গ্যাসের অপচয় রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সুষ্ঠু ব্যবহারে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতেই হবে। ৩০ লাখ স্মার্ট গ্যাস মিটার প্রয়োজন, মিটার বসাতে পারলে গ্যাসের অপচয় রোধ হবে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে জ্বালানি বিভাগের সঙ্গে জাপান ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ফর কো-অপারেশনের (জেবিক) কৌশলগত সহযোগিতা বিষয়ে, নন-বাইন্ডিং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিতাসের জন্য ৭ লাখ এবং কর্ণফুলির জন্য ৪ লাখ ৩৫ হাজার প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে, যা গ্যাসে মিতব্যয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। বিনিয়োগে পরিবেশ উন্নত করতেই জাপানি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করা হলো। জাপানিজ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এলএনজি ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জ্বালানি রূপান্তরের অবকাঠামো উন্নয়নে এই সমঝোতা স্মারক কার্যকর অবদান রাখবে।

তিন বছরের জন্য স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোছা. লায়লাতুন ফেরদৌস ও জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন ব্যাংকের দিল্লিস্থ প্রধান প্রতিনিধি কোরিহারা তুশিহিকো স্বাক্ষর করেন।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম ও জেবিকের মহাপরিচালক সুজুকি রাইউতা বক্তব্য রাখেন।

   

পোশাক খাতের অর্জনকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ডিং জোরালো করার তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারাখানা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) কর্তৃক লিড স্বীকৃতি পাওয়া সেরা কারখানাগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশে অবস্থিত। তৈরি পোশাক শিল্পের এই অনন্য অর্জনকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জোরালো প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

পাশাপাশি, নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যকরণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করার পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার (১ জুন) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত আরএমজি এবং নিটওয়্যার বিষয়ক এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং টর্ক ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই ‘র পরিচালক এবং বিজিএমইএ -এর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।

মাহবুবুল আলম বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অন্যান্য শিল্পের মতো তৈরি পোশাক খাতকেও নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। তবে কম্প্লায়েন্স এর দিক থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক দূর এগিয়েছে। এই অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে এই শিল্পটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। গতানুগতিক পণ্য উৎপাদনের বাইরে আমাদের নন-কটন গার্মেন্টসে মনযোগ দিতে হবে। নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে একটি গ্লোবাল ফ্যাশন ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তৈরি পোশাক খাতের বিদ্যমান নানা চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং গুণগত জ্বালানি সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। ইতিবাচক ফলাফল মিলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো, আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে আমাদের দ্রুত রফতানি বহুমুখীকরণে যেতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পেও পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্রকরণের অনেক সুযোগ রয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল তৈরি এবং নতুন বাজার ধরতে আমাদের উদ্যোক্তাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।

শিল্পের সমস্যাগুলো নিয়ে অংশীজনদের সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ফারুক হাসান জানান, ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বন্দর ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়ন এবং পণ্যের স্থানীয় মূল্য সংযোজন বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে- তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন ব্যয় স্বাভাবিক রাখতে গুণগত ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিতকরণ, কাস্টমস ও বন্ডের জটিলতা হ্রাস, অনৈতিক প্রতিযোগিতা রোধ, স্থানীয় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়ন, পণ্য জাহাজীকরণে লিড-টাইম কমিয়ে আনা, পণ্যের নূন্যতম ফ্লোর প্রাইজ নির্ধারণসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই’র পরিচালক বি.এম. শোয়েব, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্যবৃন্দ।

;

রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, মে মাসে এলো ২১৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে বৈধ পথে ২১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ নিয়ে পরপর দুই মাস দেশে আসা প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলারের ওপরে রয়েছে। গত এপ্রিলে বৈধ পথে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ডলার। 

