ব্যাটারি ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের, কাজ তো চলবেই



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যাটারি ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের, কাজ তো চলবেই

ব্যাটারি ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের, কাজ তো চলবেই

  • Font increase
  • Font Decrease

কেমন হতে পারে শক্তিশালী ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি চালিত স্মার্টফোনের অনন্য স্বাধীনতার অভিজ্ঞতা! হরহামেশা চার্জার নিয়ে টানাটানির দরকার নেই, নেই বৈদ্যুতিক আউটলেটের লাগাতার সন্ধান। দিনভর দুনির্বার গতি ও চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে প্রিয় স্মার্টফোনটি।

ভাবুন তো, কেমন হয় যদি প্রিয় শো বা মুভি স্ট্রিম করতে পারেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিংবা ব্যাটারির চার্জ ফুরানোর চিন্তা ছাড়াই লাগাতার গেমিংয়ের অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে পারেন। এ সবই সম্ভব স্মার্টফোনে যদি থাকে একটি শক্তিশালী পাওয়ার ব‌্যাকআপ।

৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করে পেতে পারেন সারাদিন কানেক্টেড ও প্রোডাক্টিভ থাকার সক্ষমতা। এ স্মার্টফোনে লেখাপড়া বা কাজ সংক্রান্ত ইমেইল, ব্যাক-টু-ব্যাক কনফারেন্স কল বা সারাদিনের ইন্টারনেট নির্ভর যোগাযোগ হবে দ্রত ও নির্বি‌ঘ্নে। প্রয়োজনে ও বিনোদনে স্মার্টফোনটি দেবে সেরা পারফরম্যান্স।

স্মৃতিকে মুঠোবন্দি করতে ভালোবাসেন? ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন ইচ্ছেম‌তো ছবি তোলার স্বাধীনতা। বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সেরা সব মুহূর্ত কিংবা ক্লাসের লেকচার যত খুশি ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। অ্যাডভ‌্যাঞ্চার প্রিয় তরুণ প্রজন্মের জন্য হতে পারে ভ্রমণের সেরা সঙ্গী শক্তিশালী এই স্মার্টফোন, যা দীর্ঘতম ভ্রমণে দেবে নির্ভরযোগ্য জিপিএস ও বাধাহীন নেভিগেশন।

এমনকি জরুরি পরিস্থি‌তি‌তে স্মার্টফোনটি পাশে থাকবে নির্ভরযোগ্য বন্ধুর মতো। কারণ বিপদে-দুর্যোগে প্রিয়জনের সাথে কানেক্টেড রাখতে ও প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অ্যাক্সেস দিতে স্মার্টফোনের ব্যাটারি পাওয়ারই মূল ভরসা।

এছাড়া একবার চার্জ দিয়ে সারাদিন তুমুল ব্যবহারের পরও ব্যাটারির চার্জ ফুরাবে না, এমন স্মার্টফোন চান সবাই। বারবার চার্জ দরকার না হওয়া মানেই স্মার্টফোনের ব্যাটারি কম ব্যবহার হওয়া, যা ব্যাটারি হেলথ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। আর স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ব্যাটারি হেলথই নিশ্চিত করে এর বাকি সব পারফরম্যান্স।

এমন এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্মার্টফোনকে নিজের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে পেতে প্রস্তুত হোন। কারণ শিগগিরই বাজারে আসছে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির নতুন স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই২৮! সাথে থাকছে ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ, ৮ জিবি + ৮ জিবি এক্সটেন্ডেড র‌্যাম এবং ৪৮ মাস স্মুথ পারফরম্যান্স।

চামড়া সংরক্ষণে প্রান্তিক পর্যায়ে হিমাগার চান ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, এফবিসিসিআই আয়োজিত  হাইড অ্যান্ড স্কিন, লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড আর্টিফিসিয়াল লেদারবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

ছবি: সংগৃহীত, এফবিসিসিআই আয়োজিত হাইড অ্যান্ড স্কিন, লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড আর্টিফিসিয়াল লেদারবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির পশুর চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পচন রোধে নাটোর, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ প্রান্তিক আড়ৎ পর্যায়ে স্টোরেজ সুবিধা চান কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকেরা।

তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন অঞ্চলে অব্যবহৃত স্টোরেজ আধুনিকায়নের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে চামড়া সংরক্ষণ সংকট দূর করা সম্ভব। এতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ কোরবানির পশুর চামড়া নষ্টের হাত থেকে রক্ষা পাবে। রক্ষা পাবে দেশের সম্পদ।

শনিবার (৬ জুলাই) এফবিসিসিআই-এর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত হাইড অ্যান্ড স্কিন, লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড আর্টিফিসিয়াল লেদারবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা উঠে আসে। রোববার (৭ জুলাই) এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মো. সাইফুল ইসলাম সভায় বলেন, কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে স্থানান্তর করে সাভারে স্থাপন করা হয়েছে চামড়া শিল্পপল্লী।

দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও সেখানে সিইটিপি বা কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। দুর্বলতা রয়েছে, কঠিন বর্জ্য (সলিড ওয়েস্ট) ব্যবস্থাপনাতেও, যা আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ছাড়পত্র (লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট) পাওয়ার পেছনে বড় বাধা। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধিতে এটিই অন্যতম প্রতিবন্ধকতা।

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে চামড়া শিল্পের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ওপর জোর দেন কমিটির চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। রফতানি বৃদ্ধিতে চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়া রফতানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নন-ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

