'ফ্লোর প্রাইসের কারণে অনেকে শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারছেন না'
ফ্লোর প্রাইসের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় ডিএসইর এমডি বলেন, ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমে কেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যুক্ত করা হয়েছে সেটি জানি না। আমি মনে করি ২০১২ সালে প্রণীত ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট রিভিউ করা দরকার।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারের সর্বনিম্ন দর) নেই। স্টক মার্কেট হচ্ছে প্রাইস ডিসকভারির জায়গা। অথচ আমাদের এখানে ফ্লোর প্রাইসের কারণে অনেকে শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারছে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনোই ফ্লোর প্রাইসের পক্ষে নয়। এটি যারা জারি করেছে তাদের (বিএসইসি) বিষয়। তারা এটা কেন উঠাচ্ছে না সেটি তারা বলতে পারবে।
বাজার মধ্যস্তাকারীদের মার্কেটে বড় ভূমিকা আছে। তারা যেন সব তথ্য নিশ্চিত করে, আংশিক তথ্য নয়।
এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, সুশাসন নিশ্চিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অডিটর পরিবর্তন করা দরকার। কারণ দীর্ঘ সময় একই ক্লায়েন্টেদের সাথে কাজ করায় অডিটরের সুসম্পর্ক তৈরি হয়। ফলে অডিটর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। কোম্পানিগুলোর অডিটর পরিবর্তনের আইন থাকলেও কেন স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য নেই তা আমি এখন বলতে পারছি না।
বড় মূলধনী কোম্পানিগুলো কেন স্বল্প মূলধনী প্লাটফর্মে (এসএমই) তালিকাভুক্ত হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব কোম্পানি কেন এসমএমইতে থাকবে সেটি বিএসইসি বলতে পারবে। মার্কেট আমাদের হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা আমাদের থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। তাদের অনুমতি ছাড়া আমরা কোনো ইন্সপেকশনে যেতে পারি না৷
তিনি আরও বলেন, দুর্বল কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার দায় বিএসইসির। মূলত বাজারে কারসাজি কমাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আরও বেশি ক্ষমতা প্রয়োজন। কোনো ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করার ক্ষমতা ডিএসইর কম। এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশনের ক্ষেত্রেও ডিএসই অনেক দুর্বল।
২০২২ সালের তুলনায় এ বছর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমাদের মূল আয় কিন্তু শেয়ার লেনদেন থেকে। গত এক বছরে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। ফলে এর প্রভাব ডিএসইর আয়েও পড়েছে।
সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। এ সময় সিএমজেএফের অন্যান্য সদস্যরাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।