মেলায় সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব স্মার্ট এসি
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ট্রেড শো ‘চায়না আমদানি ও রফতানি মেলা’ বা ক্যান্টন ফেয়ারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের তৈরি ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার কন্ডিশনার। যার মধ্যে রয়েছে আইওটি বেজড ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির অফলাইন স্মার্ট ভয়েস কন্ট্রোল, ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ভিআরএফ এসি।
ওয়ালটনের অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি বিশ্বের যেকোনো দেশের ভাষায় পরিচালনা করা যাচ্ছে। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্যান্টন ফেয়ারে আগত আমদানিকারক, ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।
ক্যান্টন ফেয়ারে দায়িত্বরত ওয়ালটন কর্মকর্তারা জানান, ক্যান্টন ফেয়ারে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আগত আমদানিকার, ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ব্যাপক ভিড় করছেন। তাদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক বিভিন্ন মডেল ও ফিচারের এসিসহ অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্য।
ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোহাম্মদ তানভীর রহমান বলেন, ‘ক্যান্টন ফেয়ারে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে কয়েক লক্ষ আমদানিকারক, ক্রেতা ও দর্শণার্থী এসেছেন। তাদের বেশিরভাগই মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের সামনে এসে থমকে দাঁড়াচ্ছেন। তারা ব্যাপক কৌতূহল নিয়ে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশে নিজস্ব প্রোডাকশন প্লান্টে তৈরি ইউরোপিয়ান এসিসি ব্র্যান্ড ও ওয়ালটন ব্র্যান্ডের স্মার্ট এসিসহ নানা পণ্য খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন।
আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব স্মার্ট এসি দেখে অভিভূত হচ্ছেন। বৈশ্বিক ক্রেতারা ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের এসি উৎপাদন শিল্পের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন। ওয়ালটনের ভিআরএফ এসি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৯ম ভিআরএফ এসি উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে জেনে অভিভূত ফেয়ারের দর্শনার্থীরা।
তিনি জানান, চীনের ঐতিহ্যবাহী এবং মর্যাদাপূর্ণ এই মেলায় দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের একমাত্র সর্ববৃহৎ ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ৩য় বারের মতো অংশগ্রহণ করছে। ক্যান্টন ফেয়ারের মাধ্যমে আইওটি বেজড পরিবেশবান্ধব স্মার্ট কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছে ওয়ালটন।
ফেয়ারে অংশ গ্রহণের উদ্দেশ্য হলো- বিশ্ব বাজারে ওয়ালটনের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। আমাদের প্রত্যাশা, ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার আরো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে চীনের ক্যান্টন ফেয়ার।
উল্লেখ্য, চীনের গুয়াংজু শহরে চায়না ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট ফেয়ার কমপ্লেক্সে অক্টোবরের ১৫ থেকে শুরু হয়েছে ১৩৪তম শরৎকালীন ক্যান্টন ফেয়ারের প্রথম ধাপ। চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এতে ইলেকট্রনিক্স এন্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস ক্যাটাগরিতে তৃতীয় বারের মতো অংশ নিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এবং বাংলাদেশের একমাত্র ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
ক্যান্টন ফেয়ারের আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়ন। জানা গেছে, ৫-দিনব্যাপী এই মেগা ট্রেড শো’তে প্রদর্শিত হবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ইউরোপিয়ান এসিসি ব্র্যান্ড এবং ওয়ালটন ব্র্যান্ডের আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যসমূহ। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ডিজাইন ও ফিচারসমৃদ্ধ এআইওটি বেজড স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, ইলেকট্রিক ফ্যান ইত্যাদি প্রযুক্তিপণ্য।
চীনের ক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন দেশের