টিমওয়ার্কে কঠিন কাজও সহজে সম্পন্ন করা যায়: নসরুল হামিদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বার্ষিক কর্ম সম্পাদন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন প্রতিমন্ত্রী

বার্ষিক কর্ম সম্পাদন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সম্মিলিত ও সমন্বিতভাবে কাজ করলে সফলতা আসবেই। ভালোভাবে টিমওয়ার্ক করলে যেকোনো কঠিন কাজও সহজে সম্পন্ন করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বার্ষিক কর্ম সম্পাদন (এপিএ) অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত থেকে এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এতে ১৬টি দফতর, সংস্থা ও কোম্পানির সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষর করা হয়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং আপনাদের সকলের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০২২ সালে বিদ্যুৎ বিভাগ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ অর্জন করে। তাছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এপিএ অর্জনেও বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সকলের মধ্যে ভালো টিম ওয়ার্ক ছিল বলেই দ্রুততার সাথে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এ সাফল্যের পেছনে বিদ্যুৎ বিভাগের মনিটরিং বেশ প্রশংসনীয়। বর্তমানে জ্বালানি বিভাগের সাফল্যও সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান বিপিএএ বলেন, এ চুক্তির উদ্দেশ্য হলো আমাদেরকে আগামী এক বছর এ চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতকে আরো সমৃদ্ধ করা। চুক্তির মূলত দুটি দিক। প্রথমত, আনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয়ত, বাস্তবায়নের দৃঢ়তা। আমরা আজ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলাম। এরপর আমরা প্রথম হওয়ার মানসিকতা নিয়ে কাজ করবো। আর এর মাধ্যমেই আমরা ‘ভিশন ২০৪১’ কে সফল করবো।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা এনডিসি, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার জহিরুল ইসলাম, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক অর্থ মো. গোলাম মোস্তফা, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এএইচএম. মহিউদ্দিন, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন প্রমুখ।

সোমবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে লেনদেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলা‌দেশ ব্যাংক। ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলা‌দেশ ব্যাংক। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছরের মতো সোমবার (০১ জুলাই) ব্যাংক হলিডে থাকায় আগামীকাল ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাক‌বে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাক‌বে।

রোববার (৩০ জুন) বাংলা‌দেশ ব্যাংক সূ‌ত্রে এ তথ্য জানা গে‌ছে।

প্রতি বছরই ০১ জুলাই ব্যাংক হলিডে হয়ে থাকে। কারণ এদিন ব্যাংকগু‌লোর বিভিন্ন শাখা থেকে পাঠানো হিসাব একত্রিত করে অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। যে কারণে এ দিনটিকে ‘ব্যাংক হলিডে’ হিসেবে ধরা হয়। এ দিন বন্ধ থাকবে শেয়ারবাজারের লেনদেনও।

সং‌শ্লিষ্টরা সূত্রে জানা গেছে, ০১ জুলাই ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন বা দাফতরিক কার্যক্রম করে না। একইভাবে ৩১ ডিসেম্বরও ব্যাংক হলিডে হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। ওইদিন ব্যাংকগুলো পঞ্জিকা বছরের হিসাব শেষ ক‌রে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। যে কারণে ওই দিনটিকেও ‘ব্যাংক হলিডে’ হিসেবে ধরা হয়।

সোমবার পুঁজিবাজারের শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকলেও দাফতরিক কার্যক্রম চলবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। বছরের এই দুই দিন ব্যাংকগুলো শুধু অভ্যন্তরীণ কাজের জন্য খোলা থাকে, কোনো লেনদেন হয় না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) যথারীতি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত সাধারণ নিয়মে খোলা থাকবে ব্যাংক খাত। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো একই সূচিতে চলবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকে লেনদেন (অর্থ উত্তোলন ও জমা) চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। অবশিষ্ট দুই ঘণ্টা দাফতরিক প্রয়োজনে খোলা থাকবে।

;

সোনার দাম কমে ১১৭২৮২ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সোনার দোকান ছবি: সংগৃহীত

সোনার দোকান ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিপ্রতি ১ হাজার ৭৩ টাকা কমেছে। এতে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম কমে দাঁড়াবে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। নতুন দাম সোমবার থেকে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) রোববার (৩০ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম কমার বিষয়টি জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ২৫ জুন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৮৩৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৩০ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৫ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

কুমিল্লায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বিজনেস রিভিউ মিটিং



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বিজনেস রিভিউ মিটিং

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বিজনেস রিভিউ মিটিং

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা অঞ্চলের শাখা ও উপশাখার কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) কুমিল্লার কোটবাড়িতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। এসময় প্রধান কার্যালয়ের ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল ডিভিশনের প্রধান জয়নাল আবেদীন, ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ এর প্রধান মো. তৌহিদ হোসেন ও কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান মো. আব্দুল হামিদসহ কুমিল্লা অঞ্চলের শাখা- উপশাখার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কুমিল্লা অঞ্চলের সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এবং ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করণীয় নির্ধারণ করা হয়।

;

‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত কাদায় পড়ে গেছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি শীর্ষক নাগরিক সংলাপ

বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি শীর্ষক নাগরিক সংলাপ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভ্রান্তনীতির কারণে দেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত কাদায় পড়ে গেছে। এখন প্রথম কাজ হবে বের হয়ে আসা বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণে জ্বালানি সুবিচার প্রতিষ্ঠায় ক্যাব প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি শীর্ষক নাগরিক সংলাপে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।

ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, জ্বালানিকে আমি অনেকটা মানবদেহে রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি, জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা না গেলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব না।

তিনি বলেন, সরকারের কিছু পদক্ষেপ জনমানুষের কল্যাণে হচ্ছে না বলে আমাদের ধারনা। সরকার কি কারণে বিইআরসিকে অকার্যকর করলেন, আমার বোধগম্য হয় না। আমরা আশাকরি সরকার এই পথ থেকে সরে আসবেন। জ্বালানি মিক্সের সঙ্গে পরিবেশের যোগাযোগ রয়েছে। পরিবেশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, এলএনজি আমদানি জাস্টিফাই করার জন্য অনেক চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এটা জাস্টিফাই করা যায় না। দেশের আর্থিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলএনজি। আমরা বার বার বলেছি, দেশের মাটির নিচে গ্যাস রয়েছে। অনুসন্ধানে না গিয়ে সহজ একটি পদক্ষেপ নিলাম এলএনজি আমদানি। এখনও যদি সরকারের বোধোদয় হয়, তাহলে গ্যাসের রিজার্ভ বাড়বে। বিশাল আকারে অনুসন্ধান করা গেলে বিশাল মজুদ পাওয়া সম্ভব। আমাদের অনুসন্ধান অপরিপক্ক ও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত কাদায় পড়ে গেছে, প্রথম জিনিসটা হবে বের হয়ে আসা। সাংঘাতিক রকমের সমস্যা হচ্ছে। ভুলগুলোর কারণে আজকের এই সংকট, সেগুলো চিহ্নিত করা জরুরি। কয়েক বছর ধরে অনুসন্ধান বড় রকমের অবহেলা করা হয়েছে। যার মাশুল দিতে হচ্ছে। ১০০ কূপ খনন করতে চায়, কিন্তু বাজেটে বরাদ্দ কোথায়, সরকারের নিজম্ব অর্থায়নে কাজগুলো যেখানে করা দরকার তা করা হচ্ছে না। কে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নিজের গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ করে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ বলেন, বিএনপির সময় অভিযোগ তুলতাম খাম্বা আছে বিদ্যুৎ নেই। এখন বিদ্যুতের কারখানা আছে, সঞ্চালন লাইন নেই, বিদ্যুৎ নেই সমন্বয়হীনতা রয়ে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই সামিট গ্রুপ ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে গেছে, যাচ্ছে। এর ফলে ক্রমাগত দাম বাড়ানো হচ্ছে, সেখানে কোন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। সরকার ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সেই সন্দেহেকে আরও জোরালো করে।

তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বলেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। আমি মনে করি যদি সদিচ্ছা থাকে, অবিলম্বে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করবেন।

ক্যাবের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জ্যোতিময় বড়ুয়া বলেন, যদি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম নির্ধারণ করা হয়, তাহলে বিইআরসি রাখার দরকার কি! বিইআরসি আইনের ৩৪ ধারার সংশোধনী মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। সংবিধানে বলা হয়েছে কোন আইন মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হলে তা শুরু থেকেই বাতিলযোগ্য। তাই আইনটি অবিলম্বে বাতিল চেয়েছি আমরা। জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ আইনের মাধ্যমে জ্বালানি খাতকে পঙ্গু করতে ভূমিকা রাখছে।অবিলম্বে আইনটি বাতিল করা উচিৎ বলে জানান তিনি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, জ্বালানির অধিকার মৌলিক মানবাধিকার কিনা এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার এই রকম যতো ধরনের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হোক না কেনো, কোনটির ঘাটতি জ্বালানির ঘাটতির মতো বেশি বিপদজনক নয়। উষ্ণমন্ডলীয় দেশের অধিবাসী বলে হিটিং এনার্জির আবশ্যকতা নিয়ে আমাদের অধিকাংশের ধারণা নেই। শীতার্ত অঞ্চলে এমনকি ঘরের ভেতরে তাপমাত্রা সহনসীমার নিচে নেমে গেলে মৃত্যু অনিবার্য। কাজেই কাম্য জ্বালানি সরবরাহ রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হয়, না হলে দুর্ভাগ্যজনক অনিবার্য মৃত্যুর দায় নিতে হয়।

অন্যদের মধ্যে প্রফেসর মোহাম্মদ তানজীমউদ্দীন খান, স্থপতি ইকবাল হাবিব, সিনিয়র সাংবাদিক মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, শাহনাজ বেগম ও ক্যাবের বিভিন্ন জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।

;