আংশিক উৎপাদনে থাকা আদানি বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আংশিক উৎপাদনে থাকা আদানি বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ

আংশিক উৎপাদনে থাকা আদানি বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ

কয়েক দিন ধরেই একটি ইউনিট বন্ধ থাকায় আংশিক উৎপাদনে ছিল ভারতের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

শনিবার (২৯ জুন) পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২১ জুন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে।

আদানি গ্রুপের বাংলাদেশ অফিস সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রয়েছে। আরেকটি ইউনিট টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। দু’একদিনের মধ্যেই উৎপাদনে আসবে। বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অনেক টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। সেই বকেয়ার কোন ইস্যু এখানে রয়েছে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বকেয়ার সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই। পুরোপুরি টেকনিক্যাল কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পিজিসিবি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকে, সে কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট সিডিউল রক্ষণাবেক্ষণে যায় ঈদের আগে। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফেরার কথা রয়েছে। হঠাৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ। এতে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দেয়।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে।

ঈদের পর থেকেই লোডশেডিংয়ের খবর আসছে। গ্রামে কোন কোন এলাকায় দিনে-রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অনেকে আক্ষেপ ঝাড়ছেন ফেসবুকে।