'বিদেশি ঋণ ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে' 

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মোহাম্মদ নূরুল আমিন

মোহাম্মদ নূরুল আমিন

এনসিসি ব্যাংকের ((ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংক) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেছেন, বিদেশি ঋণ ব্যবস্থাপনায় এবং ঋণ কাজে লাগানোর বিষয়েও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে ঋণের সুদের হার, গ্রেস পিরিয়ড, সার্ভিস চার্জ, কমিটমেন্ট ফি, ফন্ট অ্যান্ড ফিসহ বেশ কিছু বিষয়ে দর কষাকষির সক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রাজধানী ঢাকার গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে সিপিডি (সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ) ‘বাংলাদেশ’স এক্সটারনাল পাবলিক বোরোইংস অ্যান্ড ডেবিট সার্ভিসিং ক্যাপাসিটি আর দেয়ার রিজনস ফর কনসার্ন?’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আয়োজন করে। এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সিপিডির ডিশটিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ছাড়াও অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ ও ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তারা বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় আবদুল মোনেম ইকনোমিক জোনের পরিচালক আব্দুল গফুর বলেন, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে জিডিপি আট শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। লক্ষ্য অনুযায়ী, এটা ১৬ শতাংশে নিয়ে যেতে পারলে দেশের অর্থনীতির চেহারা একেবারেই পরিবর্তন হয়ে যেতো। কেন এত বছর ধরে কর আহরণে ব্যর্থতা রয়েছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে সরাসরি বিদেশি সহায়তার ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২-৩ বিলিয়ন ডলার এফডিআই আসে, যেখানে ইন্দোনেশিয়ায় ৭ বিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ায় আট বিলিয়ন ডলার, ভিয়েতনামে ২৫ বিলিয়ন ডলার পায়। সরকার সব ধরনের সম্ভাবনা বিবেচনায় ১০০টি ইকোনমিক জোনের কথা বলেছে। তবে বাস্তবতা হলো, ৫-১০টি ছাড়া বাকি ইকোনমিক জোনগুলো এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ বলেন, তিনটি জিনিস ঠিক না হলে অর্থনীতি ঠিক হবে না। আজকের দিনে স্বেচ্ছায় ঋণ খেলাপির সঙ্গে ক্রেডিট কার্ডেও স্বেচ্ছায় খেলাপি দেখা যাচ্ছে। মুদ্রার বিনিময় হারের ব্যবধান দূর করতে হবে। ঈদের আগে ব্যাপক হারে রেমিট্যান্স এলেও এখন দেখা যাচ্ছে না। কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি হলেও ফরমাল সেক্টরে অনেক কম।

তিনি বলেন, আরএমজি (রেডিমেড গার্মেন্ট) রফতানিকারক হিসেবে আমরা দেখছি, এলডিসি (লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ) থেকে উত্তরণের পর কিছু সুবিধা থাকবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। অন্য দেশের মধ্যে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া শুল্ক সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় একেবারেই অগ্রগতি নেই এ সেক্টরে।

তিনি বলেন, ভারতে পোশাক রফতানিতে সাধারণ কর ২০ শতাংশ। দেশটির সঙ্গে এখনও আলোচনা হয়নি। তা ছাড়া দেশটি এই সুবিধা দেবে বলেও আমি খুব আশাবাদী না।