রোজার আগেই লাগামহীন খেজুর!



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রোজার আগেই লাগামহীন খেজুর!

রোজার আগেই লাগামহীন খেজুর!

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযম সাধনাই রমজানের অন্যতম লক্ষ্য। গোটা বিশ্বের এই মাসে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে। দেওয়া হয় নানা রকমের ছাড়! অথচ রমজানে উলটো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। যে-যেভাবে পারেন রমজানে পণ্যের দাম বাড়তি নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। ফলে প্রতিবছর রমজানে সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায় অসাধু ব্যবসায়ীদের মাঝে।

বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে অস্থিরতা চলছে সাধারণ ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে, রমজানকে সামনে রেখে দামের বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। বর্তমান বাজারের পণ্যমূল্য দেখে রোজার কথা ভেবে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। তাদের মনে একটাই প্রশ্ন- রোজায় দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে তো? ক্রেতাদের দাবি, ঈদকে সামনে রেখে লাভের সঙ্গে লোভ যুক্ত হওয়ায় রোজায় বাড়ে পণ্যের দাম! তারা বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার দাবি জানান।

সাধারণত রমজান এলে, খেজুর, ছোলা, বুট, বেসন, গরম মসলা, চিনি, মরিচ, বেগুন, ডাল, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, মাছ এবং শাকসবজি ফলমূল সহ সকল পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন ক্রেতারা। যদিও এবার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর রোজার এই আট পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এসব পণ্য ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি করা যাবে। এই সুবিধার সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ।

রোজা মাসে ইফতারে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার খেজুর। বাংলাদেশ খেজুর আমদানি করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। আমদানিকৃত খেজুরের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়- মেডজল, খুরমা খেজুর, দাপাশ, আজোয়া, বড়ই খেজুর, মরিয়ম, খালাস। এছাড়া তিউনিসিয়া ও আলজেরিয়া থেকে আসা ডালালা জাতের খেজুর সবচেয়ে জনপ্রিয়।

লন্ড্রি ব্যবসায়ী মোফাজ্জল জানান, রোজা ছাড়াও তিনি নিয়মিত বাসায় খেজুর খেয়ে থাকেন। খেজুর একদিকে যেমন অনেক শক্তি যোগায় অন্যদিকে ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে রমজান মাসে খেজুর দিয়ে ইফতার করা উত্তম।

তিনি বলেন, গত বছর রমজানে যে সাধারণ খেজুর কিনেছিলাম ২২০ টাকা করে কিন্তু এবার সেই খেজুর এখনি বাজারে ৩০০-৩৫০ টাকা চাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সুতরাং রমজান মাস এলে যে কি হবে তা আল্লাহ ভালো জানে। মূলত লাভের সঙ্গে লোভ যুক্ত হবার কারণে রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। সরকারের উচিৎ আরও বেশি বেশি মনিটরিং করা।

আরেকজন ষাটোর্ধ্ব ক্রেতা মো: আব্দুস সালাম জানান, তিনি নিয়মিত খেজুর কেনেন। কিন্তু বর্তমানে খেজুরের যে দাম তা আগে কখনো দেখেননি তিনি। দাম বাড়ার পিছনে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এবং ডলার সংকটকেই দায়ী বলে মানেন তিনি।

বিদেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, সৌদি আরবে যে খেজুর দশ রিয়ালে বিক্রি হয় মানে বাংলাদেশি টাকায় ১৮০-২০০টাকায় সেই খেজুর দেশের বাজারে বিক্রি হয় ৪৫০-৬০০ টাকায়।

ঢাকায় মিরপুর-১, মিরপুর-১০ এবং শেওড়াপাড়ার কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে বর্তমানে, খুরমা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি যা আগে বিক্রি হতো ২০০-২২০ টাকা দরে। দাপাস জাতের খেজুর ৪৫০টাকা কেজি যা আগে বিক্রি হতো ২২০-২৫০ টাকা কেজি। রেজিস্ট বড়ই ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিলো ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি। এছাড়া মরিয়ম ৭৫০,খালাস খেজুর ৪০০, তিনিউশিয়া এবং  আলজেরিয়া থেকে আসা ডালালা জাতের খেজুর ৫৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দামী জাতের খেজুর আজোয়া আগে ১০০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত রমজানের চাইতে এবার খেজুরের দাম এখনই অনেক বেশি। কেজিপ্রতি খেজুরের দাম এরই মধ্যে ১০০-১৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই এবার রমজানে দাম আরও বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা আছে বলেও জানায় ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ গত বার সরকার খেজুরে ২৭০ টাকা কেজি প্রতি ভ্যাট ধরার কারণে খেজুরের দাম এতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মিরপুরের ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন ফলমূল বিক্রি করতেন। তবে গত পাঁচ সাত বছর ধরে তিনি খেজুরের ব্যবসা করছেন। তার দাবি খেজুরের মূল্য বৃদ্ধির পিছনে শুধু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দিলে হবে না। সরকারের এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে হবে।


তিনি বলেন, খেজুর প্রতিদিন এলসি হয়না। তার অভিযোগ মাসরুক জাতের  খেজুর দশ কেজির বক্স ২৮০০-২৯০০ টাকা এনে এক সপ্তাহের মাথায় প্রথমে ৩০০টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও তারপর সেই খেজুর আবার ৩২০০ এবং তারপর ৪০০০ টাকা দরে তাকে কিনতে হয়েছে। এতে এখন তার খেজুর কিনতেই কেজিপ্রতি গুনতে হয়েছে ৪০০ টাকা করে।

এখন তার প্রশ্ন যদি ৪০০ টাকা দরে এক কেজি খেজুর কিনি তাহলে বিক্রি করবো কতো। দোকানের স্টাফ, বিদ্যুৎ বিল, লাইন ম্যানের চাঁদা, রাস্তার খরচ সবমিলিয়ে খেজুরের দাম পরে ৪৩০ টাকার বেশি। এক কেজি খেজুর বিক্রি করে যদি বিশ টাকা চল্লিশ টাকা লাভ না হয় তাহলে তো ব্যবসা গুটিয়ে বাসায় বসে থাকতে হবে। এরপর মালের মধ্যে পচা, ওজনে ঘাটতি সহ নানা রকমের সমস্যা রয়েছেই। এদিকে সংসার চালানোই এখন দায়। তার উপর ভোক্তা অধিদপ্তর এর লোকজন এসে জরিমানা করে। নানান সমস্যা।

আরেক ব্যবসায়ী কাওসার জানান, আমরা এক কেজি খেজুরের সর্বোচ্চ মেডজল বা আমবার জাতের খেজুর ৭০০০ টাকা থেকে কাটুন ১৪০০০ টাকায় কেনা পরলে ১৫০-২০০ থেকে লাভে বিক্রি করি।

এক কনটেইনার মাল মানে দুই কার্গো মালের ২০২২ সালে ছিলো ১৭ লাখ টাকা ভ্যাট। আর এখন ২০২৩ সালে ৫০ লাখ টাকা ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। তাহলে দাম বাড়বে না কেনো?

রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে কারণ জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন বার্তা ২৪.কম’কে বলেন, রমজান মাস আসলে কিছু পণ্যের দাম বাড়ে। যেমন-খেজুর, ছোলা, ভোজ্য তেল ইত্যাদি।  চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে যদি সরবরাহের উন্নতি না হয় তাহলে দাম বাড়াটা স্বাভাবিক। সরবরাহ পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে দাম বাড়বে না।

তিনি আরও বলেন, একটা প্রবণতা আমরা অনেক সময় দেখি সেটি হলো, যারা বিত্তবান, যারা একসাথে বেশি জিনিস কিনেন, যাদের বাড়তি চাহিদা রয়েছে এটা পরিহার করা উচিত। যার যতটুকু প্রয়োজন শুধু ততটুকুই ক্রয় করা উচিত। একসাথে ১৫ দিন বা ১ মাসের জিনিসপত্র ক্রয় করা উচিত নয়। তবে বাজারে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুত থাকে সেদিকে সরকারের খেয়াল রাখা উচিত। একসাথে যাতে বেশি পণ্য না কিনে সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত বলে মনে করেন গোলাম রহমান।

   

জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। জেদ্দা হলো মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্রতম নগরী মক্কার প্রধান প্রবেশদ্বার।

রোববার (৫ মে) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যম এ তথ্য জানায়।

আগামী আগস্ট মাস থেকে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জেদ্দায় প্রবাসী ও শ্রমজীবী বাংলাদেশীদের উন্নত যাত্রীসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। সপ্তাহে প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুইটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।

ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র সৌদি আরবের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জোড়ালো করতে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারী এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা ঢাকা-জেদ্দা রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধর্মপ্রাণ প্রতিটি মুসলমান জীবদ্দশায় হজ্ব ও ওমরাহ পালন করার ইচ্ছে পোষণ করে থাকে।

আর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী আগস্ট মাস থেকে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছে।

প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া ও যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী সময়কে প্রাধান্য দিয়ে ইউএস-বাংলা ফ্লাইট পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।

বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সকল রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দুবাই, শারজাহ, আবুধাবী, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

;

আট দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা আট দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায়। নতুন এ দাম রোববার (৫ মে) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বেড়েছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

;

আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার। 

মুবারক আলী ফাউন্ডেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) যৌথ এ উদ্যোগে দেশের ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

আইবিএ ক্যাম্পাসে ফিতা কাটার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দেশের শিক্ষা ও ব্যবসা খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার শিক্ষাক্রমের সাথে প্রাসঙ্গিক ব্যবসায়িক কেস স্টাডি একীভূত করার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়িক শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী যেন দেশে ব্যবসায়িক শিক্ষাখাত বিস্তৃত হতে পারে এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।

এ উদ্যোগ গ্রহণের পেছনের কারণ তুলে ধরে মুবারক আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমরীন বশির আলী ও তানভীর আলী বলেন, আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারটি শুধু একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ভূমিকা রাখবে এমন নয়, পাশাপাশি এ সেন্টার প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত শিক্ষার পরিসর বিস্তৃতিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

অংশীদারিত্বমূলক এ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে আইবি'র পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মাদ এ. মোমেন বলেন, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নজির স্থাপনে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের ওপর আলোকপাত করে কেস স্টাডি তৈরি ও প্রকাশে কাঠামো তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল পাবলিশিং ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সাথে এ অংশীদারিত্ব। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যেন শিক্ষার্থীরা উদীয়মান বাজারের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

এ অংশীদারিত্ব হার্ভার্ড বিজনেস পাবলিশিং এডুকেশনের দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক দিব্যেশ মেহতা বলেন, আমরা আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। এ উদ্যোগ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের সম্ভাবনা তুলে ধরবে; পাশাপাশি, শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থবহ অংশীদারিত্ব কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তারও অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে। একসাথে আমরা সাফল্যগাঁথা রচনা করছি; আর এর শেকড় প্রাসঙ্গিকতা ও রূপান্তরমূলক শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার ভেতরে নিহিত রয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর (আইআইএমবি) ডিসিশন সাইন্সেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ইউ দীনেশ কুমার বলেন, আইআইএম বেঙ্গালুরু (আইআইএমবি) আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়িক মডেলের কার্যকারিতা বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। কেস স্টাডি তৈরির পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে এ অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মুবারক আলী বিগত চার দশকে সফলভাবে একটি অনবদ্য প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ মুবারক আলীর অন্তর্ধানের এক বছর পূর্তি। তার সাফল্যমণ্ডিত জীবন ও কর্মের স্মরণে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা, শিল্পকলা ও স্থাপত্যে টেকসই উন্নয়ন এবং উৎকর্ষ অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে মুবারক আলি ফাউন্ডেশন। শিল্পকলার ক্ষেত্রে এ ফাউন্ডেশন লন্ডনে ফ্রিজ আর্ট ফেয়ার ইমার্জিং আর্টিস্ট প্রাইজে সহায়তা করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলগুলোর প্রতি ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতি কমিউনিটির উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রয়াত মুবারক আলীর নিষ্ঠা ও নিবেদনকেই প্রতিফলিত করে।

ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে আগত অতিথিদের উদ্যম ও উৎসাহ প্রকাশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। এ উদ্যোগ দেশে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে, যারা দেশে ও বিশ্বব্যাপী ব্যবসার ভবিষ্যৎ আকৃতিদানে ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য সকলের। 

;

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;