জ্বালানি সরবরাহ ঠিক থাকলে বিদ্যুতে লোডশেডিং হবে না: প্রতিমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রমজান, সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুম একসঙ্গে হওয়ায় বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদার কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। জ্বালানি সরবরাহ ঠিক থাকলে লোডশেডিং হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সচিবালয় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে সতেরো হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি সরবরাহ ঠিক থাকলে কোনো সংকট হবে না।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ১১ মার্চের উৎপাদন বিবরণী অনুযায়ী গ্যাস সংকটের কারণে ১৩ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ ছিল, আর ৩টিতে আংশিক উৎপাদন করা হয়েছে। ওই ১৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩০১১ মেগাওয়াট। আর উৎপাদন করেছে মাত্র ১৯৪ মেগাওয়াট।

বিজ্ঞাপন

ওইদিন সব ধরনের জ্বালানি সংকটের কারণে ৮ হাজার ৪৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হয়েছে। ১১ মার্চ ১১ হাজার ৮৬২ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয় ১১ হাজার ৭১৩ মেগাওয়াট। শুধু ময়মনসিংহ জোনে সান্ধ্যকালীন পিকে ১৪৯ মেগাওয়াট লোডশেডিংয়ের তথ্য জানিয়েছে পিজিসিবি।

পিক আওয়ারে (সন্ধ্যার দিকে) বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। সেই সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রমজান উপলক্ষে দেওয়া নতুন সূচিতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আগে থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ কার্যকর ছিল।

অতীতে মার্কেট ও শপিং মলের সময়সূচিতে কিছুটা লাগাম টানা হতো। এবার সে রকম কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে কমে যাবে, আর বেড়ে গেলে সে অনুসারে বাংলাদেশেও বাড়বে।