ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের সহযোগিতা চান পাটশিল্প ব্যবসায়ীরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন পাটশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পাট ও পাটজাত পণ্যবিষয়ক এফবিসিসিআই-এর স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং এই খাতের টেকসই উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতাও চাওয়া হয়।

এছাড়া অগ্রিম আয়কর (এআইটি), টিডিএস, ভর্তুকির ওপর কর, কাঁচা পাটের উচ্চ মূল্য, ব্যাংক ঋণের চাপসহ নানা কারণে কারখানা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (জুন ৩) সকালে রাজধানীতে এফবিসিসিআই-এর পাট ও পাটপণ্যবিষয়ক এক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সব দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই আইকনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়্যালি অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

বিজ্ঞাপন

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিভিন্ন কারণে আমরা পাটের বাজার হারিয়েছি। দেশে পাট চাষে নিম্নমানের বীজ ব্যবহৃত হচ্ছে। এই খাতের টেকসই উন্নয়নে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারি-বেসরকারি খাতকে একইসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই খাতের উন্নয়নে এফবিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা থাকবে।

ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন পাটশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআই-এর পাট ও পাটপণ্যবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সব দাবি জানানো হয়, ছবি- সংগৃহীত

এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, পাট পরিবেশবান্ধব শিল্প। বিশ্বব্যাপী এই শিল্পের চাহিদা আছে। তবে পাটখাতের টেকসই উন্নয়ন করতে এটাকে আরো বেশি ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। না-হলে বাজার কমে আসবে।

এসময় সঠিক ও যৌক্তিক প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভায় ডিরেক্টর ইন-চার্জ আবুল হোসেন বলেন, পাটশিল্পের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব ও প্রাধান্য দিতে হবে। এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও জেম জুট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি।

নাবিল আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পরে অর্থনৈতিক মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রধান স্বপ্ন। আর পাট ও পাটজাত পণ্য ছিল সেই অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। পাটশিল্পের সুদিন এখনো সামনে আছে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে কমিটির সদস্যরা বলেন, পাটজাত পণ্যের গুণগত মান আগের থেকে অনেক উন্নত। তবে টেক্সটাইল মেশিনারিজ চালানোর মতো দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে দেশে। আবার দীর্ঘসময় লোডশেডিংয়ের কারণে ডিজেল কিনে কারখানা চালাতে হচ্ছে। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।

এসময় কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পাটশিল্পের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক পাট কারখানা প্রতিষ্ঠায় সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক, সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারি, এফবিসিসিআই-এর মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ।