এলপি গ্যাসের দাম ১২ কেজিতে ৩৫ টাকা বেড়ে ১৪৫৬ টাকা
অক্টোবরে ১২ কেজি এলপিজির দর ৩৫ টাকা বেড়ে ১৪৫৬ টাকা হয়েছে। আর অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৬৫.২৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৬.৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
আমদানি নির্ভর এলপিজির আন্তর্জাতিক বাজার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম ছিল ১৪২১ টাকা। অন্যদিকে অটোগ্যাস লিটার প্রতি দাম ছিল ৬৫.২৬ টাকা। আগস্টে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম ছিল ১৩৭৭ টাকা।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল বিইআরসি কর্তৃক দর ঘোষণার সময় বলা হয় আমদানি নির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে।
সৌদির দর ওঠা-ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। টানা ৩ মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বাংলাদেশেও দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
তবে বিইআরসির ঘোষিত দরে বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না।বিক্রেতারা ইচ্ছামত দর আদায় করছেন। কমক্ষেত্রেই শাস্তির আওতায় আনার খবর আসছে।
নির্ধারিত মূল্যে বাজারে এলপি গ্যাস না পাওয়া প্রসঙ্গে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, গত মাসের দর ঘোষণার পর সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশি দাম নেওয়ার খবর পেয়েছি। সেপ্টেম্বর মাসে দর ঘোষণার পর বাজার মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছিলাম। মূলত দর কার্যকর করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি দুর্বলতা রয়ে গেছে। দরের বিষয়ে ভোক্তা অধিদফতরকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব কারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
কোম্পানিগুলোই বেশি দর নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান চেয়ারম্যান।