বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই এসআইবিএলের ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বোর্ড মিটিং

বোর্ড মিটিং

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির (এসআইবিএল) হামদর্দ গ্রুপের প্রতিনিধি মো. আনিসুল হককে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) এক বোর্ড মিটিংয়ে মো. আনিসুল হককে ডেকে এনে কমিটিতে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

অথচ গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. মো. রেজাউল হকসহ পাঁচজন পরিচালক নিয়োগ দিয়ে যে নতুন পর্ষদ গঠন করেছে সে তালিকায় মো. আনিসুল হকের নাম নেই।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, যেসব ব্যাংকের পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হয়েছে সেগুলোর কার্যক্রম ও তৎপরতা মনিটর করা হচ্ছে। পর্ষদে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো পরিচালকের আচরণ সুশাসন পরিপন্থি হলে পর্ষদ আবারও পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

গভর্নর আশা করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ ব্যাংকগুলো মেনে চলবে।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. আনিসুল হক ওই বোর্ড মিটিংয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন এবং তিনি বক্তব্যও রাখেন। এটা কোন ধরনের কোম্পানি আইন, ব্যাংক কোম্পানি আইন অথবা লিস্টিং কোম্পানির কোনো রেগুলেশন কোনও কিছু কমপ্লাই করে না।

কারণ নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে কাউকে যদি বোর্ডে ডিরেক্টর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হয় প্রথমত বোর্ড থেকে অনুমোদন নিতে হবে, তারপর বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এনওসি পাওয়া সাপেক্ষে ওনাকে পরবর্তী মিটিং অ্যাটেন্ড করতে পারবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন লিখিত অনুমোদন ছাড়া কাউকে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা আইনের পরিপন্থী।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে মো. আনিসুল হক

একজন স্থায়ীভাবে রিলিজ নেওয়া নির্বাহীকে ডিএমডি হিসেবে নেওয়ার জন্য মেমো দেওয়া হয়েছে ওই বোর্ডে। তিনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাবার আগেই পুরো বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। যা একটি নতুন বোর্ড গঠনে প্রাইভেসি লঙ্ঘনের সামিল। সাবেক এই নির্বাহী (সাদাত) পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান যিনি এখন বর্তমান পরিচালক তার পাশাপাশি সারাক্ষণই ছিল। এটা ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিপন্থী বা ব্যাংকের ইন্টারনাল সার্কুলার কোনও কিছুই কভার করে না। এসব কারণে ব্যাংকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।হয়তো তাদের আরও অনেক পরিকল্পনা ছিল যা পরবর্তীতে সফল হয়নি।

কারণ দেখা যাচ্ছে ওনাদের প্ল্যান অনুযায়ী বোর্ডে অনেক সিদ্ধান্তই হয়নি। এখানে বড় ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সাবেক নির্বাহী পরিচালক উপস্থিত ছিল এবং আরও গণ্যমান্য লোকজন ছিল তারা বিষয়টি ভালভাবে দেখেনি। এখানে কিভাবে একটি বোর্ড মিনিট লিখা হবে যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এখনো বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি।