সামুদ্রিক দূষণ বন্ধে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সুনীল অর্থনীতির বিকাশের পথে অন্যতম বাধা সামুদ্রিক দূষণ। বিস্তীর্ণ সমুদ্রে চলাচলকারী দেশি-বিদেশি জাহাজের দূষণ বন্ধ করতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে বাংলাদেশে সুনীল অর্থনীতির বিকাশ ও সম্ভাবনা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইট, রাডারসহ প্রযুক্তিভিত্তিক নজরদারির মাধ্যমে দূষণ বন্ধ করতে না পারলে দেশের সুনীল অর্থনীতির বিকাশের স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হবে। শুধু বঙ্গোপসাগরের তলদেশে নয়, সমুদ্রতটের বালুরাশিতে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে। যেমন ‘মনোজাইট’ নামক মূল্যবান খনিজ রয়েছে যা’ পারমাণবিক চুল্লিতে ব্যবহারের উপযোগী।

তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক জলসীমায় চলাচলকারী নৌযানগুলো যেন তেল দূষণ না ঘটায়, তার জন্য মোবাইল কোর্ট, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনীকে কঠোর অভিযান চালাতে হবে এবং এর সমান্তরালে দূষণের বিপর্যয় ও ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। পরিবেশ দূষণ শুধু জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে না, মানুষের মধ্যে প্রাণঘাতী ক্যান্সারও ছড়িয়ে পড়ছে। সারা দুনিয়া জুড়ে প্লাস্টিক-পলিথিন উৎপাদনে জড়িত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের দূষণ সামুদ্রিক সম্পদকে ধ্বংস করছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বহু দেশে কর্পোরেট শক্তির পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যকলাপে সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সামুদ্রিক মাছে ভারী ধাতব পদার্থও পাওয়া যাচ্ছে, ফলে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। সমস্ত শহর-নগরের বর্জ্য পদার্থের চূড়ান্ত গন্তব্য নদ-নদী হয়ে সাগর-মহাসাগর। কাজেই বর্জ্যের বিজ্ঞানসম্মত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে রিসাইক্লিং নীতিকে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সেমিনারে অংশ নেন বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, বিভিন্ন কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদফতর, বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নৌবাহিনী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক ড. মো. নুরুজ্জামান এবং ‘বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ মেরিটাইম রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ এর লে. কমান্ডার মোঃ সাইফুল ইসলাম।