বাজেটকে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত বলল এফবিসিসিআই

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও মূল্যস্ফীতিতে সরকারের ৫ শতাংশেরও কম বাজেট বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি এই বাজেটকে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত বলে অবিহিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সর্বশেষ ৪-৫ বারের বাজেটের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে এবার ৫ শতাংশেরও কম প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটা যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটা অবশ্যই বাস্তবায়নযোগ্য।

মূল্যস্ফীতি এখন খাদ্য পণ্যে সাড়ে দশ শতাংশ ও অন্যান্য পণ্যে ৯.৬ শতাংশ উল্লেখ করে মাহবুবুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য বাজেটে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। কোন উচ্চ আকাঙ্ক্ষা প্রজেক্ট না নিয়ে ভাল প্রজেক্টগুলোকে যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে এই মূল্যস্ফীতি কমে আসবে এবং একে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা যাবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ব্যক্তি কর সীমা যা ছিলো ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা তা এখনো একই আছে। আমাদের প্রস্তাব ছিলো ৪ লাখ ৫০ হাজার করার। গণমাধ্যমের মাধ্যমে সেটা আমি সরকারকে আবারও আহবান জানাবো।

রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্র বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আদায় করা কঠিন। তবে ট্যাক্স নেট যদি বাড়ানো যায় তাহলে এই টাকা আদায় হবে। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এটা বেশি। সরকার যদি এতো টাকা ব্যাংক থেকে নেয় তাহলে আমাদের ব্যবসায়ীদের ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে জটিলতা হতে পারে। বিদেশ থেকে যদি এই টাকা ঋণ নেওয়া যায় তাহলে আমাদের জন্য ভাল হবে।

ক্ষুদ্র অর্থনীতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার এই ব্যাপারে আন্তরিক, সরকার চাচ্ছে ক্ষুদ্র অর্থনীতিটা যেনো টিকে থাকে। প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দিচ্ছে। এর মাধ্যমে সোশ্যাল সেফটিনেটকে সরকারে উৎসাহী করছে।