১০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে ট্রান্সকম গ্রুপের উত্তরাধিকারীরা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শাযরেহ হক, সিমিন রহমান, শাহনাজ রহমান (বাম থেকে)

শাযরেহ হক, সিমিন রহমান, শাহনাজ রহমান (বাম থেকে)

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রান্সকম কোম্পানির শেয়ার ও অর্থসম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে মা শাহনাজ রহমান (ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান) এবং বোন সিমিন রহমানসহ (ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও) আটজনের নামে পৃথক তিনটি মামলা করেছেন প্রয়াত শিল্পপতি লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আইকনিক ব্যবসায়ী লতিফুর রহমানের মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া ১০ হাজার কোটি টাকার (সমপরিমাণ) সম্পদের বণ্টন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তার স্ত্রী-সন্তানরা। 

দায়েরকৃত মামলার অভিযুক্তরা হলেন- সিমিন রহমান, শাহনাজ রহমান, ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক, ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক ও সিমিন রহমানের ছেলে এবং ট্রান্সকম লিমিটেডের হেড অফ ট্রান্সফরমেশন যারাইফ আয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২২ফেব্রুয়ারি) লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক তার মা শাহনাজ রহমান এবং বড় বোন সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। নথি জাল করে পারিবারিক সম্পত্তির ন্যায্য অংশ থেকে  তাকে এবং তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। লতিফুর রহমান মারা যাওয়ার আগে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি রেখে গেছেন বলেও দাবি করেন শাযরেহ হক।

তিনটি মামলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থায় একই দিনে সিমিন রহমান ও শাহনাজ রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে তাদের (সিমিন রহমান ও শাহনাজ রহমান) সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে অভিযুক্ত পাঁচ কর্মকর্তাকেও গ্রেফতার করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বাকি তিনজনকে খুঁজছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কামরুল হাসান, আবদুল্লাহ আল মামুন, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।

গুলশান থানার ২০ নম্বর মামলার এজাহারে বাদী শাযরেহ হক উল্লেখ করেছেন, তার বড় বোন সিমিন রহমান ট্রান্সকম লিমিটেডের ২৩ হাজার ৬০০ শেয়ার থেকে তাকে এবং তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বঞ্চিত করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে করে নেন। এতে সহযোগিতা করেন ফখরুজ্জামান ভুঁইয়া, কামরুল হাসান, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক এবং আবু ইউসুফ। বাবা লতিফুর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি এসব জানতে পারেন বলে উল্লেখ করেন। এই জালিয়াতিতে যে সই ও টিপসই ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো তাদের না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কর্ণপাত করেননি। তাই তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

২১ নম্বর মামলার এজাহারে শাযরেহ হক অভিযোগ করেন, তার বাবা মারা যাওয়ার আগে রেখে যাওয়া ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করেননি বড় বোন ও মা। তারা বেশি শেয়ার হস্তগত করতে অসৎ উপায়ে কয়েকজনের সহায়তায় মনগড়া ‘ডেথ অব সেটেলমেন্ট’ করেন। সেটেলমেন্টে তার বাবা লতিফুর রহমান, তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের স্বাক্ষর জাল করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরেক মামলার এজাহারে শাযরেহ হক আরও বলেন, লতিফুর রহমান মারা যাওয়ার সময় বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং এফডিআরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রেখে যান, যা শরিয়া অনুয়ায়ী তিনিসহ তার ওয়ারিশরা পাওয়ার কথা। কিন্তু মা শাহনাজ রহমান ওই টাকার নমিনি (ট্রাস্টি) হওয়ায় সেই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে ৬০ কোটি টাকা দিয়ে ট্রান্সকম লিমিটেডের ১৮ শতাংশ কেনার বায়না করেন। সেই শেয়ার পরে সিমিন রহমানকে দান করা হয়। 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ জুলাই শিল্পপতি লতিফুর রহমান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিজ বাসভবনে মারা যান। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছেন। ২০২০ সালের ২৭ জুলাই প্রয়াত লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান ট্রান্সকমের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হন তার বড় মেয়ে সিমিন রহমান। বর্তমানে মামলা তদন্ত করছেন পিবিআই-এর পরিদর্শক আলাউদ্দিন।

   

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব



নিউজ ডেস্ক
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটেইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রসারমান স্ট্যার্টআপ হিসাবীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের ফলে হিসাবী দোকান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে বাধাহীনভাবে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে রিটেইলারদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় এক দারুণ পরিবর্তন আসবে এবং লেনদেন আরও সহজ হবে।

প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী এবং হিসাবী'র পক্ষ থেকে রাকিন মোহাম্মদ সাভি (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন, যা রিটেইলারদের পেশাগত কাজের সাথে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা যুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্য অর্জন এবং হাসাবী'র রিটেইল নেটওয়ার্ককে আরও দক্ষ করে তুলতে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গ্রহক সেবা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

;

এ দফায় সোনার দাম ভরিতে কমল ১৮৭৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদায়ী এপ্রিলের ৩০ তারিখ টানা ৭ দফায় কমানো হয়েছিল সোনার দাম। এবার ৮ম দফায় কমানো হয়েছে এক হাজার ৮৭৮ টাকা। ফলে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার নতুন দাম এখন ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ভালো মানের একভরি সোনার দাম ৪২০ টাকা কমানো হয়। তার আগে ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমল।

;

ইসলামী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে গাড়ি জিতলেন কাপাসিয়ার মুঞ্জিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের মেগা পুরস্কার হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দামের ১,৫০০ সিসির প্রাইভেটকার বিজয়ী হয়েছেন কাপাসিয়া শাখার অধীন এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মুঞ্জিল।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ড্র-য়ের মাধ্যমে সৌদি আরব প্রবাসী মুছাম্মৎ লতিফা সুলতানার পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তার স্বামী মুঞ্জিল এ মেগা পুরস্কার বিজয়ী হন।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারজানা আলমের উপস্থিতিতে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ব্যাংকের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মো. রেজাউল করিম, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ফরেন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট বিশেষ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং ডে-তে ডিজিটাল ড্র-য়ের মাধ্যমে ৩০ জন গ্রাহক ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।

 

;

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের বিদায়ী এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড় হিসেবে এর পরিমাণ ৭৪৮ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, জুন মাসে  ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।  

;