প্রবাসী আয়সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছে ২১৪ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৫৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৫৯ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক মে মাসের প্রবাসী আয়ের যে হিসাব দিয়েছে, সেটি ২৯ মে, বুধবার পর্যন্ত। এরপর গত বৃহস্পতিবার লেনদেন চালু ছিল ব্যাংকে। ওই দিন ব্যাংকের মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ের হিসাব যুক্ত হলে তাতে মে মাসে আসা আয় আরও বাড়বে। তাই চূড়ান্ত হিসাবে মে মাসে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২২০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেটি হলে চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের মধ্যে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসার রেকর্ড হবে মে মাসে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসে দেশে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ২১৬ কোটি ডলার।

এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৯ মে পর্যন্ত দেশে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১২৬ কোটি ডলার। ২০২২–২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯২৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের উল্লেখিত সময়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৯৯ কোটি ডলার, এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

;

ঈদ উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু রোববার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদ উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু রোববার

ঈদ উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু রোববার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগামীকাল রোববার (২ জুন) থেকে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।

এ দফায় সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা ও চাল ৩০ টাকা।

শনিবার (১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের বিক্রির কার্যক্রম রোববার (২ জুন) থেকে সারাদেশে শুরু হবে। এই কার্যক্রম দোকান/নির্ধারিত স্থায়ী জায়গা থেকে সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিচালনা করবে ডিলাররা।

কার্যক্রমটি রোববার (২ জুন) রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের পল্লবীর ৩ নং ওয়ার্ডের শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উদ্বোধন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

;

আভিজাত্যে মোড়ানো সারা’র ঈদ উল আজহা আয়োজন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আভিজাত্যে মোড়ানো সারা’র ঈদ উল আজহা আয়োজন

আভিজাত্যে মোড়ানো সারা’র ঈদ উল আজহা আয়োজন

  • Font increase
  • Font Decrease

বছরের বড় উৎসবগুলোর একটি ঈদ উল আজহা। ঈদের এই উৎসবকে ঘিরে থাকে নানা পরিকল্পনা। তাতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে নতুন পোশাক। আর তাই ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘সারা’ লাইফস্টাইল এর ঈদ উল আজহা আয়োজন সাজানো হয়েছে নজরকাড়া পোশাকের বর্ণিল আয়োজনে।

আভিজাত্যের ছোঁয়ায় ‘সারা’ লাইফস্টাইল নিয়ে এসেছে এবারের ঈদ উল আজহা সংগ্রহ। বরাবরের মতোই বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও মোটিফ-প্যাটার্ন আর স্টাইলে ভিন্নতা সারা'র পোশাককে করেছে অন্যদের চেয়ে আলাদা।

সারা'র এবারের ঈদ উল আজহা আয়োজনে সকল পোশাকের অলংকরণে বেছে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরণের প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, ট্র্যাডিশনাল হ্যান্ড এমব্রয়ডারিসহ নানা ধরণের ট্র্যাডিশনাল কারুকার্য।

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সারা’র পোশাকের কাটিং ও প্যাটার্নে থাকে বৈচিত্র্য। এবারও ঈদ উৎসবের পাশাপাশি গরমের কথা বিবেচনা করা হয়েছে। আর তাই এসকল পোশাকের কাপড়ে রাখা হয়েছে কটন, ডবি, জ্যাকার্ড, বিভিন্ন ধরণের জর্জেট, প্রিন্টেড কটন, প্রিন্টেড জর্জেট, নিট, ডেনিম, স্যাটিন, টিস্যু ইত্যাদি।

