জেনারেটরকে টেক্কা দিতে আসছে ব্যাটারি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে স্ট্যান্ডবাই জেনারেটরের বিকল্প হিসেবে আসছে হাইভোল্টেজ ব্যাটারি। অনেক দেশেই এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে, বাংলাদেশও পাইলট আকারে ক্ষুদ্র পরিসরে বাস্তবায়ন করতে চলেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

একেকটি ব্যাটারির সক্ষমতা দুই-চারটির কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়েও বেশি। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিগুলোর একেকটি ইউনিট ১০০ মেগাওয়াটের বেশি পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো আকারে একেকটি কন্টেইনারের সমান। হাই ভোল্টেজ অথবা মিডিয়াম ভোল্টেজ লাইনের মাধ্যমে রিচার্জ হবে। আবার কোন কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে ন্যানো সেকেন্ডের কম সময়ে সক্রিয় হবে। ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত টানা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে সক্ষম এসব ব্যাটারি। শিল্প কারখানা, মার্কেট এবং অ্যাপাটমেন্টে একে সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বর্তমানে এসব জায়গায় ডিজেল ও গ্যাস জেনারেট ব্যবহৃত হচ্ছে। যাতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে। আবার পরিবেশ দূষণের ইস্যুও জড়িত।

ভারত ২০৪০ সালের মধ্যে ২০০ গিগাওয়াট আওয়ার স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এনটিপিসি ও টাটা গ্রুপ তাদের প্রতিষ্ঠানে ১০ মেগাওয়াটের ব্যাটারি বসিয়েছে। বাংলাদেশে সময় এবং ঋতু ভেদে বিদ্যুতের চাহিদার বিশাল তারতম্য রয়েছে। এই উঠা-নামা সামাল দিতে গলদঘর্ম হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সন্ধ্যা রাতের বাড়তি চাহিদা মেটাতে বিশেষায়িত পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট রাখতে হচ্ছে সিস্টেমে। ব্যাটারি প্রযুক্তি দারুণ ফলদায়ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাটারি স্থাপন করা গেলে পিকিং পাওয়ার প্লান্টের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাবে। অঞ্চলে অঞ্চলে এমন স্টোরেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে সহজেই সন্ধ্যা রাতের বাড়তি চাহিদা পুরণ করা সক্ষম হবে। একইসঙ্গে বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠা-নামা কমে মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। বিষয়টি সামগ্রিক বিদ্যুৎ খাতের জন্য দারুণ সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছে অনেকেই।

ভোররাতে যখন চাহিদা অনেক কম থাকে তখন ব্যাটারি ফুলচার্জ হবে, আর সন্ধ্যাবেলা কিংবা অন্যকোন সময়ে লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ও বড় বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে সিস্টেমকে সচল রাখতেও সহায়ক হবে বলে মনে করছে পাওয়ার সেল।

বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের সহকারী পরিচালক (পারফরমেন্স মনিটরিং) প্রকৌশলী সালেহ ইবনে শরীফ বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, ভারতসহ অনেক দেশেই এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারত বিশাল পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, আমরা প্রাথমিকভাবে পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করে ফলাফল যাচাই করতে চাই। একটি গার্মেন্টে পরীক্ষামূলকভাবে বসানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ওই গার্মেন্টে অনুমোদিত চাহিদা রয়েছে দেড় মেগাওয়াট। তবে প্রকৃত চাহিদা রয়েছে ৪৮৫ কিলোওয়াট আওয়ার। আমরা ২ মেগাওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি ব্যাটারির দাম কমবেশি ৩ কোটি টাকার মতো পড়বে। এগুলোর লাইফ টাইম রয়েছে ১০ বছর। ডিজেল জেনারেটর ব্যবহারের চেয়ে সাশ্রয়ী হবে। তারা অফপিকে রিচার্জ করবে যখন বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে। ওই সময়ে রিচার্জ করে রাখলে সরকারকে পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে না। এতে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সময় সাপেক্ষ, কিন্তু এই ব্যাটারি কিনে টার্ন-কি ব্যাসিসে ইনস্টল করে বিদ্যুতের সিস্টেম চালানো যাবে। কোন অঞ্চলে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিলে ১ মাসের মধ্যে স্থাপন করা সম্ভব। আমাদের ময়মনসিংহ জোন এবং রংপুরে অনেক সময় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিচ্ছে। ঘাটতি সামাল দিতে চট্টগ্রাম কিংবা বরিশাল জোন থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে যেতে হচ্ছে, এতে সিস্টেমলস বেড়ে যাচ্ছে। সাবস্টেশনে ব্যাটারি বসানো গেলে, সেখানে মজুদ থাকবে। পিক টাইমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত হবে। এসব ব্যাটারি দিন দিন আধুনিক হচ্ছে। সামগ্রিক সিস্টেমের জন্য অনেক সুবিধাজনক বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের বড় জটিলতা হচ্ছে সময়ের তারতম্যে চাহিদার বিশাল পার্থক্য। সেচের মৌসুমে চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যায়, আর শীতে সেই চাহিদা ১০ হাজার মেগাওয়াটের নিচে নেমে আসে। সর্বোচ্চ চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে রিজার্ভ মার্জিনসহ উৎপাদন সক্ষমতা প্রস্তুত রাখতে হয়। যার বেশিরভাগেই থাকে অব্যবহৃত। এতে বসিয়ে রেখে চার্জ দিতে গিয়ে সামগ্রিক উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সরকার অবশ্য নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি শীতকালে রফতানির পরিকল্পনা করছে। নেপালে বিদ্যুতের প্রধান উৎস জলবিদ্যুৎ, শীতকালে পাহাড়ি নদীর পানি কমে গেলে উৎপাদন কমে যায়। যখন তাদের রুম হিটার ব্যবহার করার জন্য বাড়তি চাহিদা মোকাবিলা করতে হয়। সে সময়ে বাংলাদেশে অলস বসে থাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

   

ভারতে ৩০০ শোরুমে শুরু হলো ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রয় ও বিপণন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়া শহরে ওয়ালটন ফ্রিজের শোরুম।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়া শহরে ওয়ালটন ফ্রিজের শোরুম।

  • Font increase
  • Font Decrease

এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করেছে ওয়ালটন। দেশটিতে এতদিন ওইএম (ওরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) হিসেবে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি করে আসছে ওয়ালটন। এবার দেশটিতে ওইএম এর পাশাপাশি নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতেও ফ্রিজ রফতানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এই সাফল্য ভারতের বিশাল বাজারে বাংলাদেশি তথা ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক বিশাল মাইলফলক।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার সূত্রমতে, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ ইতিমধ্যে ভারতের বাজারে পৌঁছে গেছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশী দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৩০০টি আউটলেটে বিক্রয় হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। পর্যায়ক্রমে বাড়বে আউটলেটের সংখ্যা। সেইসঙ্গে ফ্রিজের পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এবং ইলেকট্রিক্যাল পণ্যও ওয়ালটন ব্র্যান্ড লোগোতে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।

ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বাজারে এখন একচেটিয়া আধিপত্য ওয়ালটন ফ্রিজের। ওয়ালটনের টার্গেট- বিশ্ববাজারেও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। সেজন্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকার উন্নত দেশগুলোর বাজারে ওইএম এর পাশাপাশি ওয়ালটনের নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে কাজ করছি আমরা। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাজার ভারতে ওয়ালটনের নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করেছি। বাংলাদেশের মতো ভারতের বাজারেও শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে শক্তিশালী বিক্রয়, বিপণন ও বিক্রয়োত্তর সেবার ফ্যাসিলিটি গড়ে তুলেছি।

তিনি জানান, ভারতে বেশ কয়েক বছর ধরে ওইএম এর আওতায় বাৎসরিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফ্রিজ রফতানি করছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের রফতানিকৃত ফ্রিজের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার, দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং উচ্চ গুণগত মান অতি অল্প সময়ে ভারতের ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশটিতে এবার ওয়ালটনের ব্র্যান্ড লোগোতে ফ্রিজ রফতানি কার্যক্রম শুরু করেছি। যা কিনা বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে এক বিশাল মাইলফলক।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ জানান, ভারত এশিয়ার মধ্যে অন্যতম এক বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশটিতে বাৎসরিক ১ কোটি ৪০ লাখ ইউটিন ফ্রিজের চাহিদা রয়েছে। দেশটিতে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড লোগোতে ফ্রিজ বিক্রয় ও বিপণন শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি খাতে সম্ভাবনাময় এক বিশাল বাজারের দ্বার উম্মোচিত হলো। বাংলাদেশের মত ভারতের বাজারেও মার্কেট লিডার হওয়ার টার্গেট নিয়েছি আমরা। সেজন্য দেশটিতে ব্যাপক ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুত করা হয়েছে অত্যন্ত দক্ষ মার্কেটিং টিম। ইতিমধ্যে ভারতে Walton.in নামে নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করেছি।

