বিদ্যুৎ জ্বালানিতেই থাকছেন নসরুল হামিদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ জ্বালানিতেই থাকছেন নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ জ্বালানিতেই থাকছেন নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আবারও মন্ত্রিসভায় ডাক পেয়েছেন। একই মন্ত্রণালয়েই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে থাকছেন বলে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন নসরুল হামিদ এমপি। 

নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ সময়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের রেকর্ড গড়েছেন। ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে টানা দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার আগে কেউ এই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এতো লম্বা সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেন নি। তার হাত ধরেই দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হয়েছে। এবারও প্রতিমন্ত্রী হিসাবেই ডাক পেয়েছেন তিনি।

এই মন্ত্রণালয়ে কম সময় দায়িত্ব পালনের রেকর্ড রয়েছে ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হকের দখলে। ১৯৮০ সালে মাত্র ৭ দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে ১১ দিন মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন অলি আহমদ বীরবিক্রম।

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫১ মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মন্ত্রিসভায় এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী (২৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২), এরপর খন্দকার মুশতাক আহমেদ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ১৩ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ১৩ এপ্রিল ১৯৭২ পর্যন্ত। মন্ত্রী ড. মফিজ চৌধুরী দায়িত্বকাল ছিল ১৯৭২ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে ১৯৭৩ সালের ১৬ মার্চ পর‌্যন্ত। এরপর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ফেরেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ। এ দফায় ১৯৭৩ সালের ১৬ মার্চ থেকে ১৯৭৪ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

আব্দুর রব ছেরনিয়াবাত মন্ত্রীর হিসেবে দায়িত্ব পান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে। পরের বছর ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। একই সময়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কেএম ওবায়দুর রহমান। তার মেয়াদকাল ছিল ১৯৭৩ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের ৮ জুলাই পর্যন্ত। ড. কামাল হোসেনকে মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয় ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি, তিনি দায়িত্ব পালন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।

খন্দকার মুশতাকের মন্ত্রীসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দেওয়ান ফরিদ গাজী। তিনি মাত্র ২ মাস ১৬ দিনের মতো দায়িত্ব পালন করেন (১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট থেকে একই বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত)। একই সময়ে মোমিন উদ্দিন আহমেদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রথম উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান এয়ার ভাইস মার্শাল এমজি তোয়াব। তার মেয়াদকাল ছিল ১৯৭৫ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৯৭৬ সালের ৩ মে পর্যন্ত। তারপর উপদেষ্টা হিসেবে আসেন কমোডোর মোফারফ হোসেন খান, আশফাক হোসেন খান, বিএম আব্বাস এটি। টানা উপদেষ্টার পর ১৯৭৮ সালের ৪ জুলাই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিএম আব্বাস এটি। দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৯ সালের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর যথাক্রমে ৩ মাস মন্ত্রী ছিলেন এজেড এম এনায়েত উল্লাহ খান। ৬ মাসের মতো দায়িত্ব পালন করেন কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন। মাত্র ৭ দিন দায়িত্ব পালন করেন ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হক।

১৯৭৯ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২ জানুয়ারি ১৯৮০ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী মওদুদ আহমেদ। তার সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুনীল কুমার গুপ্ত। ১৯৮০ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে কাজী আনোয়ারুল হক ও এলকে সিদ্দিকী। ১ মাস ১০ দিনের মন্ত্রী ছিলেন একেএম মাইদুল ইসলাম। ১৯৮১ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ৪ মাসের মতো প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন সুনীল কুমার গুপ্ত। এরপর উপদেষ্টা হিসেবে ১ বছর ৯ মাস দায়িত্ব পালন করেন এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ। তিনি পরে ৬ মাসের ( ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ থেকে ১ জুন ১৯৮৪) মতো মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরের ৬ মাস মন্ত্রী ছিলেন এসএম শফিউল আজম, প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সুনীল কুমার গুপ্ত। ২ মাস মন্ত্রী ছিলেন মেজর জেনারেল মুহাম্মদ মুনএম।

প্রথমবারের মতো বেশি সময় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি ১৯৮৫ সালের ২৫ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণ করে ১৯৮৮ সালের ২৭ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তার অধীনে ২ মাসের জন্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন জাফর ইমাম। জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ১৯৮৯ সালের ১৯ জুলাই থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন। ১৯৯০ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর ওয়াহীদ উদ্দিন আহমেদ। বিএনপি সরকার গঠন করলে খালেদা জিয়া মন্ত্রণালয়টি হাতে রেখে দেন। প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। কিছুদিন পর ড. খন্দকার মোশারফকে পুরোপুরি মন্ত্রী হয়ে পুরো মেয়াদকাল দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এক তরফা নির্বাচনের পরে ১১ দিন মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন অলি আহমদ বীরবিক্রম। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে জয়লাভের পর আওয়ামী লীগ সাবেক সেনা প্রধান মোহাম্মদ নুরউদ্দীন খানকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ পর্যন্ত। তার পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে একেএম আমানুল ইসলাস চৌধুরী উপদেষ্টা হিসেবে। বিএনপি সরকারে এলে একেএম মোশাররফ হোসেনকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৫ সালের ১৮ জুন তাকে সরিয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ৭ মাস, এরপর ৪ মাস প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আনোয়ারুল কবির তালুকদার। এক-এগারোর সময়ে প্রথমে হাসান মশহুদ চৌধুরী, এরপর মেজর জেনারেল রহুল আলম চৌধুরী সবশেষে তপন চৌধুরী উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালে সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতে রেখে দেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়টি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার অধীনে প্রথম ৬ মাস প্রতিমন্ত্রী ছিলেন অ্যাড. শামসুল আলম টুকু। প্রায় সাড়ে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ এনামুল হক।

   

ওয়ালটন ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো চলতি বছরের ১ মার্চ সারা দেশে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের দেয়া হয়েছে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন ক্রেতা। সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এই ক্যাম্পেইন। এরই প্রেক্ষিতে আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে ঘিরে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত। যা এবার ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ফলে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে ক্রেতারা আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, প্রতিটি বড় উৎসব উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের আগে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিয়েছে ওয়ালটন। যা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরো দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই মিছিলে আরো অধিক সংখ্যক ক্রেতা যুক্ত হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম থেকে ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ

বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

;

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদোগে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মূল বিষয়ের উপর আলোচনা করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ দশমিক ৫ টাকা ও অকটেনের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ দশমিক ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকে পেট্রোল, অকটেনের দাম।

তার আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

ওই নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওইদিন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আইএমএফের চাপও রয়েছে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মূলা অনুযায়ী, প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হবে। গেজেট অনুযায়ী, বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।

অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মূলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সেজন্য প্রাইসিং ফর্মূলায় ‘α’ ফ্যাক্টর প্রযোজ্য হবে।

;

রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’র গ্র্যান্ড বলরুমে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা' (Bangladesh’s Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap) উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। ‘আইবাস’ (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-IBAS) ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে।

আজকের (৩০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই'র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই'র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

;