বিদ্যুতের সংযোগ পেতে ঘুষ দিয়েছেন ৭.৬৪ শতাংশ গ্রাহক

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতের নতুন সংযোগে ঘুষ দিতে হয় বলে জানিয়েছেন ৭.৬৪ শতাংশ গ্রাহক। আর ৬৫ শতাংশ গ্রাহক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিদ্যুৎ ভবনে গ্রাহক সন্তুষ্টি জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

৬টি বিতরণ কোম্পানির ১৫ হাজার ২৪৫ গ্রাহকের সার্ভে পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে আবাসিক ৯০.৯৩ শতাংশ, শিল্প দশমিক ৮৯ শতাংশ, বাণিজ্যিক ৮ শতাংশ এবং সেচ দশমিক ১৮ শতাংশ। সার্ভেতে অংশ নেওয়া গ্রাহকদের মধ্যে ৫২.০১ শতাংশ প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী।

সারাদেশে মাত্র ৫ শতাংশ গ্রাহক প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন। সেখানে ৫২ শতাংশ বাছাই করায় সার্ভের নিরপেক্ষতা ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: সেলিম উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যখন ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা বলা হয়েছিল। তখন অনেকেই ব্যঙ্গ করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা দারুণভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।

সিনিয়র সচিব বলেন, আপনারা যে সময়ে (মার্চ-মে) সার্ভে করেছেন তখন লোডশেডিং কম ছিল। জুলাই আগস্টে বেশি লোডশেডিং হয়েছে। মূলত জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিং হয়েছে তখন। আমার বাসায় ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকলে অস্থির হয়ে যাই, বিদ্যুৎ থাকবে না কেনো। গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাইবে এটা তাদের ন্যায্য চাওয়া। আমরা ভবিষ্যতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো।

তিনি বলেন, বিল বেশি মিটার রিডারদের ভুলের কারণে আমরা স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের দিকে যাচ্ছি। ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে। তখন আর এই অভিযোগ থাকবে না।

প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত আচরণগত সন্তুষ্টি। আচরণগত সমস্যা দূর করতে, যত আধুনিকায়ন হবে তত মিডলম্যান থাকবে না। তখন সেবার মান বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলীসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।