গতি কমেছে প্রবাসী আয়ে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসের শুরুতে আশা জাগিয়েছিল প্রবাসী আয়। তবে মাসের মাঝামাঝি রেমিট্যান্সে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় বিদায়ী সপ্তাহে প্রবাসী আয় কমেছে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭দিনে (১১ নভেম্বর-১৭ নভেম্বর) প্রবাসীরা দেশে ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) যার পরিমাণ ৪ হাজার ৩৪৫ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর আগে সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫৮ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।

আর চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১১৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বা ১৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। তবে বাড়তি প্রণোদনাসহ ১৭ দিনে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি ৩২ লাখ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ১৭ দিনে প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। বেসরকারি ৪২টি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১০৭ কোটি ০৪ লাখ ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স। যা ১৭ দিনে প্রেরিত মোট রেমিট্যান্সের ৯০ দশমিক ১২ শতাংশ।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে এই সময়ে প্রবাসীরা ৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার সমমূল্যের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের গত ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ডলার। আর দেশে কার্যরত বিদেশি ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে একই সময়ে ৩৬ লাখ ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স এসেছে।

গত ১৭ দিনে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ফলে এবারও সবচেয়ে বেশি ২০ কোটি ৬১ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে এই ব্যাংকের মাধ্যমে। যা মোট রেমিট্যান্সের ১৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) আলোচ্য সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আহরণ করতে পারেনি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংকের মাধ্যমে গত ১৭ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এ সময়ে রেমিট্যান্স আহরণ করতে পারেনি।