীতে শ্রমজীবী মানুষের মজুরি মাত্র ৭.৯৫ শতাংশ হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। এ হিসাবে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির গতির চাইতে মজুরি আয় ১.৭৭ শতাংশীয় পয়েন্ট কম হারে বেড়েছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাইতে মজুরি হার এক থেকে দেড় শতাংশ বেশি হারে বাড়লেও সাম্প্রতিক সময়ে মজুরি হার খুবই ধীরে বাড়ছে। টানা ২৯ মাস ধরে মজুরি হার মূল্যস্ফীতির নিচে অবস্থান করছে বলেও পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ১২ মাসে গড়ে ৯.৭৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতির বিপরীতে মজুরি হার বেড়েছে গড়ে ৭.৭৪ শতাংশ। এ হিসাবে মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বেড়েছে ১.৯৯ শতাংশীয় পয়েন্ট কম হারে।

যা বলছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা:
গত অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ছয় শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ও বিনিময় হারে অস্বাভাবিক চাপ, বৈশ্বিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে ঘোষণা করা বাজেটে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। আবার মূল্যস্ফীতির চাপ সামালে উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সুদের হারের ক্যাপ অনেক বিলম্বে উঠানোর কারণে সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে পূরণ হয়নি।

সুদের হার এককভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না দাবি করে তিনি বলেন, দেশে বাজার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। তা ছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অবকাঠামো খাতের বিভিন্ন সঙ্কটে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রা ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায়ও উদ্যোগের ঘাটতি ছিল বলে মনে করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, অনেক বিলম্বে সুদের হার বাড়ানোর কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ তেমন কোন কাজে লাগেনি। বাজেট বাস্তবায়নে ব্যক্তি খাত বিশেষ করে দরিদ্র মানুষদের জন্যে বরাদ্দ বাড়াতে সরকার কৃচ্ছ্রতা অবলম্বন করলেও সরকারি খাতে দেদার অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। লম্বা সময় ধরে বিনিময় হার স্থির রেখে কম সময়ের মধ্যে টাকার মানে বড় ধরনের অবনমনের কারণেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

চাঁদাবাজি, মজুদদারি, কার্টেলসহ বিভিন্ন কারণে পণ্যের দাম বাড়লেও এ সব অপকর্ম কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি মনে করেন।

মূল্যস্ফীতির কারণে স্থির আয়ের লোকজন বিশেষ করে দরিদ্র লোকজন সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি হার কমে আসলে মানুষের প্রকৃত আয় তথা ক্রয়ক্ষমতা কমে আসে। এই অবস্থা চলতে থাকলে মানুষের ভোগের পরিমাণ কমে আসে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ব্যয় কমাতে দরিদ্র লোকজন খাবার, চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যয়ে লাগাম টানতে বাধ্য হয়। এ সব খাতে ব্যয় কমালে মানব সম্পদ উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর প্রভাবে ভবিষ্যতে দরিদ্র মানুষের উৎপাদনশীলতা ও আয় কমে আসতে পারে।

;