টানা দরপতনে শেয়ারবাজার, লেনদেন তিনশ কোটির নিচে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে মূল্য সূচকের পতনের সঙ্গে যোগ হয়েছে লেনদেনের অস্বস্তি। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ২০০ কোটির ঘরে নেমে এসেছে৷ ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক 'ডিএসই এক্স' ৬ দশমিক ৬২ পয়েন্ট হারিয়েছে। গত দুই দিনের পতনে এ সূচকটি হারিয়েছিল ২৫ পয়েন্টের বেশি। আজ টানা তৃতীয় দিনের পতন শেষে প্রধান সূচক নেমে এসেছে ৬ হাজার ২০২ পয়েন্টে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান সূচকের সঙ্গে ডিএসইর অপর দুই সূচকও কমেছে। শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক 'ডিএসই এস' দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমেছে। আর বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক 'ডিএস ৩০' কমেছে ১ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট।

সূচকের টানা পতনের সঙ্গে নতুন করে শেয়ােবাজারে লেনদেনে অস্বস্তি শুরু হয়েছে৷ মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩০৫ প্রতিষ্ঠানের ১০ কোটি ৫৭ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৬টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। ডিএসইতে গত ৭০ কার্যদিবসের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ২৯৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

আজ ডিএসইতে লেনদনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৭৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দর কমেছে ৭৬টির। বিপরীতে মাত্র ৫৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি শেয়ার হাতবদলের মাধ্যমে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। একদিনে কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা মূল্যের ৯০ লাখ ৮২ হাজার ৭২৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

আজ ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল আম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারদর আজ সর্বোচ্চ ৫৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে সর্বোচ্চ দর পতন হওয়া বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়ামের শেয়ারদর ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমেছে।

এদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ১৬ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট কমেছে। দিনভর এক্সচেঞ্জটিতে ১৪৯ প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬৩টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দর কমেছে ৫৭টির। বিপরীতে মাত্র ২৯ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।