সভায় এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে সরকারকে প্রতি জেলায় স্টোরেজ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজনে এই উদ্যোগে বেসরকারিখাতকে যুক্ত করা যেতে পারে। পাশাপাশি চামড়া শিল্পের শতভাগ কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু রফতানি বাজারের জন্য নয়, নিজেদের জন্য পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় চামড়া শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি।

সভার মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়নের ব্যবস্থা, ডিজাইনারসহ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী তৈরি, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, পাদুকা শিল্পপল্লী স্থাপন, আধুনিক স্লটারিং হাউস স্থাপন, দেশে প্রচলিত ছুরি ও যন্ত্রপাতি উন্নয়ন এবং কসাইদের প্রশিক্ষণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের জন্য কমন ডিসপ্লে সেন্টার স্থাপন, লেদার টেকনোলজি বিষয়ে শর্ট ডিপ্লোমা কোর্স এবং উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করা, হাইড অ্যান্ড স্কিন ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওয়া পরিশোধ, সাভার চামড়া শিল্প নগরীর পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রাপ্তির কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ, চামড়া শিল্প ব্যবস্থাপনা আইনবিষয়ক জাতীয় কমিটিতে খাতের সব অংশীজনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, আজিজুল হক, এফবিসিসিআই-এর মহাসচিব মো. আলমগীর, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান রুবিনা ইয়াসমিনসহ অন্যান্য সদস্য।

;

দুটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করলো সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অ্যাওয়ার্ড দুটি গ্রহণ করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

অ্যাওয়ার্ড দুটি গ্রহণ করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

  • Font increase
  • Font Decrease

‘রেমিট্যান্স কোম্পানী অব দ্যা ইয়ার’ ও ‘সিনিয়র সিটিজেন প্রোডাক্ট ইনিসিয়েটিভ অব দ্যা ইয়ার’ নামে দুটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

সিঙ্গাপুরে মারিনা বে স্যান্ডস এক্সপো এন্ড কনভেনভেশন সেন্টারে গত ৪ জুলাই এক বর্ণিল অনুষ্ঠানে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে এশিয়ান ব্যাংকিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম অ্যাওয়ার্ড দুটি গ্রহণ করেন। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণে আবারও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।

;

ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের অর্ধবার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পিএলসির অর্ধবার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ছবি: সংগৃহীত, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পিএলসির অর্ধবার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পিএলসির অর্ধবার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) ব্যাংকের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে নর্থ জোন, চট্টগ্রাম সাউথ জোন, খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (৭ জুলাই) সংবাদমাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম সাউথ জোনপ্রধান মিয়া মো. বরকত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম নর্থ জোনপ্রধান মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন কাওসার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল নাসের।

সম্মেলনে কর্পোরেট শাখাগুলোর প্রধান, জোনের অধীন শাখা ও উপশাখাগুলোর প্রধান এবং ইনচার্জ, প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

;

রফতানি প্রণোদনা হ্রাস টেক্সটাইল খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে: বিটিএমএ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিটিএমএর সংবাদ সম্মেলন

বিটিএমএর সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি প্রণোদনা আরও কমানো সরকারের সিদ্ধান্ত দেশীয় টেক্সটাইল খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র। এর মাধ্যমে আমাদের শিল্প খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিটিএমএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলী। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএর সহসভাপতি ফজলুল হক ও ফায়জুর রহমান।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি রফতানির বিপরীতে নতুন করে নগদ সহায়তা কমানোর আদেশ জারি করে। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে বিটিএমএ সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে।

মোহাম্মদ আলী বলেন, রফতানি প্রণোদনা ক্রমান্বয়ে কমার কারণে প্রাথমিক বস্ত্র খাত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে। তিনি বলেন. সরকারকে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে যাতে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে স্নাতক হওয়ার পরেও দেশীয় শিল্প টিকে থাকতে পারে এবং ভালভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে কারণ অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলো ইতিমধ্যে এই ধরনের পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, ভারত ২০০৪ সালে এলডিসি গ্রুপ থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে স্নাতক হয়েছে এবং এখনও সরাসরি নগদ ভর্তুকির বিকল্প হিসেবে টেক্সটাইল এবং পোশাক খাতের বৃদ্ধির জন্য প্রচুর প্রণোদনা দিচ্ছে, বলেন তিনি।

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, প্রতি অর্থবছরে বস্ত্র ও পোশাাক খাতে রফতানির বিপরীতে মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দেয় সরকার। এটি দেশের প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেটের তুলনাই খুবই সামান্য। এর বিপরীতে বিপুল পরিমাণ রফতানি আয়ে অবদান রাখছে বস্ত্র ও পোশাক খাত। কিন্তু সম্প্রতি বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতে রফতানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা ব্যাপকভাবে কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটা বাস্তবায়িত হলে তা এ দুটি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে জ্বালানি সংকটের কারণে স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে গত কয়েক মাস যাবত তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে কারখানাগুলো তাদের উৎপাদন ক্ষমতার ৪০-৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারছে না। ফলে সুতা ও কাপড় উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমেছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এতে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে এ খাতের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাব তৈরি পোশাক রফতানিতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে বস্ত্রশিল্পে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারও বিদেশিদের হাতে চলে যাচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এক কিলোগ্রাম সুতার উৎপাদন খরচের ব্যবধান ২২ সেন্ট কারণ ভারতীয় সুতা প্রস্তুতকারকরা উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর সুতার মোট চাহিদার ১৩ শতাংশ আসে ভারত থেকে, বলে জানান তিনি।

;