এছাড়া, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেওয়ার কাজ চলমান আছে। ভারতের অন্যতম বৃহৎ ‘ইন্ডিয়া কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস’ মেলাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলাতেও ওয়ালটন ফ্রিজ প্রদর্শনী করা হবে।

ওয়ালটন সূত্রমতে, বাংলাদেশের বাজারে সিংহভাগ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, কম্প্রেসার, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি এই ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট।

;

সেচে বিদ্যুৎ-ডিজেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যুৎ কিংবা ডিজেলের জন্য কৃষির ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) অনলাইনে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জ্বালনি তেল সংশ্লিষ্ট জেলায় চাহিদা মতো পৌঁছানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক প্রাকৃতিক গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েল সরবরাহের আগাম উদ্যোগ নিতে হবে।

কৃষিসেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকগণের নিকট সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য বিপিসি’র চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে ‘কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল’ খোলা হয়েছে। সেচ মৌসুম উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের (প্রধান স্থাপনা+ইআরএল) মজুদ সার্বক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্টিক টন সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ২০২৩-২৪ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ডিজেল ১২ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন ও লুব অয়েল ৪৪ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন প্রাক্কলিত চাহিদা রয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ মেট্রিকটন ডিজেল ব্যবহৃত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে ৬৭.১৯ শতাংশ ডিজেল, ১১.৯৯ শতাংশ ফার্নেস ওয়েল, ৬.৪২ শতাংশ জেডএ-১, ৬.১৯ শতাংশ পেট্রোল ও ৫.৩৬ শতাংশ অকটেন ব্যবহৃত হয়। একই অর্থ বছরে জ্বালানি তেলের ৫৮ শতাংশ পরিবহনে, ১৮ শতাংশ বিদ্যুতে, ১৫ শতাংশ কৃষিতে, ৬ শতাংশ শিল্পে, ১ শতাংশ গৃহস্থালিতে এবং অন্যান্য খাত ২ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানায়।

ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবি’র চেয়ারম্যান মোহাং সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনন্দ্র নাথ সরকার, জননিরাপত্তা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।

;

দেশের সেবা খাতে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পর্যায়ে সেবা খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রদান করার স্বীকৃতি হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা পেয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নিরীক্ষা) ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম -এর উপস্থিতিতে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।

এসময় বিকাশ’র চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে সকল নিয়ম মেনে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিকাশ গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ, নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল ও পেমেন্ট সেবা দিয়ে আসছে। বিকাশ’র প্ল্যাটফর্মে হওয়া প্রতিটি লেনদেনের জন্য প্রযোজ্য ভ্যাট ও ট্যাক্স উৎস থেকেই সংগ্রহ করে সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা করে বিকাশ। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেবা খাতে দেশের সর্বোচ্চ ভ্যাট দাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই অর্জন আমাদেরকে আরও উজ্জীবিত করবে এবং দেশের উন্নয়নে আরও বলিষ্ঠভাবে কাজ করতে উৎসাহ জোগাবে।”

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস পালিত হয়। এই উপলক্ষ্যে কয়েক বছর ধরে সেরা ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা দিয়ে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রতিবারের মতো এবারও উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা - এই তিন শ্রেণিতে তিনটি করে মোট ৯ প্রতিষ্ঠানকে সেরা ভ্যাটদাতার সম্মাননা দেয়া হয়। যেসব প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রনিক ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (ইবিআইএন) আছে, ভোক্তাকে নিয়মিত ভ্যাট রসিদ প্রদান করে এবং ভ্যাট আদায় করে তা নিয়মিত সরকারি কোষাগারে জমা দেয়, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সম্মাননা পাওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচনা করে এনবিআর।

;

ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনিয়ন ব্যাংক ও ভারতের যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান-১ এ ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির অধীনে ইউনিয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার এবং ভিসা ডেবিট কার্ডধারী গ্রাহকগণ চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় ভোগ করবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি. এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী এবং ভারতের যশোদা হাসপাতালের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শাহিনুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি’দ্বয়, সিএবিডির ইনচার্জসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

;