কাজী খুররমের মনমর্জিতে চলছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এমডি অপসারণের চেষ্টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তলব



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কাজী খুররম আহমেদ

কাজী খুররম আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যবস্থাপনা পরিচালক-কে (এমডি) বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ধমক খেয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। ব্যাংকের চেয়ারম্যান নয়, বরং এই পর্ষদ এখন চলছে স্রেফ চেয়ারম্যানের ছেলের অঙ্গুলিহেলনে। তিনি নিজের মনমর্জি মতো নিয়োগ দিচ্ছেন আর হটিয়ে দিচ্ছেন। থোড়াই তোয়াক্কা করছেন ব্যাংকের নীতিমালার। নিয়ম ভাঙার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক তলব করেছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংককে। কোনো সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে এমডিকে হাবিবুর রহমানকে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে রোববার (৩১ মার্চ) পরিচালনা পর্ষদের সভা ডেকেছে ব্যাংকটি।

তবে পর্ষদের কথা কতটা গ্রাহ্য হবে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের ছেলে ও ব্যাংকের সর্বকনিষ্ঠ পরিচালক কাজী খুররম আহমেদের কাছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা না থাকলেও স্রেফ 'বাপের জোরে' এই কাজী খুররম আহমেদ তার মত-মর্জিতে ব্যাংক চালাচ্ছেন। যার সবশেষ উদাহরণ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণের চেষ্টা।

ব্যাংকটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে হাবিবুর রহমানকে মাত্র এক বছর আগেই নিয়োগ দেওয়া হয় এই ব্যাংকে। সেসময়ও এই নিয়োগের একমাত্র প্রস্তাবকারী ছিলেন কাজী খুররম আহমেদ। এক বছর এক মাস যেতে না যেতেই সেই কাজী খুররমই হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে দিতে চাইছেন। অভিযোগ হাবিবুর জামায়াতে ইসলামীর লোক। আর সে কারণে তাকে ব্যাংকে রাখা যাবে না।

ঘটনাটি গত ২৯ ফেব্রুয়ারির। সেদিন ব্যাংকের ৩৮৮তম পর্ষদ সভায় নিয়মিত সভা শেষে পুরোপুরি এজেন্ডা বহির্ভূতভাবে এমডিকে অপসারণের প্রস্তাব উত্থাপন করেন কাজী খুররম। এতে হতবাক হন ব্যাংকের অন্য পরিচালকরা।

সূত্র জানায় খুররম আহমেদ সে সময় পর্ষদকে বলেন, "এই এমডিকে রাখলে ব্যাংকের ইমেজ নষ্ট হয়ে যাবে এবং যে কোন সময় পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করতে পারে।"

বিষয়টি সহজে মেনে নিচ্ছিলেন না সভায় উপস্থিত কয়েকজন পরিচালক। তারা এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানান। কিন্তু কারো আপত্তিই আমলে না নিয়ে হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর একক সিদ্ধান্ত নেন খুররম। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে মো. হাবিবুর রহমান যোগ দেন ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। এর আগে তিনি ইউনিয়ন ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) এবং তার আগে এনসিসি ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বেসরকারি খাতের তৃতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে পরিচিত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক দীর্ঘদিন প্রচলিত ধারায় চললেও ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান হলেও ব্যাংকের সকল কার্যক্রম চলে কাজী খুররম আহমেদের ইশারায়। ঋণ বিতরণ থেকে শুরু করে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি সবকিছুই নিয়ন্ত্রণই তার হাতে। তিনিই মূলতঃ এমডির ভূমিকা পালন করেন। এসব কারণে খুররম আহমেদের সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয় হাবিবুর রহমানের। আর তাতে খুররম ক্ষিপ্ত হয়ে এমডিকে বিদায় করার উদ্যোগ নেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভা প্রায় ২ ঘণ্টা চলার পর কাজী খুররম বলেন, কিছু জরুরি আলোচনা আছে। এ কথা বলে এমডিকে পর্ষদ সভা থেকে বের করে দেন।

