‘উন্নত দেশগুলোর কাছে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রত্যাশা বাংলাদেশের’
২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার (২০ মার্চ) জার্মানির বার্লিনে এনার্জি রূপান্তর ডায়লগ এর দ্বিতীয় দিনে জার্মানীর স্টেট সেক্রেটারি ও ফেডারেল ফরেন অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার লি মরগ্যানের সাথে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির রূপান্তরে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। ১৮ কোটি মানুষের দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি হতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে দক্ষ অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। জার্মানি প্রযুক্তি ও আর্থিক (গ্র্যান্ড বা লোন) সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ তাকে স্বাগত জানাবে।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সহনশীল অবস্থা বিনির্মাণে আমরা জার্মানির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। বায়ু বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস, জলবিদ্যুৎ ও অফশোর উইন্ড-এর প্রসারে জার্মানি আমাদের সহযোগিতা করতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে জার্মানির অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা বিশেষ অবদান রাখবে। আগামী মে মাসে জার্মানির সাথে সরকারি পর্যায়ে যে সংলাপ হবে, আমি আশা করি সেখান থেকে বায়ু বিদ্যুৎ ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জার্মানির অংশগ্রহণ বাড়বে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জার্মানির সহযোগিতা একটি টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহযোগিতা করবে।
জার্মানীর স্টেট সেক্রেটারি ও ফেডারেল ফরেন অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার লি মরগ্যান বলেছেন, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে একটি বাসযোগ্য পরিবেশ সৃজনে জার্মানি অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আমরা একযোগে কাজ করতে পারি।