‘সিএনজি ফিলিং স্টেশন এখন টিকে থাকার লড়াই করছে’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

এক সময় খুবই আকর্ষণীয় সিএনজি ফিলিং স্টেশন এখন টিকে থাকার লড়াই করছে। খুব কষ্টে ব্রেক ইভেনে আছে, কোথাও কোথাও লোকসানে রয়েছে। কমিশন না বাড়লে বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

রোববার (৯ জুন) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন দাবি করেছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বিজ্ঞাপন

মহাসচিব ফারহান নূর একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, মার্চ ২০১৫ সালে ৯৬ হাজার ৯৩ ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি করে, ওই প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সালে মাত্র ৬৬ হাজার ৭১৮ ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি করেছে। ২০১৪ সালে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিল ছিল ৩.৪৫ টাকা, আর ২০২৪ সালে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫ টাকা ৪ পয়সা। আমরা বিদ্যুতের বর্ধিত বিল সমন্বয় করার দাবি করছি। বিদ্যুতের দাম আরও বাড়ানো হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয়ের বিধান করার প্রস্তাব করেছি।

তিনি বলেন, ওই স্টেশনে ২০১৪ সালে ৩০ টাকা বিক্রি করে ৩.৫৪ টাকা থাকতো, এখন ৪৩ টাকা বিক্রি করে ২.৬৮ টাকা থাকছে। এই টাকা দিয়ে অপরেশনাল খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে অনেক স্টেশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ফারহান নূর বলেন, সারাদেশে ৫২৫টি ফিলিং স্টেশন চালু রয়েছে। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে, কিছু বন্ধের পথে রয়েছে। আমাদের দাবিগুলো নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে দেন দরবার চলছে। ২০১৩ সালে মন্ত্রণালয় বিইআরসিকে চিঠি দেওয়া হয় বিবেচনা করার জন্য। দ্বিতীয় দফায় ২০১৭ সালের জুনে পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বিইআরসিকে চিঠি দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। আশা করছিলাম, সমাধান পাবো, কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবস্থায় ফিলিং স্টেশন চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। জরুরি পণ্য হওয়ায় ধর্মঘট কিংবা আল্টিমেটামে যাচ্ছি না। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে আবেদন করেছি, মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি।

ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে একই রকম, তারপর মূল্যস্ফীতি, ডলার রেট, অনেক বিষয় রয়েছে। আগে রক্ষণাবেক্ষণে ১০ লাখ টাকা খরচ হতো এখন ২০ লাখ টাকা লাগে। জমির ইজারা, সিটি করপোরেশনের কিংবা পৌরকর বেড়েছে। এই সময়ে চার-পাঁচ বার বেতন রিভাইস করতে হয়েছে। আমাদের মার্জিন আগের অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মনোরঞ্জন ভক্ত সভাপতিত্ব করেন।