পোশাকে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে বিভিন্ন ট্রেন্ড ও নানা রকমের টেক্সচারকে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। অপরদিকে পোশাকগুলির প্যাটার্নে থাকছে এ লাইন, ট্রাপিজি, ন্যারো কাট, ফিট এন্ড ফ্লেয়ার, বিভিন্ন ধরণের সিলুইট প্যাটার্ণ। পাশাপাশি সারা’র ঈদ পোশাকের প্যাটার্ণে থাকছে নিত্যনতুন ট্রেন্ডের ভিন্নতা। এছাড়াও কালারের ক্ষেত্রে লাল, সবুজ, সী গ্রীন, নীল, ম্যাজেন্টা, কালো, সাদা, বাদামি, বেগুনি ও ল্যাভেন্ডার প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বেশীরভাগ পোশাকে ভাইব্রেন্ট কালারের মাধ্যমে আভিজাত্য প্রকাশ করা হয়েছে এবারের ঈদ উল আজহা কালেকশনে।

‘সারা লাইফস্টাইল’ এই বছরের ঈদ উল আজহা কালেকশনে ছেলেদের জন্য নিয়ে এসেছে পাঞ্জাবী, ক্যাজুয়াল শার্ট, ফরমাল শার্ট, টি শার্ট, পোলো শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, কার্গো প্যান্ট,পায়জামা, কটি ইত্যাদি। সারা’র এবারের আয়োজনে মেয়েদের জন্য থাকছে সিঙ্গেল এথনিক কুর্তি, এথনিক টু পিস ও থ্রি পিস সেট, ফ্যাশন টপস, শার্ট, শাড়ি স্কার্ফ, টি শার্ট এবং ম্যাটার্নিটি ওয়্যার এর কালেকশন।

সারা’র ঈদ আয়োজনে শিশুদের জন্যও রয়েছে বৈচিত্র্য। ছেলে শিশুদের জন্য সারা'য় থাকছে পাঞ্জাবী, পায়জামা, শার্ট, শার্ট-প্যান্ট সেট, টি শার্ট, পোলো শার্ট, নিমা সেট, কাতুয়া, ডেনিম প্যান্ট ইত্যাদি। আর মেয়ে শিশুদের জন্য থাকছে কুর্তি, ফ্রক সেট, থ্রি পিস, এথনিক থ্রি পিস ও টু পিস, লেহেঙ্গা, ফ্যাশন টপস, জাম্পস্যুট, নিমা সেট, সিঙ্গেল ফ্রক, ডুঙ্গারি, পোলো শার্ট, টি শার্ট, পার্টি ফ্রক, গার্লস প্যান্ট ইত্যাদি।

এছাড়াও থাকছে বাবা-ছেলের পাঞ্জাবী ও পোলো শার্টের মিনিমি। এছাড়াও প্রতিবারের মতো সারা’র এবার ঈদের বিশেষ আয়োজনের মধ্যে থাকছে পুরো পরিবারের জন্য একই ডিজাইনের পোশাকের সংগ্রহ।

এছাড়া নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের জন্য সম্পূর্ণ পশ্চিমা ধাচের সারা লাইফস্টাইলের ওয়েস্টার্ন সাব-ব্র্যান্ড ‘ঢেউ’র কালেকশন তো রয়েছেই। ‘ঢেউ’-এর ঈদ সংগ্রহে পুরুষদের জন্য থাকছে ফিটেড টি শার্ট, ওভারসাইজড টি শার্ট, শর্ট স্লীভ ক্যাজুয়াল শার্ট, লং স্লীভ ক্যাজুয়াল শার্ট, শর্টস, কার্গো প্যান্ট, ডেনিম প্যান্ট, জগার্স ইত্যাদি। নারীদের জন্য ‘ঢেউ’-এর সংগ্রহে থাকছে ফ্যাশন টপস, ক্যাজুয়াল শার্ট, মিডি ড্রেস, পার্টি ওয়্যার, স্কার্ট, ওয়েস্টার্ণ সেট, টি শার্ট, টু পিস সেট, ফরমাল শার্ট, পালাজো, জগার্স, ডেনিম প্যান্ট, কার্গো প্যান্ট, ক্রপ টপ, গাউন, বুট কাট প্যান্ট, বডিকন, কাফতান ইত্যাদি। বরাবরের মতোই সারা’র ঈদ আয়োজনে গুণগত মান ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আকার, ডিজাইন ও প্যাটার্নের ভিন্নতার দিক বিবেচনা করে পোশাকের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মাত্র ৩৫০ টাকা থেকে সাত হাজার ৩৯০ টাকার মধ্যে এবছরের ঈদ উল আজহা কালেকশনের এসব পোশাক পাবেন ক্রেতারা।

উল্লেখ্য, স্নোটেক্স গ্রুপ-এর লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ কাজ শুরু করেছে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে। ঢাকার মিরপুর-৬ এ অবস্থিত ‘সারা’র প্রথম আউটলেট নিয়ে কাজ শুরুর পর বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১, ব্লক এ এর ৪০ এবং ৫৪ নম্বর শপটি ছিল ‘সারা’র দ্বিতীয় আউটলেট। তৃতীয় আউটলেটটি হলো বাড়ি- ১৯ বি/৪সি ও বি/৪ ডি, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর এ ঠিকানায়।

উত্তরায় ‘সারা’র পোশাক পাওয়া যাবে হাউজ নম্বর-২২, সোনারগাঁ জনপদ, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা এ ঠিকানায়। বারিধারা জে ব্লকে আছে ‘সারা’র আরেকটি আউটলেট। বনশ্রী ই ব্লকের ১ নম্বর রোডের ৪৮ নম্বর বাড়িতে রয়েছে ‘সারা’র ষষ্ঠ আউটলেট।

ঢাকার বাইরে ‘সারা’র প্রথম আউটলেট রংপুরে জাহাজ কোম্পানির মোড়েই। রাজধানী ঢাকার ওয়ারীতে (বাড়ি ৩৬/১ নম্বর, র্যাংকিন স্ট্রিট, ওয়ারী, ঢাকা-১২০৩) রয়েছে ‘সারা’র অষ্টম আউটলেট। ‘সারা’র নবম আউটলেট রাজশাহীতে (বাড়ি- ৫৩ ও ৫৪, ইউনাইটেড টাওয়ার, রানি বাজার, রাজশাহী-৬০০০) ও রাজধানী ঢাকার বাসাবোতে (বাড়ি- ৯৬/২, পূর্ব বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪) রয়েছে ‘সারা’র দশম আউটলেট। বগুড়ায় (হোল্ডিং নং-১১৩, ১০৯ সিটি সেন্টার, জলেশ্বরীতলা বগুড়া - ৫৮০০) রয়েছে ‘সারা’র একাদশতম আউটলেট। সিলেটে (হাউজ- ৩১ এ, কুমারপাড়া, ওয়ার্ড ১৮, ভিআইপি রোড, সদর, সিলেট- ৩১০০) চালু হয়েছে ‘সারা’র আরও একটি আউটলেট।

ফেনীতে (‘ওহাব টাওয়ার’, হোল্ডিং নং- ৩১০, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, ওয়ার্ড নং ১৬, ফেনী শহর) কার্যক্রম শুরু হয়েছে ‘সারা’র আরও একটি আউটলেটের। সর্বশেষ বরিশাল শহরে (বিবির পুকুর পাড়, ফকির কমপ্লেক্স, ১১২ সদর রোড, বরিশাল-৮২০০) ‘সারা’র আরও একটি নতুন আউটলেট চালু হয়েছে। এছাড়াও খুব শীঘ্রই খুলনা শহরের শিববাড়ী মোড়ে সারা'র আরও একটি নতুন আউটলেট চালু হতে যাচ্ছে।

আউটলেটের পাশাপাশি ‘সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.saralifestyle.com), ফেসবুক পেজ (https://www.facebook.com/saralifestyle.bd) এবং ইন্সটাগ্রাম
(https://www.instagram.com/saralifestyle.bd/) থেকে ক্রেতারা ঢাকার ভেতরে অর্ডার করে হোম ডেলিভারি পেতে পারেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে সারা দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপনার অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি পাবেন।

;