তিনি চলে গেলেই খুররম বলেন, "আমাদের এমডি সাহেব জামায়াতে ইসলামীর লোক। তিনি অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তাই তাকে ব্যাংকে রাখা যাবে না। এই মুহূর্ত থেকেই উনাকে (এমডি) ছুটিতে পাঠাবো। এই এমডিকে রাখলে ব্যাংকের ইমেজ নষ্ট হয়ে যাবে এবং যে কোন সময় পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করতে পারে।"

খুররম আহমেদের একক সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েন পরিচালকরা। দুই জন পরিচালক এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। নিরব ছিলেন আরও দুইজন। কাজটি ঠিক হলো না বলে মন্তব্য করেন স্বতন্ত্র দুই পরিচালক। অনলাইনে অংশ নেওয়া পরিচালকদের মতামত না নিয়ে শেষ করা হয় সভা।

এই খবর গণমাধ্যমে প্রচারের পরই স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও তার ছেলে ওই ব্যাংকের পরিচালক কাজী খুররম আহমেদকে তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি তারা। পরে এমডিকে পুনঃবহালের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসময় তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয় এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংককে অবগত করতে হবে। এমডি নিয়োগ অপসারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

হাবিবুর রহমানের জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর বিষয়টি ৩১ মার্চের পর্ষদ সভায় আলোচনা হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, এমডির বিরুদ্ধে এমন একটি গুরুতর অভিযোগ পর্ষদ সভায় এজেন্ডায় না তুলে বিবিধ আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত না হওয়ার পরও একজন পরিচালকের জোরপূর্বক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পর্ষদ সভাপতি এমডির বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত দেননি। এমডিকে অপসারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার যথাযথভাবে পরিপালন করা হয়নি।

কাজী খুররম আহমেদ ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের ছেলে হওয়ায় বহু অনিয়ম করেও বহাল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির কয়েকজন কর্মকর্তা।

সার্বিক বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক কাজী খুররম আহমেদের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোনের কল ধরেননি। পরবর্তীতে ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি বলেন 'আমি অসুস্থ, কথা বলতে পারব না'।

   

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব



নিউজ ডেস্ক
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটেইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রসারমান স্ট্যার্টআপ হিসাবীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের ফলে হিসাবী দোকান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে বাধাহীনভাবে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে রিটেইলারদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় এক দারুণ পরিবর্তন আসবে এবং লেনদেন আরও সহজ হবে।

প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী এবং হিসাবী'র পক্ষ থেকে রাকিন মোহাম্মদ সাভি (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন, যা রিটেইলারদের পেশাগত কাজের সাথে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা যুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্য অর্জন এবং হাসাবী'র রিটেইল নেটওয়ার্ককে আরও দক্ষ করে তুলতে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গ্রহক সেবা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

;

এ দফায় সোনার দাম ভরিতে কমল ১৮৭৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদায়ী এপ্রিলের ৩০ তারিখ টানা ৭ দফায় কমানো হয়েছিল সোনার দাম। এবার ৮ম দফায় কমানো হয়েছে এক হাজার ৮৭৮ টাকা। ফলে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার নতুন দাম এখন ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ভালো মানের একভরি সোনার দাম ৪২০ টাকা কমানো হয়। তার আগে ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমল।

;

ইসলামী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে গাড়ি জিতলেন কাপাসিয়ার মুঞ্জিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের মেগা পুরস্কার হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দামের ১,৫০০ সিসির প্রাইভেটকার বিজয়ী হয়েছেন কাপাসিয়া শাখার অধীন এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মুঞ্জিল।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ড্র-য়ের মাধ্যমে সৌদি আরব প্রবাসী মুছাম্মৎ লতিফা সুলতানার পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তার স্বামী মুঞ্জিল এ মেগা পুরস্কার বিজয়ী হন।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারজানা আলমের উপস্থিতিতে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ব্যাংকের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মো. রেজাউল করিম, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ফরেন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট বিশেষ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং ডে-তে ডিজিটাল ড্র-য়ের মাধ্যমে ৩০ জন গ্রাহক ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।

 

;

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের বিদায়ী এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড় হিসেবে এর পরিমাণ ৭৪৮ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, জুন মাসে  ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।  

;